ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের(TMC MLA Jakir Hossain) কারখানায় হানা দেয় জিএসটি টিম। মঙ্গলবার বিকেল ৪টা নাগাদ ৮ সদস্যের তদন্তকারী দল এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা উপস্থিত হন মুর্শিদাবাদে। জাকিরের ‘প্রোডাকশন অফিস’, কারখানা-সহ একাধিক জায়গায় যান তাঁরা। জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে পণ্য ও পরিষেবা কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে তাঁর অফিস, কারখানায় হানা দিলেন কেন্দ্রীয় জিএসটি আধিকারিকেরা।
সাড়ে তিন ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ (TMC MLA Jakir Hossain)
মঙ্গলবার বিকেল ৪টে নাগাদ জাকিরের(TMC MLA Jakir Hossain) ঔরঙ্গাবাদের প্রোডাকশন হাউসের অফিসে হানা দেন জিএসটি বিভাগের আট জন আধিকারিক। অফিস চত্বর ঘিরে ফেলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা। ঘণ্টাখানেক তল্লাশি চালানোর পরে সেখান থেকে বিধায়কের আরও দু’টি অফিসে অভিযান চালায় তদন্তকারী দল। নথিপত্র খতিয়ে দেখার পাশাপাশি জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় একাধিক অফিসকর্মীদের। অফিসের প্রধান হিসাবরক্ষককে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
ট্যাক্সের বিষয় খতিয়ে দেখতেই জিএসটি টিম (TMC MLA Jakir Hossain)
জানা গিয়েছে, মূলত চলতি আর্থিকবর্ষে ট্যাক্সের বিষয় খতিয়ে দেখতেই জিএসটি টিম এই অভিযান চালায়। বেশ কিছু অসঙ্গতি তারা পেয়েছে বলে সূত্রের খবর। রাত দুটো নাগাদ জাকির হোসেনের(TMC MLA Jakir Hossain) অফিস থেকে বেরিয়ে যায় জিএসটি টিম। প্রায় ছয় ঘণ্টার বেশি সময় ধরে তারা ছিল। জিএসটি আধিকারিকরা কিছু নথিপত্র নিয়ে যান বলে জানা গিয়েছে। তাঁর অফিসে জিএসটি-র তল্লাশি নিয়ে জাকির হোসেন বলেন, “অফিসাররা তাঁদের কাজ করেছেন। আমি সহায়তা করেছি। আট ঘণ্টা ধরে সেখানে ছিলাম। আমি আইন মেনে ব্যবসা করি। জিএসটি ও আয়কর দিই।”
অভিযোগ পণ্য ও পরিষেবা কর ফাঁকি
দু’বছর আগে তাঁর অফিস, কারখানা এবং বাড়িতে হানা দিয়েছিল আয়কর দফতর। উদ্ধার করে প্রায় ৯ কোটি টাকা। সে সময় বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেন মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেন(TMC MLA Jakir Hossain)। মঙ্গলবার প্রায় সাড়ে ১০ ঘণ্টা ধরে বিড়ি ব্যবসায়ী জাকিরের অফিস এবং কারখানায় হানা দেন সিজিএসটি আধিকারিকেরা। অভিযোগ পণ্য ও পরিষেবা কর ফাঁকি। মঙ্গলবার রাত ২টোর কিছু পরে বেশ কিছু নথি নিয়ে বিধায়কের অফিস ছাড়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল।
আরও পড়ুন: Locket Chatterjee: হুগলি ছাড়ছেন লকেট! দলের কোন্দল নাকি ঘাসফুলের খোঁচাতেই রাস্তা বদল বিজেপি নেত্রীর?
কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক?
জাকির বলেন, ‘‘নির্দিষ্ট পরিমাণ জিএসটি এবং আয়কর দিই। প্রায় ৩০ হাজার শ্রমিক রয়েছেন আমার কারখানায়। তাঁদের রুটিরুজির ব্যাপার আছে। তাই সব কিছু আইনের গণ্ডিতে না মেপে কর্মসংস্থানের কথাটাও ভাবতে হবে। শ্রমিকরা কাজ চলে যাওয়ার আতঙ্কে রয়েছেন। সেই ভয় দূর করার দায়িত্ব তদন্তকারীদের।’ জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়ক বলেন, ‘‘এর সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক নেই। কেন্দ্রের উপরে আমার যথেষ্ট আস্থা আছে। তারা যত খুশি তদন্তকারী দল পাঠক। তবে হঠাৎ করে না-পাঠিয়ে চিঠি দিয়ে আগাম জানালে ভাল হয়। কারণ, এই রকমের অভিযানে শ্রমিকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘প্রত্যেক আধিকারিক আমাকে সহযোগিতা করেছেন। আশা করব, তাঁরা সঠিক রিপোর্ট দিয়ে তাঁদের কর্তব্য পালন করবেন।’