ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: দুর্বল নেটওয়ার্ক পরিকাঠামোর জেরে যারা BSNL(BSNL 4G) ছেড়ে জিও, এয়ারটেল ও ভিআই ছেড়ে এসেছিলেন, তারা আবার ফিরতি পথ ধরতে শুরু করেছেন। ফলে ধীরে ধীরে মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে BSNL। গত নভেম্বরে তিন লাখ গ্রাহক হারিয়েছে কোম্পানি। তবে তারপর দ্রুত গতিতে ৪জি-র প্রস্তুতি জারি রেখেছে বিএসএনএল। বসানো হচ্ছে নতুন টাওয়ার। কোম্পানি বলছে, ২০২৫ সালের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে ১ লাখ ৪জি সাইট স্থাপন করা।
চতুর্থ বৃহত্তম টেলিকম অপারেটর (BSNL 4G)
বর্তমানে, জিও, এয়ারটেল, ভিআই এর পর চতুর্থ বৃহত্তম টেলিকম অপারেটর বিএসএনএল(BSNL 4G)। গত বছর জুলাইয়ে বেসরকারি কোম্পানিগুলির ট্যারিফ বৃদ্ধির পর দলে দলে মানুষ যোগ দিয়েছেন বিএসএনএলে। কিন্তু, সময়ের সাথে কল দ্রুপ, দুর্বল নেটওয়ার্ক, বাফারিং ইত্যাদি একাধিক সমস্যায় জর্জরিত ব্যবহারকারীরা। সেই সমস্যাগুলি স্বীকারও করেছে কোম্পানি। বিএসএনএল আশস্ত করেছে, যে ফেব্রুয়ারির মধ্যে সমস্যা সমাধান করা হবে।
৬৫,০০০ ফোর–জি সাইট (BSNL 4G)
ইতিমধ্যে ৬৫ হাজারের বেশি ৪জি টাওয়ার বসিয়ে ফেলেছে কোম্পানি(BSNL 4G)। যার মাধ্যমে ব্যবহারকারী আরও ভালো নেটওয়ার্ক এবং উন্নত মানের পরিষেবা পাবেন বলে দাবি করেছে এই সরকারি টেলিকম অপারেটরটি। সম্প্রতি ট্রাই-এর তথ্য পরিসংখ্যান পেশ হয়েছে। সারা ভারতে বিএসএনএল এখনও পর্যন্ত প্রায় ৬৫,০০০ ফোর–জি সাইট চালু করেছে এবং ২১০০ মেগাহাৎর্জ ও ৭০০ মেগাহাৎর্জ স্পেকট্রামের উপর ভিত্তি করে তারা ঘরে–বাইরে পরিষেবার মান বাড়ানোর উপর জোর দিয়েছে। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন বিএসএনএল চেয়ারম্যান রবার্ট জে রবি।
আরও পড়ুন:Mobile Recharge Plan: রিচার্জ শেষ হলেও কত দিন ডি-অ্যাক্টিভেট হবে না কোন সিম?
৬০ শতাংশ এলাকায় ৪জি কভারেজ
কলকাতায় এখনও পর্যন্ত ১,১৪৮টি ফোর–জি সাইট চালু করেছে বিএসএনএল(BSNL 4G)। আগামী তিন মাসে এই সংখ্যাটি ১,৬৭১–এ নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রেখেছে সংস্থাটি। বিএসএনএল সূত্রে খবর, কলকাতা টেলিকম সার্কেলের ৬০ শতাংশ এলাকায় তাদের এখন ফোর–জি কভারেজ রয়েছে।
দেশীয় প্রযুক্তির উপর ভর করে ৫জি পরিষেবা
দেশজুড়ে ৪জি স্থাপনের কাজ অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন কোম্পানির কর্মকর্তারা। কিন্তু, বর্তমানে বেশিরভাগ স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা ৪জি থেকে ৫জি-তে স্থানান্তর করে ফেলেছেন। যদিও বিএসএনএলের দাবি, ৪জি সাইট স্থাপনের কাজ শেষ হলে, পুরো দমে শুরু হবে ৫জি টাওয়ার স্থাপনের কাজ। এর জন্য TCS এর সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে কোম্পানি। সরকারের তরফ থেকে নানা ভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে। কেন্দ্রের দাবি, দেশীয় প্রযুক্তির উপর ভর করে ৫জি পরিষেবা দেবে বিএসএনএল।
আরও পড়ুন:WhatsApp Payment Process: অনায়াসেই পাঠান হোয়াট্সঅ্যাপের মাধ্যমে টাকা, জানুন পদ্ধতি
কী বলছেন বিএসএনএল চেয়ারম্যান?
বিএসএনএল চেয়ারম্যান রবার্ট জে রবি বলছেন, ‘আমরা প্রায় ৬৫,০০০ ফোর–জি সাইট চালু করেছি। এগুলি সম্পূর্ণ ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি। বিশ্বের কয়েকটি মাত্র দেশ এ ধরনের প্রচেষ্টা নিয়েছে।’ তিনি আরও বলছেন, ‘আমরা দেশে তৈরি ফোর–জি নেটওয়ার্ক বসিয়েছি। প্রত্যেক নতুন প্রযুক্তিতে কিছু প্রতিবন্ধকতা থাকে, যা আমরা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি। পরিষেবার গুণগত মান নিশ্চিত করা এবং গ্রাহকদের সন্তুষ্ট রাখা আমাদের অগ্রাধিকার। চলতি বছরের মাঝামাঝি কিছু নির্দিষ্ট এলাকায় রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থাটি বাণিজ্যিক ভাবে ফাইভ–জি পরিষেবা চালু করার পরিকল্পনা করেছে। রবির বক্তব্য, ‘সারা দেশে ১ লক্ষ ফোর–জি সাইট চালু হওয়ার পর আমরা পর্যাপ্ত ফোর–জি কভারেজ দিতে সক্ষম হব। একই সঙ্গে ক্ষমতা আরও বাড়ানোর পরিকল্পনাও আমরা করেছি।’