ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (China-US Navy) প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময়ই প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র তাইওয়ানের সুরক্ষা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ট্রাম্প।আর সেই প্রতিশ্রুতি পূরণের জন্যই দ্বিতীয়বার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে হোয়াইট হাউসে ফেরার মাত্র তিন সপ্তাহের মধ্যেই পদক্ষেপ নিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তাইওয়ান প্রণালীতে মার্কিন যুদ্ধ জাহাজ (China-US Navy)
মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর দ্রুত তাইওয়ানের সুরক্ষা নিশ্চিত করার যে প্রতিশ্রুতি ট্রাম্প দিয়েছিলেন সেই মতো তিনি দুটি মার্কিন যুদ্ধ জাহাজ পাঠিয়েছেন তাইওয়ান প্রণালীতে। এর পেছনে (China-US Navy) একদিকে যেমন তাইওয়ানের সুরক্ষার বিষয়টি রয়েছে তেমনই রয়েছে চিনকে চাপে রাখার কূটনৈতিক চালও। তাহলে কী তাইওয়ানে সামরিক নৌ-ঘাঁটি তৈরি করতে পারে আমেরিকা? সেই নিয়ে চাপে রয়েছে লাল ফৌজ। লাল ফৌজের তাইওয়ান দখলের মূল বাঁধা ছিল যুক্তরাষ্ট্র। সেই তাইওয়ানের কাছে এবার যুক্তরাষ্ট্রের জাহাজ পাঠানো চিনের কাছে একটি হুমকি।তার জবাবেই পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়েছে চিনও।
স্থায়ী মোতায়েন নয় (China-US Navy)
আমেরিকার সপ্তম নৌবহরের অন্তর্ভুক্ত (China-US Navy) দু’টি যুদ্ধজাহাজ মঙ্গলবার তাইওয়ান প্রণালীতে ঢুকেছে বলে আমেরিকার নৌবাহিনী সূত্রে জানা গেছে।তবে স্থায়ী ভাবে এই দুটি জাহাজ তাইওয়ান প্রণালীতে মোতায়েন করা হচ্ছে না বলে স্পষ্ট করা হয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের তরফে।আর্লে বার্ক শ্রেণির গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্রবাহী ডেস্ট্রয়ার ইউএসএস রালফ জনসন এবং পাথফাইন্ডার শ্রেণির সমীক্ষক জাহাজ ইউএসএনএস বাউডিচ উত্তর থেকে দক্ষিণ অভিমুখে প্রণালি পার হবে বলে জানিয়েছে আমেরিকার প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন।
আরও পড়ুন: China Vs American Warship: ড্রাগেনের এক রণতরি রুখে দেবে আটটি মার্কিন রণতরি!
রুটিন প্রক্রিয়া
তাইওয়ান প্রণালীতে জাহাজ পাঠানোর পেছনে কোনো কূটনৈতিক চাল নেই বলে স্পষ্ট করা হয়েছে আমেরিকার তরফে।সম্পূর্ণ বিষয়টিকে ‘রুটিন প্রক্রিয়া’ বলেও দাবি করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।যদিও যুক্তরাষ্ট্রের ওই যুক্তি মানতে রাজি নয় চিন। শি জিনপিং সরকারের অভিযোগ, এর ফলে ওই অঞ্চলে উত্তেজনা বাড়বে।
চিন-তাইওয়ান সংঘাত
এই তাইওয়ান প্রণালীতে তিন বছর আগে সংঘাতের আবহে আমেরিকার নৌবাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্রবাহী ক্রুজার ইউএসএস অ্যান্টিয়েটাম এবং ইউএসএস চ্যান্সেলরসভিল ঢুকেছিল।তাইওয়ান প্রণালীর অদূরে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস রোনাল্ড রেগন, ডেস্ট্রয়ার গোত্রের রণতরি ইউএসএস হিগিন্স এবং দ্রুত সেনা অবতরণের উপযোগী রণতরি ইউএসএস ত্রিপোলিকেও মোতায়েন করেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

চিনের যুদ্ধ বিমান টহল
তাইওয়ানের তরফে অভিযোগ তোলা হয়েছে মঙ্গলবার থেকে তাইওয়ানের আকাশ সীমা ঘেঁষে চিনা যুদ্ধ বিমান টহল শুরু করেছে। এর আগেও তাইওয়ানের উপর এই ধরনের আগ্রাসন দেখিয়েছে চিন। ২০২২ সালে চিনের আপত্তির পরেও আমেরিকার কংগ্রেসের নিম্নকক্ষের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফর করেন। সেই সফরের পরেই তাইওয়ান ও চিনের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল।তারপর বেশ কিছু মাস লাল ফৌজের বিমানবাহিনী বারবার তাইওয়ানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছিল।এরপর সাময়িক ভাবে উত্তেজনা কিছুটা কমলেও আবারও তাইওয়ানের ক্ষমতায় এসেছে কট্টর চিন- বিরোধী ডেমোক্র্যাটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টি।এর ফলে আবারও নতুন করে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে।