ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: যুক্তরাষ্ট্র থেকে অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Costa Rica)। পানামা ও গুয়াতেমালার পথ অনুসরণ করে কোস্টারিকা সোমবার ঘোষণা করেছে যে তারা আমেরিকা থেকে বিতাড়িত অবৈধ অভিবাসীদের গ্রহণ করতে প্রস্তুত। যদিও এই অভিবাসীরা অন্য দেশের নাগরিক।
কোস্টারিকার প্রেসিডেন্টের দফতর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বুধবার একটি বাণিজ্যিক বিমানে আমেরিকা থেকে মধ্য এশিয়া ও ভারতের ২০০ অভিবাসী কোস্টারিকায় পৌঁছাবে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “কোস্টারিকার সরকার আমেরিকার সঙ্গে সহযোগিতার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই ২০০ অবৈধ অভিবাসী তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে।”
কোস্টারিকার পরিকল্পনা (Costa Rica)
প্রথম দফায় আমেরিকা থেকে বিতাড়িত অভিবাসীরা বুধবার কোস্টারিকায় (Costa Rica) পৌঁছাবে। তাদের পানামা সীমান্তের কাছে একটি অস্থায়ী অভিবাসন কেন্দ্রে রাখা হবে। এরপর তাদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। কোস্টারিকার সরকার নিশ্চিত করেছে যে এই পুরো প্রক্রিয়ার ব্যয় আমেরিকার সরকার বহন করবে। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (IOM) এর তদারকি করবে।
পানামা ও গুয়াতেমালার পথ অনুসরণ (Costa Rica)
কোস্টারিকা (Costa Rica) তৃতীয় দেশ যারা যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত হয়েছে। ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার দায়িত্ব নেওয়ার পর এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এর আগে পানামা ও গুয়াতেমালা একই চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। আমেরিকার বিদেশমন্ত্রী মার্কো রুবিও সম্প্রতি লাতিন আমেরিকা সফরে গেলে এই চুক্তি সম্পন্ন হয়।
আরও পড়ুন: Saudi Arabia: সৌদি আরবে আমেরিকা-রাশিয়ার বৈঠক! ইউক্রেন যুদ্ধের সমাধানে বড় পদক্ষেপ?
গত সপ্তাহে পানামা প্রথম দফায় ১১৯ জন অভিবাসীকে গ্রহণ করেছে, যাদের মধ্যে চীন, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের নাগরিকরা ছিলেন। তবে এখনও পর্যন্ত গুয়াতেমালায় কোনও অভিবাসী পৌঁছায়নি।
আমেরিকার কঠোর অভিবাসন নীতি
একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমেরিকার বর্তমানে আনুমানিক ১.১ কোটি অবৈধ অভিবাসী বসবাস করছে। এই অভিবাসীদের বেশিরভাগই লাতিন আমেরিকার দেশগুলো থেকে এসেছে। অনেক অভিবাসী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কঠিন পথ পাড়ি দিয়েছে, জঙ্গল, পাহাড় ও অপরাধী গ্যাংয়ের মধ্যে দিয়ে গেছে শুধুমাত্র একটি ভালো জীবনের আশায়। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিবাসন নীতিতে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন।
আরও পড়ুন: Bangladesh July Warriors: হাসিনাবিরোধী আন্দোলনে মৃত ‘জুলাই শহিদ’ ও আহতদের ‘জুলাই যোদ্ধা’র স্বীকৃতি
গত বছর নির্বাচনি প্রচারের সময় তিনি কিছু অবৈধ অভিবাসীকে “দানব” ও “পশু” বলে মন্তব্য করেন তিনি। চলতি বছরের জানুয়ারিতে আমেরিকার দক্ষিণ সীমান্তে জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে ট্রাম্প জানান, “কোটি কোটি অভিবাসীকে বিতাড়িত করা হবে।”
নতুন অভিবাসন নীতি
কোস্টারিকার এই সিদ্ধান্ত আমেরিকার নতুন অভিবাসন নীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আগামী দিনে আরও দেশ এই চুক্তিতে যুক্ত হতে পারে। কোস্টারিকা, পানামা ও গুয়াতেমালার মতো দেশগুলো আমেরিকার সঙ্গে সহযোগিতা করে নিজেদের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক দৃঢ় করতে চাইছে। তবে এই নীতি অভিবাসীদের জন্য কতটা ন্যায়সঙ্গত হবে, সেটি নিয়ে বিতর্ক থেকেই যাবে।