ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: আজ বুধবার, ২০ নভেম্বর। সেই দিনটাও ছিল ২০ নভেম্বর, তবে সালটা ছিল ২০২২। প্রায় দু’বছর হয়ে গেল অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা (Aindrila Sharma) আমাদের মধ্যে নেই। কিন্তু তাও মানুষ ঐন্দ্রিলাকে ভোলেনি। তাঁর প্রত্যেকটি ধারাবাহিকের কাজ থেকে শুরু করে, তাঁর কথা ব্যবহার এখনও বাঙালি দর্শকদের মনে জীবন্ত। দেখতে দেখতে দু’বছর পেরিয়ে গেলেও, তার স্মৃতি ম্লান হয়নি। কিন্তু সেই স্মৃতি উসকে দিলেন ঐন্দ্রিলার দিদি। ছবি শেয়ার করলেন সোশ্যাল মিডিয়ায় । তিনি তাঁর বোনের উদ্দেশ্যে কী লিখলেন?
কী লিখলেন দিদি? (Aindrila Sharma)
প্রায় দু’বছর হয়ে গেলেও স্মৃতি এখনও দগদগে। অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মার (Aindrila Sharma) প্রয়াণের দু’বছর পার। তাঁর দিদি ছবি পোস্ট করে লিখেন, “ভালো থাকিস বোনু।” পোস্ট দেখে বহু অনুরাগী কমেন্ট করেন। একজন লেখেন, ‘তুমি যেখানেই থাকো খুব ভালো থেকো।’ আবার একজন লেখেন, ‘অভিশপ্ত একটা দিন আজ’। ২০২০ সালে ১ নভেম্বর খবরটা এসেছিল আচমকাই। শুধুমাত্র অভিনেত্রীর পরিবার পরিজন নয়, তাঁর অনুরাগীরাও সেই কটা দিন উদ্বেগের মধ্যে কাটিয়েছিলেন। কিন্তু শত শত প্রার্থনাও শেষ রক্ষা করতে পারেনি । ব্রেনস্ট্রোকের পর কোমায় চলে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী ।
বোনের স্মৃতিতে ডুব দিদির (Aindrila Sharma)
মাঝে মাঝেই দিদি ঐশ্বর্য শর্মা বোনের স্মৃতিতে ডুব দেন। কিছুদিন আগেই বোনের সঙ্গে তোলা ছোটবেলার ছবি পোস্ট করেছিলেন । তিনি লেখেন, ‘আমি তখন ক্লাস সেভেন, বোনু ক্লাস ফোর ‘। তাঁর প্রতিটা স্মৃতি যত্ন করে আগলে রেখেছেন মা- বাবা, দিদি আর সব্যসাচী চৌধুরী। দুই বছর আগে আজকের দিনেই তাঁর লড়াই শেষ হয়েছিল। ঐন্দ্রিলা শর্মা (Aindrila Sharma) নেই কিন্তু স্মৃতি রয়ে গিয়েছে। আর সেই সব স্মৃতি আগলে রয়েছে তাঁর কাছের মানুষেরা।
আরও পড়ুন: Akshay Kumar: হঠাৎ রাস্তার মাঝে বিপদে অক্ষয়, শৌচালয় নোংরার অভিযোগ!
ফেসবুক জুড়ে স্মৃতি
ঐন্দ্রিলার দিদি, মা শিখা শর্মার ফেসবুক জুড়ে তাঁরই স্মৃতি। ঐন্দ্রিলার নানা ছবি ভিডিয়ো শেয়ার করেন তিনি। সকলের সঙ্গে নিজের মনের কথা দুঃখ ভাগ করে নেন । দিদি ছোট্ট বোনের কত ছবি শেয়ার করেছেন সেখানে । অভিনেত্রীর কত আনন্দ মুহূর্ত তুলে ধরা হয়েছে। তাঁর এই সমস্ত ছবি যেন বারবার মনে করিয়ে দেয়, ঐন্দ্রিলার লড়াইয়ের কথা। পরিবারের প্রাণকেন্দ্র ছিলেন ঐন্দ্রিলা।
আরও পড়ুন: Shah Rukh Khan: বাথরুমে কাঁদতেন শাহরুখ, ঠিক কী হয়েছিল? শোনালেন কঠিন সময়ের গল্প
কী বলেছিলেন মা?
মেয়ের মৃত্যুর পর শিখা দেবী বলেছিলেন, সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে চলতে ভালোবাসতো মেয়েটা। ওঁর কোনও কিছুর প্রতি মোহ ছিল না। প্রিয় জিনিসগুলো সহজেই ছেড়ে দিতে পারতো। অভাবীদের দেখলে ওঁর প্রাণ কাঁদত। সেই মেয়েটাকে ঈশ্বর নিজের কাছে টেনে নিলেন। ওখানেও হয়তো ওঁর প্রয়োজন পড়েছিল।” বোনের মৃত্যুর পর তাঁর দেখানো পথেই দিদি মন বসিয়েছেন। ডাক্তারের পাশাপাশি মিউজিক ভিডিয়ো তৈরি করেন দিদি। বিনোদনের সঙ্গে কিছুটা জড়িয়ে বোনের অভাব পূরণের চেষ্টা করে চলেছেন দিদি।