ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ভারতীয় কুস্তি সংস্থার উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার (Wrestling Federation of India)। মঙ্গলবার থেকে সংস্থার দায়িত্ব সম্পূর্ণরূপে সঞ্জয় সিংহের হাতে দেওয়া হয়েছে। কুস্তিগিরদের অভিযোগ অনুযায়ী, ব্রিজভূষণ শরণ সিংহের বিরুদ্ধে যৌন নিগ্রহের ঘটনার অভিযোগ উঠেছিল। তিনি ছিলেন ভারতের কুস্তি সংস্থার প্রাক্তন সভাপতি এবং সঞ্জয় তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী।
যৌন নিগ্রহের অভিযোগ (Wrestling Federation of India)
বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে বেশ কিছু কুস্তিগির, যেমন বজরং পুনিয়া, সাক্ষী মালিক (Wrestling Federation of India) এবং বিনেশ ফোগট, যৌন নিগ্রহের অভিযোগ তুলেছিলেন। এই অভিযোগের কারণে ব্রিজভূষণকে কুস্তি সংস্থার নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তবে সঞ্জয় সিংহ দায়িত্ব নেওয়ার পর কুস্তিগিরদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। তাদের অভিযোগ ছিল যে, ব্রিজভূষণের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় সঞ্জয় দায়িত্বে থাকলে পরিস্থিতি বদলাবে না।
কোন স্বার্থে তোলা হল নিষেধাজ্ঞা? (Wrestling Federation of India)
গত বছর ২৪ ডিসেম্বর ভারতীয় কুস্তি সংস্থাকে কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রক নিলম্বিত (Wrestling Federation of India) করে। মঙ্গলবার, ক্রীড়ামন্ত্রক জানায় যে, ভারতীয় ক্রীড়া জগতের স্বার্থে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হচ্ছে। তবে ক্রীড়া সংস্থার সঙ্গে যুক্ত নয় এমন কেউ দায়িত্বে থাকতে পারবে না, শুধুমাত্র নির্বাচিত কর্মকর্তারাই কাজ করবেন।
আরও পড়ুন: Fact Check: রোহিতদের সব ম্যাচ দুবাইতে, ক্ষোভে ফেটে পড়ে ভারতকে ট্রফি দিয়ে দিতে বললেন স্মিথ?
ঘুরপথে সংস্থাকে নিয়ন্ত্রণ?
এছাড়া, কিছুদিন আগে কুস্তি সংস্থার অফিস ব্রিজভূষণের বাড়িতে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল, যা কুস্তিগিরদের কাছে অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কুস্তি সংস্থার অফিস আগে তাঁর বাড়িতে ছিল এবং ব্রিজভূষণ যখন সভাপতি ছিলেন, তখন সেটি পরিচালনা হত সেখান থেকে। যদিও বর্তমানে তাঁর বিরুদ্ধে দিল্লি কোর্টে যৌন হেনস্থার মামলা চলমান, তবুও কুস্তি সংস্থার কাজে তিনি সরাসরি যুক্ত নন। তবে অনেকেই মনে করছেন যে, তিনি ঘুরপথে সংস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করছেন।

অফিস কোথায়?
ব্রিজভূষণ সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, “কুস্তি সংস্থার অফিসের অবস্থান নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার নেই।” ২০২৩ সালে কুস্তি সংস্থার অফিস হরিনগরে স্থানান্তরিত করা হয়। এই সময় কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রক সংস্থাকে নিলম্বিত করে, যা দেশের শীর্ষ কুস্তিগিরদের অভিযোগের ফলস্বরূপ। তিনি দাবি করেন, কুস্তি সংস্থার অফিস এখনও হরিনগরেই রয়েছে এবং নতুন জায়গার সন্ধান চলছে।
কী বলছেন ব্রিজভূষণ?
ব্রিজভূষণ জানান, “আমি কুস্তি সংস্থার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত, তাই বিভিন্ন সময় কুস্তিগির ও কর্মকর্তারা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। অফিসের অবস্থান বড় বিষয় নয়; সংস্থাই ঠিক করবে কোথায় হবে।” তাঁর মতে, খেলোয়াড়দের সঙ্গে দেখা করতে তাঁর কোনও বাধা নেই এবং তিনি কোনো অন্যায় করেননি।