ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: দক্ষিণ কোরিয়ার আইনপ্রণেতারা শনিবার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্টের (Yoon Suk Yeol Impeached) পক্ষে ভোট দিয়েছেন। এই ঘটনা, তার গত সপ্তাহে মার্শাল ল জারি করার ব্যর্থ প্রচেষ্টার পর হয়েছে।
ভোটের হাল (Yoon Suk Yeol Impeached)
৩০০ জন আইনপ্রণেতার মধ্যে ২০৪ জন বিদ্রোহের অভিযোগে ইমপিচের (Yoon Suk Yeol Impeached) পক্ষে ভোট দেন, ৮৫ জন বিরোধিতা করেন। তিনজন আইনপ্রণেতা ভোটদানে বিরত থাকেন এবং আটটি ভোট বাতিল হয়।
প্রস্তাব পাসে কী দরকার ছিল? (Yoon Suk Yeol Impeached)
ইমপিচের প্রস্তাব, যা পাস হতে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রয়োজন ছিল, সেখানে ইউনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ চালানোর অভিযোগ তোলা হয় (Yoon Suk Yeol Impeached)। এতে বলা হয়, তিনি একাধিক দাঙ্গার পরিকল্পনা করেছিলেন এবং জাতীয় পরিষদ ও জনসাধারণকে হুমকি দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: Donald Trump: ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেলেন শি জিনপিং
এবার কী হবে?
ইমপিচমেন্টের পরে প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের ক্ষমতা এবং দায়িত্ব স্থগিত করা হয়েছে এবং প্রধানমন্ত্রী হান ডাক-সু অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। এখন সাংবিধানিক আদালত ইউনকে অপসারণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে, যা ১৮০ দিনের মধ্যে ঘোষণা করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। যদি আদালত ইউনের বিরুদ্ধে রায় দেয়, তবে তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে দ্বিতীয় প্রেসিডেন্ট হবেন জিনি ইমপিচ হলেন। এবং ৬০ দিনের মধ্যে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
দক্ষিণ কোরিয়ার রাজনৈতিক সংকট
ইমপিচমেন্ট ভোটটি দক্ষিণ কোরিয়ার উত্তাল রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ইউনের জনপ্রিয়তা নেমে এসেছে রেকর্ড ১১ শতাংশে। সিউলের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে বিক্ষোভকারীরা ইউনের অপসারণ এবং গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন। রাজধানী সিউল প্রশাসন ১,০০০ জন নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করেছে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে।
আরও পড়ুন: US combat Islamophobia: যুক্তরাষ্ট্রে ইসলামফোবিয়া মোকাবিলায় প্রথম সমন্বিত কৌশল প্রকাশ
মার্শাল ল
ডিসেম্বর ৩ তারিখে মার্শাল ল জারি করার ইউনের প্রচেষ্টা ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে। বিরোধী দল এবং বিশেষজ্ঞরা এটিকে বিদ্রোহ বলে আখ্যায়িত করেছেন। ইউন দাবি করেছিলেন, দেশের ভেতরে উত্তর কোরিয়ার রাজনৈতিক সমর্থন নির্মূল করার প্রয়োজনীয়তার কারণেই তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তবে, তার এই পদক্ষেপকে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ মনে করা হয়, যা দেশকে নিরাপত্তা হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে।
গ্রেফতার মন্ত্রীরা
ইউনের এই পদক্ষেপের ফলে মারাত্মক fallout দেখা দিয়েছে। দেশের প্রাক্তন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী গ্রেপ্তার হয়েছেন এবং বেশ কয়েকজন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে উত্তর কোরিয়ার হুমকির প্রেক্ষিতে দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থার সক্ষমতা নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে।