ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি (Yunus on India-Bangladesh Relation) ক্রমশই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই ভারতবিরোধী সুর চড়িয়েছে কিছু উগ্রবাদী গোষ্ঠী।
ভারত ছাড়া উন্নতি সম্ভব নয়! (Yunus on India-Bangladesh Relation)
তারা প্রকাশ্যে ভারতীয় পণ্যের বর্জনের ডাক দিয়েছে (Yunus on India-Bangladesh Relation) এবং ভারতকে বাদ দিয়ে পাকিস্তান থেকে পণ্য আমদানির কথাও ভাবছে। তবে, বাংলাদেশের প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মহম্মদ ইউনূস সম্প্রতি একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ভারত ছাড়া বাংলাদেশের কোনো উন্নতি সম্ভব নয়।
ভারতের বিকল্প নেই (Yunus on India-Bangladesh Relation)
একটি সাক্ষাৎকারে ইউনূস বলেন, “আর কোনো বিকল্প (Yunus on India-Bangladesh Relation) নেই।” তিনি যোগ করেন যে দুই দেশই একে অপরের উপর নির্ভরশীল। তাঁর এই বক্তব্যে রাজনৈতিক কূটনীতি ও সহযোগিতার গুরুত্ব ফুটে ওঠে। তবে তিনি নির্দিষ্ট করে জানাননি, কোন ধরনের প্রচার বা বিষয়বস্তু দুই দেশের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করেছে। ইউনূসের মতে, সাম্প্রতিক কিছু মানুষের প্রচারে টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছে।
মুখোমুখি মোদি-ইউনূস!
বাংলাদেশের সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের এই বক্তব্য কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের কাছে তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে ধরা হচ্ছে। আগামী ৩ ও ৪ এপ্রিল থাইল্যান্ডে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও ইউনূস মুখোমুখি হতে পারেন। এটাই হবে তাঁদের মধ্যে প্রথম সাক্ষাৎ, যা সম্পর্কের নতুন গতি আনতে পারে।

ইউনূসের স্পষ্ট মন্তব্য
উল্লেখযোগ্য যে, ইউনূসের বক্তব্যে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক “খুব ভাল” বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি বলেন, “আমাদের সম্পর্ক এত ঘনিষ্ঠ, আমরা একে অপরের উপর এত নির্ভরশীল।” তাঁর এই মন্তব্যে স্পষ্ট হয় যে, দুদেশের মধ্যে ঐতিহাসিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করার মতো নয়।
বাংলাদেশে নয়া রাজনৈতিক দল
এদিকে, বাংলাদেশে সম্প্রতি আত্মপ্রকাশ করেছে নতুন রাজনৈতিক দল – জাতীয় নাগরিক পার্টি। দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, “বাংলাদেশের মাটিতে ভারত এবং পাকিস্তানপন্থী রাজনীতির কোনো ঠাঁই নেই।” এই দলের মাধ্যমে বাংলাদেশকে নতুনভাবে গড়ার ঘোষণা এসেছে, যা বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নতুন পরিবর্তন আনতে পারে।
আরও পড়ুন: US-China Tariff War: আমেরিকাকে ইটের বদলে পাটকেল ছুঁড়ল চিন?
এই পরিস্থিতিতে ইউনূসের বক্তব্যের প্রেক্ষাপট গুরুত্বপূর্ণ। তিনি যদি প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে আলোচনা করতে আগ্রহী হন, তাহলে তা ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। উভয় দেশের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখা অতীব জরুরি, যা কেবল রাজনৈতিকই নয়, অর্থনৈতিক দিক থেকেও সমৃদ্ধির ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে।