ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: গতকাল ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং এর বৈঠক হয় (India-China)। সেই বৈঠকে উঠে এসেছে একাধিক সীমান্ত সংক্রান্ত বিষয়।বিদেশ মন্ত্রকের একটি সুত্রের দাবি, পশ্চিম, মধ্য ও পূর্ব- ভারত এবং চিনের মধ্যে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা-র এই তিনটি সেক্টরে পৃথক ভাবে আলোচনার টেবিলে নিয়ে এসে এক এক করে সমস্যার সমাধান করতে চায় চিন।কিন্তু ভারত চাইছে একসাথে ভারত ও চিনের মধ্যের গোটা সীমান্ত নিয়েই আলোচনা এবং সমাধান সুত্র তৈরি করতে।
‘ভাল-ওয়াং বৈঠক (India-China)
২০১৯ সালের ডিসেম্বরের পর এটাই চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং-এর সাথে (India-China) ভারতের ‘এনএসএ’ অজিত ডোভালের প্রথম বৈঠক। প্রায় চার বছর ভারত ও চিন দুই দেশের মধ্যে কোনো এই ধরনের বৈঠক হয়নি। ২০২০ সালে ভারত ও চিনের সীমান্ত সংঘর্ষের পর ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল দুই দেশের সীমান্তে। এবছর অক্টোবরে সীমান্ত সংঘাতের মীমাংসার জন্য রাশিয়ার সাহায্যে আলোচনায় বসে ভারত ও চিন দুই দেশই। র পর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা অনেক কমে যায়। তারপর ভারত ও চিনের মধ্যে এই প্রথম বিশেষ প্রতিনিধি স্তরের বৈঠক হয়েছে।
সীমান্তে মোতায়েন সেনা (India-China)
গত অক্টোবরে ভারত ও চিনের মধ্যে সীমান্ত সংঘাতের (India-China) সমাধান আসলেও এখনও উত্তেজনা একেবারে কমেনি। দুই দেশের সেনা দের ‘টহলদারির সীমানা’ চিহ্নিত করা এবং সেনাদের ডিসএনগেজমেন্টের করলেও এখনও পূর্ব লাদাখে উত্তেজনার মেঘ কাটেনি। এখনও পূর্ব লাদাখের এলএসি-তে মোতায়েন রয়েছে দুই দেশেরই বিপুল সংখ্যক সেনা।
আরও পড়ুন: Dhankhar No Confidence: ধনখড়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা খারিজ! প্রস্তাবে ‘ত্রুটি’, তাই গৃহীত না
সীমান্তে সেনা কমানো
সীমান্তে আবারও সংঘাত এড়িয়ে চলার জন্য দুই দেশই সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে একাধিক বার আলোচনায় বসেছে।ভারতের এনএসএ-অজিত ডোভাল ও চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং-এর মধ্যে এই বৈঠক সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে ২৩তম বিশেষ প্রতিনিধি স্তরের বৈঠক।সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের ভারত চিন সীমান্ত সংঘাতের থেকে শিক্ষা নিয়ে সীমান্তে শান্তি ও সুস্থিতি বজায় রাখতে কি কি পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
বৈঠকের আলোচনা
বুধবার ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল ও চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং-এর মধ্যে এই বৈঠকে দুইদেশের মধ্যে সীমান্ত বিরোধের নিস্পত্তির বিষয়ে যুক্তিসংগত আলোচনায় সমাধান খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে।
সমাধান মিলবে?
চিনের এমন প্রায় কোনও প্রতিবেশী নেই, যাদের সঙ্গে তাদের সীমান্ত নিয়ে বিরোধ নেই। ১৯৬২ সালে ভারতীয় ভূখণ্ডে আগ্রাসন, ১৯৬৭-তে সিকিমের নাথু লা এবং চোলায় সংঘর্ষ এমনকি, ২০২০-র জুনে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকাও চিনা পিপল্স লিবারেশন আর্মির আগ্রাসী চেহারা দেখেছে। সাম্প্রতিক সময়ে পূর্ব লাদাখের পাশাপাশি ভুটান সীমান্তবর্তী ডোকলাম এবং অরুণাচলের তাওয়াংয়েও চিনা ফৌজের বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের অভিযোগ উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে ডোভাল-ওয়াং বৈঠকের সিদ্ধান্ত তৃণমূল স্তরে কতটা প্রতিফলিত হবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের একাংশের।