ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ২০০৮ সালের মুম্বই হামলার অন্যতম সন্দেহভাজন চক্রী তাহাউর রানাকে অবশেষে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের অনুমতি দিল দিল্লির পটিয়ালা হাউস কোর্ট (26/11 Mumbai Attack)। আদালত জানিয়েছে, রানা তিহাড় জেল থেকে একবার বাড়িতে ফোন করতে পারবেন, তবে জেল কর্তৃপক্ষের যাবতীয় নিয়ম-কানুন মেনে। ফোনের সময় উপস্থিত থাকবেন জেল কর্তৃপক্ষের নজরদারি বাহিনী। ৬৪ বছরের পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত কানাডীয় নাগরিক তাহাউর রানা দীর্ঘ দিন ধরে আমেরিকার জেলে বন্দি ছিলেন। সম্প্রতি তাঁকে আমেরিকা থেকে ভারতে প্রত্যর্পণ করা হয়। বর্তমানে তিনি দিল্লির তিহাড় জেলে রয়েছেন।
পরিবারের সঙ্গে ফোন করার অনুমতি পেল রানা (26/11 Mumbai Attack)
তাঁর আইনজীবীরা আদালতের কাছে বারবার আবেদন জানিয়ে আসছিলেন, রানা বিদেশি নাগরিক, তাঁর স্বাস্থ্যের অবস্থা ভাল নয়, এবং পরিবারের সদস্যরা তাঁর খোঁজ নিতে চাইছেন (26/11 Mumbai Attack)। যদিও জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (NIA) প্রাথমিকভাবে এর বিরোধিতা করে জানিয়েছিল, রানার মামলা অত্যন্ত সংবেদনশীল। পরিবারের সঙ্গে ফোনালাপের ছুতোয় তিনি গোপন তদন্ত সংক্রান্ত তথ্য পাচার করতে পারেন। তবে এনআইএ এবার একবার ফোন করার অনুমতিকে আপত্তি করেনি। ফলে আদালত রানার পক্ষে রায় দিয়ে জানায়, তাঁকে একবার পরিবারের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। তবে ভবিষ্যতে এই সুবিধা নিয়মিত করে দেওয়া হবে কি না, তা নির্ভর করবে ফোনালাপের বিষয়বস্তুর উপর। এই কথোপকথনের ওপর তিহাড় কর্তৃপক্ষ নজর রাখবে এবং আদালতে রিপোর্ট দেবে।
রানার স্বাস্থ্যের অবস্থার অবনতি(26/11 Mumbai Attack)
রানার স্বাস্থ্যের অবস্থাও আদালতের চিন্তার বিষয় হয়ে উঠেছে। এর আগের শুনানিতে আদালত তিহাড় কর্তৃপক্ষের কাছে তাঁর শারীরিক অবস্থার রিপোর্ট চেয়েছিল(26/11 Mumbai Attack)। সোমবার আদালত জানায়, এই সংক্রান্ত দ্বিতীয় রিপোর্ট আগামী ১০ দিনের মধ্যে জমা দিতে হবে। আইনজীবীদের মতে, রানা উচ্চ রক্তচাপ এবং হৃদ্রোগে ভুগছেন।গত সপ্তাহেই রানার জেল হেফাজতের মেয়াদ বাড়িয়ে ৯ জুলাই পর্যন্ত করা হয়। সেই শুনানিতে তাঁকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে আদালতে হাজির করানো হয়েছিল।
আরও পড়ুন: PM Narendra Modi : জি-৭ বৈঠকের আগে মোদীকে হুমকি খালিস্তানপন্থীদের! ভ্যাঙ্কুভারে সাংবাদিকের উপর হামলা
মুম্বই হামলায় রানার ভূমিকা(26/11 Mumbai Attack)
তাহাউর রানা, যিনি এক সময় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর চিকিৎসক ছিলেন, পরে কানাডার নাগরিকত্ব লাভ করেন এবং আমেরিকায় স্থায়ী হন(26/11 Mumbai Attack)। তাঁকে ২০০৮ সালের মুম্বই হামলার মূল অভিযুক্ত ডেভিড হেডলির সহযোগী হিসেবে ধরা হয়। হেডলি নিজেই তদন্তকারীদের জানিয়েছিলেন, মুম্বই হামলার প্রস্তুতিতে রানার সরাসরি ভূমিকা ছিল।ভারতীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির দাবি, রানা ছিল লস্কর-ই-তইবা ও আইএসআই-এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগযুক্ত। তাঁকে ভারতে প্রত্যর্পণের জন্য দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর অবশেষে আমেরিকা থেকে হস্তান্তর করা হয়।এই মুহূর্তে মামলা তদন্তাধীন, তবে রানার উপর নজরদারি এবং আদালতের নির্দেশিত নিয়মে যোগাযোগের বিষয়টি মামলার অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে বলে মত আইন বিশেষজ্ঞদের।