ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির প্রথম দফা চলাকালীনও প্যালেস্টাইনের পশ্চিম ভূখণ্ড এবং পূর্ব জেরুসালেমসহ বিভিন্ন অঞ্চলে ইজরায়েলি (Gaza War) বাহিনীর লাগাতার বোমাবর্ষণের ঘটনা ঘটছে। শরণার্থী শিবিরগুলি, গৃহহীন মানুষের বসবাসের স্থানও বাদ যাচ্ছে না।
যেন ধ্বংসস্তূপ জেরুজালেম (Gaza War)
হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে অন্তত ৮০০ প্যালেস্টাইনি প্রাণ (Gaza War) হারিয়েছেন, যার মধ্যে অধিকাংশই মহিলা ও শিশু। ইজরায়েলি বাহিনী প্যালেস্টাইনি চাষের জমি, অলিভ গাছের ক্ষেতও ধ্বংস করছে, যার ফলে মানবিক বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়েছে। পশ্চিম ভূখণ্ড এবং পূর্ব জেরুসালেমে বোমা হামলা চলতে থাকায় এসব অঞ্চল কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ধ্বংস হচ্ছে মানব সমাজ, বিপর্যস্ত মানব জীবন।
গণহত্যার তীব্র নিন্দা (Gaza War)
এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক মহল ইজরায়েলের এই গণহত্যার (Gaza War) তীব্র নিন্দা করেছে। প্যালেস্টাইনি নাগরিকদের ওপর ইজরায়েলের চলমান হামলার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিভিন্ন দেশ এবং মানবাধিকার সংগঠন। এই সময়ে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবস্থানও সমালোচিত হয়েছে। ট্রাম্প সম্প্রতি গাজাবাসীসহ প্রায় ১৫ লক্ষ প্যালেস্টাইনিকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য মিশর ও জর্ডনের কাছে প্রস্তাব দেন। তার এই বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছে মিশর, জর্ডন এবং ইরান। তাদের মতে, প্যালেস্টাইনিদের নিজেদের ভূখণ্ড ছাড়তে বলার মানে হলো একটি জাতিকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া। এই প্রস্তাবের বাস্তবায়ন সম্ভব হলেও জাতির পক্ষে তা নিরাপদ নয়।
আরও পড়ুন: Doanld Trump Tax Law: কার্যকরের পথে ট্রাম্পের শুল্ক-নীতি, কঠোর বার্তা চিনকেও
নেতানিয়াহু ও ট্রাম্পের বৈঠক
এদিকে, ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সম্প্রতি আমেরিকা সফরে যান এবং সেখানে তিনি বলেন, “শক্তির সাহায্যেই আমরা আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করতে সক্ষম হব।” এই বক্তব্যে নেতানিয়াহুর বার্তা ছিল স্পষ্ট। ইজরায়েল হামাসের বিরুদ্ধে ‘জয় লাভ’ করতে বদ্ধপরিকর। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মতে, নেতানিয়াহু ও ট্রাম্পের বৈঠক ইজরায়েল-হামাস সংঘর্ষের পরবর্তী পর্যায়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। তাদের সিদ্ধান্তই নির্ধারণ করবে আগামী জাতির ভবিষ্যৎ।
প্যালেস্টাইনিদের মানবাধিকারের দাবি
এই পরিস্থিতির মধ্যে, প্যালেস্টাইনি জনগণের মানবাধিকার রক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। ‘দ্য হেগ গ্রুপ’ নামে একটি সংগঠন প্যালেস্টাইনিদের জন্য সুবিচারের দাবি তুলেছে, এবং আইনের আওতায় তাদের ওপর হামলা চালানোর বিরোধিতা করছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলোর এই লড়াই এখন প্যালেস্টাইনিদের একমাত্র আশার আলো।