ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বাংলাদেশে এবার নিষিদ্ধ হতে চলেছে আওয়ামি লিগ(Bangladesh Awami League)। এই বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার দ্রুত পদক্ষেপ করবে বলে জানালেন মহম্মদ ইউনুসের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। গতকাল শুক্রবার বার্তা সংস্থা বাসসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।
ঐক্যমত অন্যান্য রাজনৈতিক দল? (Bangladesh Awami League)
উপদেষ্টা সজীব ভূঁইয়া বলেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামি লিগকে(Bangladesh Awami League) নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে বর্তমান সরকার শিগগিরই পদক্ষেপ নেবে। এই বিষয়ে যে রাজনৈতিক দলগুলোকে একজোট করার প্রক্রিয়া চলছে, তা স্পষ্ট। এদিন সজীব আরও বলেন, “প্রথমত এটা অত্যন্ত ইতিবাচক যে আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও একধরনের ঐকমত্য তৈরি হচ্ছে। দেশের মানুষ তৎকালীন ক্ষমতাসীন ওই দলের অগণতান্ত্রিক এবং একগুঁয়েমি মনোভাব ও কার্যকলাপ মেনে নিতে পারেনি বলেই ৫ আগস্টের আগে ও পরে তাদের মধ্যে দলটি নিষিদ্ধ করার বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এমন ঐকমত্য তৈরি হলে সরকারের জন্য যেকোনও সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা সহজ হবে।”
একই দাবি বিএনপি-র (Bangladesh Awami League)
আসিফ মাহমুদ বলেন, ৫ আগস্টের পরে জনগণের যে আকাঙ্ক্ষা ও চাওয়ার জায়গা আছে, সেগুলোকে প্রাধান্য দেওয়াটাই আমাদের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। সে জায়গা থেকে বিএনপি’র পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগ(Bangladesh Awami League) নিষিদ্ধের যে দাবি উঠেছে, আমি বিষয়টিকে সাধুবাদ জানাতে চাই। তিনি বলেন, বিচারিক প্রক্রিয়া ছাড়াও ৪টি আইন রয়েছে, যেখানে সরকার নির্বাহী আদেশে যে কোনো দলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে। তবে, এটার লিগ্যাল ফ্রেমওয়ার্কটা (আইনি কাঠামো) কী হবে, এ বিষয়ে সরকার এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।
আরও পড়ুন:Bangladesh Incident: উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড বরদাস্ত ‘না’, অগ্নিসংযোগের ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ ইউনূসের
ফেব্রুয়ারিতে নতুন দল?
আসিফ বলেন, ‘বর্তমানে তাদের ভেতরেও রাষ্ট্র গঠনের স্পৃহা তৈরি হয়েছে। এই শক্তিটাকে সংহত করার জন্য একটা রাজনৈতিক দলের প্রয়োজন। দল গঠনের সিদ্ধান্ত হলেও এ দলের কোন নাম এখনো চূড়ান্ত হয়নি। ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয়ার্ধে নতুন দলটির আত্মপ্রকাশের বিষয়ে চিন্তা করা হচ্ছে বলে এখন পর্যন্ত জানতে পেরেছি। ’(Bangladesh Awami League)
নতুন দলে সরকারের প্রতিনিধি?
ছাত্রদের নতুন দলে সরকারের কোনো প্রতিনিধি থাকবে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে আসিফ মাহমুদ বলেন, এ বিষয় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে আমাদের নীতিগত অবস্থান হলো- বর্তমান সরকারে ছাত্র প্রতিনিধি যারা আছেন তাদের মধ্যে থেকে কেউ যদি রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অংশ গ্রহণ করেন, সেক্ষেত্রে তাদের সরকারে থাকাটা ঠিক হবে না। কেউ যদি সেই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যায় তো অবশ্যই সরকার থেকে পদত্যাগ করে তবেই সেখানে যাবে।
আরও পড়ুন:Sheikh Hasina: হাসিনাকে দেশে ফেরাবে ভারত? প্রত্যার্পণের দাবিতে নীরব ভারত
গণহত্যার দায় হাসিনার?
অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বলেন, বিচারিক প্রক্রিয়ায় স্বাভাবিকভাবেই জুলাই আগস্টের গণহত্যার সঙ্গে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের সম্পৃক্ততা প্রমাণিত হওয়ার কথা। সেক্ষেত্রে আওয়ামী লীগকে দলীয়ভাবে নিষিদ্ধ করা, নিবন্ধন বাতিল করাসহ যে কোনো ব্যবস্থা সরকার গ্রহণ করতে পারে। তবে বিষয়টি যেহেতু আইনের বাস্তয়নের সঙ্গে যুক্ত, সেক্ষেত্রে সরকার প্রয়োজনীয় সকল প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার বিষয়ে একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসবে।