ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: মেটার সিইও মার্ক জুকারবার্গ সম্প্রতি প্রাক্তন প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) শেরিল স্যান্ডবার্গকে কোম্পানির “অন্তর্ভুক্তিমূলক সংস্কৃতি”-র জন্য দায়ী করেছেন (Zuckerberg in Trump meeting)। স্যান্ডবার্গ দুই বছর আগে পদত্যাগ করেছিলেন। দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ২৯ নভেম্বর ডোনাল্ড ট্রাম্পের গল্ফ রিসর্টে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে এই মন্তব্য করেন জুকারবার্গ।
এই বৈঠকে জুকারবার্গ ট্রাম্পকে আশ্বস্ত করেন যে, নতুন প্রশাসনের কাজে তিনি কোনও বাধা সৃষ্টি করবেন না।
মেটার নতুন ঘোষণা (Zuckerberg in Trump meeting)
মেটা, যা ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের মতো প্ল্যাটফর্মের মালিক, সম্প্রতি তাদের ফ্যাক্ট-চেকিং এবং বৈচিত্র্য, সমতা ও অন্তর্ভুক্তি (ডিইআই) প্রোগ্রাম বন্ধ করার কথা ঘোষণা করেছে (Zuckerberg in Trump meeting)। অনেকে মনে করছেন, জুকারবার্গ এই পদক্ষেপগুলো ট্রাম্পের রক্ষণশীল দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার জন্য নিচ্ছেন।
জুকারবার্গের অভিযোগ (Zuckerberg in Trump meeting)
ট্রাম্প ও তার উপদেষ্টাদের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের এই বৈঠকে জুকারবার্গ অভিযোগ করেন (Zuckerberg in Trump meeting), ফেসবুকে “অন্তর্ভুক্তিমূলক উদ্যোগ” চালু করার পেছনে শেরিল স্যান্ডবার্গের ভূমিকা ছিল। এই উদ্যোগ কর্মক্ষেত্রে কর্মীদের নিজেদের প্রকাশ করার জন্য উৎসাহ দিয়েছিল।
আরও পড়ুন: Imran Khan Jail Sentence: ইমরান খানকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড, স্ত্রী বুশরা বিবির ৭ বছরের জেল
কে এই স্যান্ডবার্গ?
স্যান্ডবার্গ একসময় জুকারবার্গের ডানহাত হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ২০২২ সালে তিনি মেটার প্রধান পরিচালন কর্মকর্তার পদ থেকে ইস্তফা দেন। তবে, তিনি বোর্ড সদস্য হিসেবে ছিলেন। গত বছর বোর্ড থেকেও তিনি পদত্যাগ করেন।
যদিও ২০২২ সালে স্যান্ডবার্গের পদত্যাগের পর জুকারবার্গ তাকে “অসাধারণ ব্যক্তি, নেতা, অংশীদার ও বন্ধু” বলে অভিহিত করেছিলেন। তিনি স্যান্ডবার্গের ভূমিকা পুনরায় পূরণ করা সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করেছিলেন।
জুকারবার্গের দাবি
বৈঠকে জুকারবার্গ জোর দিয়ে বলেন যে, তিনি “ট্রাম্পের এজেন্ডায় কোনও বাধা সৃষ্টি করবেন না” এবং শুধুমাত্র “প্রযুক্তি পণ্য নির্মাণে” মনোযোগ দেবেন।
বৈঠকের কয়েকদিন পরেই মেটা ঘোষণা করে যে, তারা তাদের ডিইআই প্রোগ্রাম বন্ধ করছে। এর আওতায় নিয়োগ, প্রশিক্ষণ এবং সরবরাহকারীদের নির্বাচন প্রক্রিয়া পরিচালিত হত। নতুন পরিবর্তনগুলোর ফলে মেটা অভিবাসন, লিঙ্গ এবং যৌনতার মতো বিষয় নিয়ে বক্তৃতার ক্ষেত্রে শিথিলতা আনতে চলেছে।
থাকবেন ট্রাম্পের শপথে
জুকারবার্গ, এলন মাস্ক এবং জেফ বেজোসের মতো টেক জায়ান্টরা ২০ জানুয়ারি ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।