ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ভারতের কাছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার(Sheikh Hasina) প্রত্যর্পণ দাবি করেছে বাংলাদেশ। সেই দাবি মেনে সত্যিই কি হাসিনাকে ঢাকার হাতে তুলে দেওয়া হবে ভারত থেকে? বৃহস্পতিবার এই প্রশ্নের জবাব দিলেন কেন্দ্রীয় বিদেশ প্রতিমন্ত্রী কীর্তিবর্ধন সিং। বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে ভারত সরকারের অবস্থান জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় বিদেশ প্রতিমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, যদিও এখনও বাংলাদেশকে এ বিষয়ে কোনও জবাব দেওয়া হয়নি। সংসদে এ বিষয়ে উত্তর দিলেন তিনি।
কেরলের সিপিএম সাংসদের প্রশ্ন (Sheikh Hasina)
রাজ্যসভায় কেরলের সিপিএম সাংসদ জন ব্রিট্টাস হাসিনা(Sheikh Hasina) সম্পর্কে তিনটি প্রশ্নের উত্তর জানতে চান ভারত সরকারের কাছে। সেগুলি হল ১. বাংলাদেশ কি শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ দাবি করেছে? ২.ভারত সরকার এ বিষয়ে কী পদক্ষেপ নিয়েছে? ৩.প্রত্যর্পণের কারণ হিসেবে ঢাকা কী উল্লেখ করেছে?
কেন্দ্রীয় বিদেশ প্রতিমন্ত্রী্র উত্তর (Sheikh Hasina)
প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় বিদেশ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ হাসিনার প্রত্যর্পণ দাবি করেছে। ২০২৪ সালের ৫ অগস্ট হাসিনা ভারতে আসার আগে বাংলাদেশে যে যে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, তার ভিত্তিতে এই প্রত্যর্পণ দাবি করা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ সরকারের কাছে এ বিষয়ে কোনও জবাব এখনও পাঠানো হয়নি।’(Sheikh Hasina)
আরও পড়ুন:Pak PM Shehbaz Sharif: ভারতের সঙ্গে সব সমস্যার সমাধান চান পাক-প্রধানমন্ত্রী, আলোচনার পক্ষে সাফাই
বাংলাদেশ-ভারত কূটনৈতিক সম্পর্কে টানাপোড়েন
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার রোষে পদত্যাগ করে ভারতে চলে আসেন শেখ হাসিনা(Sheikh Hasina)। কিন্তু বিভিন্ন সূত্রের খবর অনুযায়ী, তিনি কূটনৈতিক পাসপোর্ট নিয়ে আসেননি। ফলে এই মুহূর্তে ভারতে হাসিনার ‘স্ট্যাটাস’ কী তা নিয়ে যথেষ্ট ধোঁয়াশা রয়েছে। দিল্লি মুজিবকন্যাকে কূটনৈতিক আশ্রয় দিয়েছে কি না তা নিয়ে একাধিকবার সংসদে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। এই পরিস্থিতিতে হাসিনাকে ঘিরে বাংলাদেশ-ভারত কূটনৈতিক সম্পর্কে টানাপোড়েনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে অগ্নিসংযোগ
বুধবার রাতে ঢাকার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। একই রাতে শেখ হাসিনার ধানমন্ডির বাড়িতেও হামলা চালানো হয়। এর আগে হাসিনা ভার্চুয়ালি বাংলাদেশিদের উদ্দেশে ভাষণ দেন, যা আওয়ামী লীগ প্রচার করেছিল। তবে তাঁর বিরোধীরা এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ধানমন্ডিতে বিক্ষোভ দেখান এবং বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেন। দেশটির পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জানিয়েছেন, ভারত থেকে শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্য বাংলাদেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে। তাই নয়াদিল্লিকে চিঠি দিয়ে হাসিনাকে বিবৃতি দেওয়া থেকে বিরত রাখার অনুরোধ জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় উপ-রাষ্ট্রদূতকেও তলব করা হয়।
আরও পড়ুন:Bangladesh Sports Situation: বাংলাদেশে মহিলা ফুটবলে নিষেধাজ্ঞা, সরব শেখ হাসিনা
নয়াদিল্লিকে ‘কূটনৈতিক চিঠি’
হাসিনাকে ফেরত চেয়ে গত ডিসেম্বরে নয়াদিল্লিকে ‘কূটনৈতিক চিঠি’ পাঠিয়েছিল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। একাধিক অপরাধে হাসিনা অভিযুক্ত বলে দাবি করেছিল তারা। ওই চিঠির প্রাপ্তিস্বীকার করেছিল ভারত সরকার। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছিলেন, হাসিনার প্রত্যর্পণের বিষয়ে বাংলাদেশের একটি চিঠি তাঁরা পেয়েছেন।
কী বলছেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র?
ভারত সরকারের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছিলেন, হাসিনার প্রত্যর্পণের বিষয়ে বাংলাদেশের একটি চিঠি তারা পেয়েছেন। কিন্তু এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য এখনই করা যাবে না। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছিল, আগে ওই চিঠির বৈধতা যাচাই করতে চায় নয়াদিল্লি। কোনও দেশের অন্তর্বর্তী সরকার অন্য রাষ্ট্রের নির্বাচিত সরকারের কাছে কোনও রাজনৈতিক নেতার প্রত্যর্পণ চাইলে, আইনি দিকগুলি খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। সেই প্রক্রিয়ায় সময় লাগতে পারে।