ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ভারতীয় নৌবাহিনীর ইস্টার্ন ফ্লিটের শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র করভেট আইএনএস কির্চ (INS Kirch) আজ তার ২৪তম বর্ষপূর্তি উদযাপন করছে। এই যুদ্ধজাহাজটি ভারতীয় নৌবাহিনী দ্বারা ডিজাইন করা এবং মুম্বাইয়ের মাজাগন ডক লিমিটেড দ্বারা নির্মিত। ২০০১ সালের ২২ জানুয়ারি এই জাহাজটি প্রজেক্ট-২৫এ ক্ষেপণাস্ত্র করভেট প্রকল্পের দ্বিতীয় জাহাজ হিসেবে কমিশন করা হয়।
জাহাজের ক্ষমতা (INS Kirch)
১৫০০ টন ওজনের এই যুদ্ধজাহাজটি (INS Kirch) ঘণ্টায় ২৫ নটের বেশি গতিতে চলতে সক্ষম এবং এতে রয়েছে অত্যাধুনিক এবং বিধ্বংসী অস্ত্র এবং সেন্সর। এর মধ্যে রয়েছে দীর্ঘ পাল্লার সারফেস-টু-সারফেস মিসাইল, মাঝারি পাল্লার কামান, স্বল্প দূরত্বের কামান এবং চ্যাফ লঞ্চার। এইসব ব্যবস্থাগুলি একে আক্রমণাত্মক সারফেস যুদ্ধ, উপকূলীয় নিরাপত্তা এবং উপকূলীয় টহল দেওয়ার ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকরী করে তোলে।
জাহাজের নামকরণ এবং প্রতীক (INS Kirch)
আইএনএস কির্চ (INS Kirch) নামটি এসেছে ভারতের এক বিরল দুই দিকে ধার থাকা তলোয়ার “কির্চ” থেকে। এই তলোয়ার মারাঠাদের দ্বারা উদ্ভাবিত এবং এর বিশেষত্ব হল ‘হিন্দু বাস্কেট হিল্ট’। জাহাজের প্রতীকে লাল পটভূমিতে একটি কির্চ রয়েছে যা সাহস এবং আত্মত্যাগের প্রতীক। এর নীচের অংশে নীল-সাদা সমুদ্রের ঢেউ দেখানো হয়েছে, যা মহাসাগরের বিশালতাকে নির্দেশ করে।
আরও পড়ুন: Maoist Encounter : ওড়িশা-ছত্তীসগড় সীমানায় বিরাট সাফল্য! রাতভর গুলির লড়াইয়ে হত ১৪ মাওবাদী
গৌরবময় সেবা
আইএনএস কির্চ তার দীর্ঘ সেবায় দেশের সামুদ্রিক স্বার্থ রক্ষায় নৌবাহিনীর অটুট প্রতিশ্রুতি এবং নাবিকদের নিষ্ঠার প্রতীক। এই যুদ্ধজাহাজটি অপারেশন পরাক্রম, অপারেশন মদৎ, অপারেশন ক্রস বো, এসএলআইএনইএক্স, জেআইএমইএক্স, ইন্দ্র এবং মালাবারের মত বিভিন্ন ক্রস কোস্ট, বিদেশি এবং বহু-পাক্ষিক মিশনে অংশগ্রহণ করেছে। এটি প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় উদ্ধার অভিযান এবং মানবিক সহায়তাতেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছে।
আরও পড়ুন: Sharon Raj murder case: কেরালায় প্রেমিক খুনের মামলায় গ্রীষ্মার মৃত্যুদণ্ড!
সম্প্রতি, এই জাহাজটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ মালাক্কা প্রণালীতে তার মোতায়েনের সময় সম্পন্ন করেছে এবং সঙ্কটে থাকা মালয়েশিয়ার পতাকাবাহী ইয়ট “বিট”-কে সাহায্য করেছে।
নৌবাহিনীর মূলমন্ত্র অনুসরণে অঙ্গীকারবদ্ধ
আইএনএস কির্চ ভারতীয় নৌবাহিনীর মূলমন্ত্র “কমব্যাট রেডি, ক্রেডিবল, কোহেসিভ অ্যান্ড ফিউচার রেডি” একে অনুসরণ করে সগর্বে এবং পেশাদারিত্বের সঙ্গে দেশের সেবা করে চলেছে। এর গৌরবময় ইতিহাস প্রমাণ করে যে এটি ভবিষ্যতেও দেশের সুরক্ষা এবং সমুদ্রসীমার রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।