ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: সীমান্তে আগ্রাসন করে চিন প্রায়ই তার প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে সংঘাতে জড়ায়। এবার চিন বছরের শুরুটা করলো আগ্রাসনের হুশিয়ারি দিয়ে (Xi Jinping)। চিন তাইওয়ান ‘দখল’ করবে। তাইওয়ান ‘দখল’ করার থেকে তাদের কেউ রুখে দিতে পারবে না।
শি জিনপিং-এর হুশিয়ারি (Xi Jinping)
চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping) এই বছরের শুরুটাই করলেন তাইওয়ান কে হুশিয়ারি দিয়ে। তিনি বলেন, তাইওয়ান কে দখল করার থেকে চিনকে কেউ রুখে দিতে পারবে না। মঙ্গলবার রাতে বর্ষবরণের সময় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। সেই ভাষণেই তিনি তাইওয়ান কে দখল করার বিষয়ে হুশিয়ারি দিয়েছেন।এমনকি চিনকে কেউ রুখতে পারবে না বলেও উল্লেখ করেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং।
দীর্ঘদিন তাইওয়ানের উপর চিনের (Xi Jinping)
তাইওয়ানের উপর চিনের নজর দীর্ঘ দিনের (Xi Jinping)। বরাবরই চিন দাবি করে এসেছে, গোটা তাইওয়ান আসলে চিনেরই একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। তবে চিনের এই দাবিকে বার বার উড়িয়ে দিয়েছে তাইওয়ান। দুইটি দেশেরই প্রশাসন দু’টি সম্পূর্ণ আলাদা মতাদর্শ থেকে এসেছে। একদিকে চিন একটি কমিউনিস্ট রাষ্ট্র, অন্যদিকে তাইওয়ান গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। গত বেশ কয়েক মাস ধরে তাইওয়ানের উপরে নানা ভাবে চাপ সৃষ্টির চেষ্টা করছে চিন। গত বছরে তাইওয়ানের ভোটের পর থেকে তাইওয়ানের উপর কমপক্ষে তিনটি সামরিক অভিযান চালিয়েছে চিন। গত বছর তাইওয়ানের ভোটের পর চিন পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছে, তাইওয়ানকে নিজেদের দখলে আনতে তাঁরা ‘বল প্রয়োগ’ বন্ধ করবে না। এই পরিস্থিতিতে চিনা প্রেসিডেন্টের এই হুশিয়ারি যে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ সেটাই মনে করা হচ্ছে।
তাইওয়ানের অভিযোগ
এই আবহে তাইওয়ান প্রশাসন বিস্ফোরক দাবি করে। তাইওয়ানের দাবি, ডিসেম্বরে চিন যে মাপের সামরিক অভিযান চালিয়েছে তা সম্প্রতি দেখা যায়নি। তাইওয়ানের দাবি, চিন বেশ কয়েক বার তাইওয়ানের আকাশসীমাও লঙ্ঘন করেছে
কেন তাইওয়ান দাবি চিনের
মঙ্গলবার বর্ষবরণের রাতে জাতির উদ্দেশে ভাষণে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেন, “তাইওয়ান প্রণালীর উভয় দিকে থাকা চিনা মানুষেরা আমাদের একই পরিবারের অংশ। তাইওয়ানের সঙ্গে আমাদের এই রক্তের বন্ধন কেউ ছিন্ন করতে পারে না। মাতৃভূমির পুনর্মিলিত হওয়াও কেউ আটকাতে পারবে না।”
আরও পড়ুন: Bangladesh New Year: বাংলাদেশে বর্ষবরণ ঘিরে বিধিনিষেধ! উৎসব পালনে নিষেধাজ্ঞা ইউনূস প্রশাসনের!
তাইওয়ানকে আমেরিকার সাহায্য
গত বছর ডিসেম্বর মাসেই তাইওয়ানকে সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি ও সহায়তার জন্য ৫৭ কোটি ১০ লক্ষ ডলারের সাহায্যের ঘোষণা করেছে আমেরিকা। তাইওয়ানকে আমেরিকা যে সব সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি করতে চলেছে, সেগুলি হল ট্যাকটিক্যাল রেডিয়ো সিস্টেম এবং গান মাউন্ট। পাশাপাশি সে দেশের সেনাকে অস্ত্র প্রশিক্ষণ-সহ আরও নানা খাতে সাহায্য করার কথাও ঘোষণা করেছে আমেরিকা। আমেরিকার এই পদক্ষেপকে যে চিন ভালো ভালো ভাবে দেখছে না সেটা চিনের এই হুশিয়ারিতে স্পষ্ট।