ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল : মালদায় তৃণমূল নেতা দুলাল সরকারের খুনের ঘটনা এখনও রাজ্যবাসীর মন থেকে মিলিয়ে যায়নি। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এ বার মালদার ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান ও রাজ্য তৃণমূলের সহ সভাপতি কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীকে (Krishnendu Narayan Chowdhury) খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ। প্রাক্তন মন্ত্রী তথা মালদহের ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীর (Krishnendu Narayan Chowdhury) দাবি, ‘ডি কোম্পানি’ থেকে ফোন করে তাঁর কাছে টাকা চাওয়া হয়েছে। ‘বিশ পেটি’ অর্থাৎ ২০ লক্ষ টাকা পাঠাতে বলা হয়েছে তাঁকে।
কি ঘটেছে ? (Krishnendu Narayan Chowdhury)
ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার। মঙ্গলবার সন্ধে ৬.৫১ মিনিটে প্রথম হুমকি SMS আসে ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান তথা মালদা জেলার দাপুটে তৃণমূল নেতা কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীর (Krishnendu Narayan Chowdhury) ফোনে। খুনের হুমকি দেয় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি। এই ঘটনার তিন দিনের শুক্রবার সকাল ১০ টা বেজে ৪০ মিনিট নাগাদ কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীর (Krishnendu Narayan Chowdhury) কাছে একটি ফোন যায়।সেই ফোনেও খুনের হুমকি অজ্ঞাতপরিচয়ের।
ফোন রিসিভ করতেই জানানো হয় ডি-কোম্পানির তরফে প্রদীপ কথা বলছেন। এরপরই ওপ্রান্ত থেকে প্রশ্ন করা হয়, কৃষ্ণেন্দুবাবু তাঁর পাঠানো মেসেজ দেখেছেন কি না। জবাবে তিনি জানান যে দেখেননি। এরপরই ফোনে তৃণমূল নেতাকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়। ওই ব্যক্তি হিন্দিতে কথা বলে জানিয়েছেন কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী। তৃণমূল নেতার দাবি ফোনে তাঁকে বলা হয়, “প্রদীপ বল রাহাহে! আপনে মেরা SMS নেহি দেখা হ্যায়? আব জলদি সে ২০ পেটি ভেজ দিজিয়ে। নেহি তো তুম অর তুমহারি ফ্যামিলি মেম্বার কো টোক দেঙ্গে।” যার বাংলা অর্থ— ‘‘আপনাকে ২০ পেটি দিতে হবে। নয়তো আপনাকে এবং আপনার পরিবারকে গুলি করে দেব।’’ ‘বিশ পেটি’র অর্থ ২০ লক্ষ টাকা চাওয়া হয়েছে বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা। ইতিমধ্যেই ফোনে কথোপকথনের একটি রেকর্ডিংও প্রকাশ্যে এসেছে (সেটির সত্যতা ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল করেনি)।
আরও পড়ুন : ট্যাংরার দে বাড়িতে বন্ধ সব সিসিটিভি, এল ফরেন্সিক দল
ঘটনার তদন্তে পুলিশ (Krishnendu Narayan Chowdhury)
অপরাধ জগতে ‘ডি কোম্পানি’ বলতে কুখ্যাত অপরাধী দায়ুদ ইব্রাহিমের গ্যাং বা দলকে বোঝানো হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিকভাবে প্রবল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। সঙ্গে সঙ্গে ইংরেজবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেয়েই জেলা পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা নেতাজি মোড় এলাকায় কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীর (Krishnendu Narayan Chowdhury) বাড়িতে এসেছিলেন। তাঁর নিরাপত্তা নিয়ে কথা বলেন পুলিশ আধিকারিকরা। তদন্তে ময়দানে নামে রাজ্য পুলিশের STF।
আরও পড়ুন: কেন পার্থকে এখনও হেফাজতে রাখা হয়েছে? পার্থ-মামলায় সিবিআইকে ‘সুপ্রিম’ নোটিস
বাড়ানো হল কৃষ্ণেন্দুর নিরাপত্তা
অভিযোগ জানানোর পরই কৃষ্ণেন্দুর নিরাপত্তা বাড়িয়ে দিয়েছে জেলা পুলিশ। দুলাল সরকার খুন হওয়ার পর একজন নিরাপত্তারক্ষী বেড়েছিল কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীর। জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, এবার এই হুমকি ফোনের পর আরও তিনজন নিরাপত্তারক্ষী বেড়েছে তাঁর। শুক্রবার থেকেই কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীর সঙ্গে মোট ৬ জন নিরাপত্তারক্ষী থাকবেন বলে জানা গিয়েছে।