ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ‘লাল সন্ত্রাস’ দমনে ফের বড়সড় সাফল্য(Maoists)। মধ্যপ্রদেশে যৌথ বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিহত হয়েছে ৪ মাওবাদী নেতা। পাশাপাশি, ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র এবং বিস্ফোরক।
মাওবাদী নিকেশ অভিযান (Maoists)
জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বালাঘাট জঙ্গলে যৌথ অভিযান চালায় মধ্যপ্রদেশ পুলিশের হকফোর্স বাহিনী এবং সিআরপিএফ(Maoists)। খবর ছিল, ওই এলাকায় লুকিয়ে রয়েছে বেশ কয়েকজন মাওবাদী। সেই মতো এলাকা ঘিরে শুরু হয় তল্লাশি। পিছু হঠার জায়গা না পেয়ে রীতিমতো কোণঠাসা হয়ে যৌথ বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে মাওবাদীরা। পালটা জবাব দেয় যৌথ বাহিনীও। দীর্ঘক্ষণ দু’পক্ষের গুলির লড়াই চলার পর অবেশেষে মৃত্যু হয় চার মাও নেতার। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতদের মধ্যে ৩ জন মহিলা রয়েছে।সেখান থেকে গ্রেনেড লঞ্চার-সহ বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মধ্যপ্রদশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব।

মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া (Maoists)
মধ্যপ্রদশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব, যে সমস্ত পুলিশকর্মীর জন্য এই সাফল্য এসেছে তাঁদের পুরস্কৃত করা হবে বলে জানিয়েছেন(Maoists)। তিনি বলেন, ‘অভিযানে উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র এবং বিস্ফোরক। বালাঘাট রাজ্যের একমাত্র মাওবাদী অধ্যুষিত জেলা। লাল সন্ত্রাস দমনে আমাদের পুলিশ এবং নিরাপত্তাবাহিনী প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে।’ গত কয়েকদিনে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযানে একের পর সাফল্য এসেছে ছত্তিশগড়ে। মাওবাদী বিরোধী অভিযানে, আইইডি বিস্ফোরণে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মর্যাদার এক আধিকারিকের মৃত্যু হলেও বিজাপুর-সহ বিভিন্ন এলাকায় যৌথ বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে বেশ কয়েকজন মাওবাদী সদস্যের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন-Pune: পুণেতে নদীর উপর ভেঙে পড়ল সেতু! বহু পর্যটকের মৃত্যুর আশঙ্কা
সিআরপিএফ জওয়ানের মৃত্যু (Maoists)
শনিবার সকালেই, মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযানে গিয়ে, ওড়িশা-ঝাড়খণ্ড সীমানায় রাউরকেলার লাঙ্গালকাটা এলাকায় আইইডি বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় সিআরপিএফ জওয়ান সত্যবান কুমার সিং-র(Maoists)। তারপরেই মধ্যপ্রদেশে মাওবাদী-বিরোধী অভিযানে সাফল্য পাওয়ার কথা জানিয়েছেন সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, গুলির লড়াইয়ে চার জন মাওবাদী সদস্যর মৃত্যু হয়েছে। সেখান থেকে গ্রেনেড লঞ্চার ছাড়াও এসএলআর , দুটি রাইফেল, গুলি এবং অন্যান্য আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া গিয়েছে।দিন কয়েক আগেই ছত্তিশগড়ের সুকমা এলাকায় যৌথবাহিনীর সঙ্গে লড়াইয়ে মৃত্যু হয়েছে ২ জন মাওবাদী সদস্যের। বস্তার রেঞ্জের আইজি সুন্দররাজ পাট্টিলিঙ্গমের মতে, এখন মাওবাদীদের পলিটব্যুরোর মাত্র ৪ জন সদস্য এবং কেন্দ্রীয় কমিটির ১৮ জন সদস্য জীবিত আছেন।

আরও পড়ুন-Kedarnath Yatra: ধসে মৃত্যু পুণ্যার্থীর, আপাতত বন্ধ কেদারনাথ যাত্রা
মাওবাদমুক্ত ভারত (Maoists)
২০২৬ সালের মার্চ মাসের মধ্যে মাওবাদমুক্ত ভারত গড়ার বার্তা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ(Maoists)। এরপর থেকেই ছত্তিশগড়, ঝড়খণ্ডের মতো মাওবাদী অধ্যুষিত রাজ্যগুলিতে মাওবিরোধী অভিযান ব্যাপক গতি পেয়েছে। গোয়েন্দাদের মতে, বর্তমানে ছত্তিশগড় তেলেঙ্গানা সীমানাবর্তী কারেগুট্টা পাহাড়ি এলাকা মাওবাদীদের অন্যতম শক্তঘাঁটি। এই এলাকা থেকে মাওবাদের শিকড় উপড়ে ফেলতে প্রায় ৩ হাজার আধাসেনাকে নামানো হয়েছে। ২১ এপ্রিল থেকে ওই অঞ্চলে শুরু হয়েছে অভিযান। এখনও পর্যন্ত ওই এলাকাজুড়ে অভিযান চালিয়ে ৩১ জনের বেশি মাওবাদীকে হত্যা করা হয়েছে। ছত্তিশগড়, মহারাষ্ট্র ও তেলেঙ্গানা সীমানা ঘেঁষা পাহাড় ও জঙ্গলে ঘাঁটি গেড়ে থাকা ১০০০ মাওবাদীকে ধরতে নামানো হয়েছে প্রায় ২০ হাজারের বেশি যৌথ বাহিনীকে।
