ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: গতরাতে পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে হামলা চালায় ভারত (Operation Sindoor)। জইশ-ই-মহম্মদের শক্ত ঘাঁটি বাহাওয়ালপুর এবং লস্কর-ই-তইবার মুরিদকে ঘাঁটি সহ অনেক জঙ্গি লঞ্চপ্যাডে মিসাইল হামলা চালিয়েছে। বাহাওয়ালপুরে সুবহান-উল-আল্লাহর জামে মসজিদে হামলাতেই মাসুদ আজহারের পরিবারের ১০ জন নিহত হয়েছে। এছাড়াও নিহত হয়েছে আজহারের ৪ জন ঘনিষ্ঠ সহযোগীও। পুলওয়ামার হামলার পর ঠিক যতটা যন্ত্রণা অনুভব করেছিলেন নিহত জওয়ানদের পরিবার। বুধবার সেই একই যন্ত্রণা, একই আর্তনাদ শোনা গেল জইশ-ই-মহম্মদের প্রধান মাসুদ আজহারের মুখে।
গুঁড়িয়ে যায় সেই সব জঙ্গিঘাঁটি (Operation Sindoor)
একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র আকাশ থেকে আছড়ে পড়ে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বেশ কয়েকটি জঙ্গিঘাঁটিতে। মুহূর্তে গুঁড়িয়ে যায় সেই সব জঙ্গিঘাঁটি (Operation Sindoor)! ভারত এই অভিযানের নাম দিয়েছে ‘অপারেশন সিঁদুর’, যার অন্যতম নিশানা ছিল বহওয়ালপুর শহর। পাকিস্তানও এই হামলার কথা স্বীকার করেছে! সেই হামলাতেই প্রাণ হারালেন জইশ-ই-মহম্মদ (জেইএম)-এর প্রধান জইশের প্রতিষ্ঠাতা মৌলানা মাসুদ আজ়হারের পরিবারের ১০ জন। কানঘেঁষে প্রাণ বেঁচে গিয়েছে মাসুদের।
পরিবারের দশ জনকে হারিয়েছেন মাসুদ (Operation Sindoor)
বিবিসি উর্দুর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতের প্রত্যাঘাত প্রসঙ্গে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন জইশ-ই-মহম্মদ প্রধান তথা পুলওয়ামা হামলার মূল চক্রী মাসুদ আজহার (Operation Sindoor)। সেই বিজ্ঞপ্তিতে তিনি জানিয়েছেন, বুধবার মাঝরাতে বাহওয়ালপুরে ভারতীয় বায়ুসেনার এয়ার স্ট্রাইকে তাঁর মা-সহ পরিবারের দশ জনকে হারিয়েছেন মাসুদ। প্রাণ গিয়েছে, তাঁর স্ত্রী, ভাইপো, ভাইঝি, পাঁচ সন্তান, বড় দিদি ও তার স্বামীর। এছাড়াও হামলায় নিহত হয়েছে মাসুদ ঘনিষ্ঠ চার জঙ্গি নেতাও। আরও জানিয়েছে, ‘এই শোক আমি বহন করতে পারছি না। কিন্তু আমার কোনও অনুশোচনা, কোনও ভয় নেই। আমার প্রতি মুহূর্তে মনে হচ্ছে, এই ১৪ জনের মধ্যে আমিও থাকতে পারতাম। কিন্তু আল্লাহ আমায় বাঁচিয়ে নিয়েছে। তবে ভাল হত যদি এদের সঙ্গে আমিও মরে যেতাম। আমি কেন মরলাম না!’।
আরও পড়ুন: Operation Sindoor: সেনার সাফল্যে গর্বিত নরেন্দ্র মোদি, ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে খুললেন মুখ
৯টি সন্ত্রাসবাদী আস্তানায় হামলা
অপারেশন সিঁদুরে এখনও পর্যন্ত ৯০ জন জঙ্গি নিহত হয়েছে। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা RAW বিমান হামলার জন্য সমস্ত টার্গেট চিহ্নিত করেছিল, যার পরে লস্কর এবং জইশ ঘাঁটিতে আক্রমণ করা হয়েছিল। এই অপারেশনে ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তান এবং পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি সন্ত্রাসবাদী আস্তানায় হামলা চালিয়েছে। এই অপারেশটি রাত ১.৩০ টার দিকে করা হয়েছিল। বাহাওয়ালপুর, কোটলি এবং মুজাফ্ফরাবাদে হামলা চালানো হয়েছিল। ভারতের হামলায় পরিবারের এতজন সদস্যর নিহত হওয়ার খবর স্বীকার করেছে মাসুজ আজহার। নিহতদের মধ্যে রয়েছে মাসুদ আজহারের বড় বোন এবং তার স্বামী, মাসুদ আজহারের ভাগ্নে, তার স্ত্রী, আরেক ভাগ্নী এবং পরিবারের পাঁচ সন্তান।