ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: আমাদের রোজকার রুটিন হয়ে গেছে ধরা বাঁধা(Walking Tips)। বাড়ি ফিরে খেয়েই বিছানায় গড়িয়ে পড়তে ইচ্ছে করে আমাদের সকলেরই। কিন্তু জানেন কি তা ঠিক নয় একদমই। রপেট খেয়েই বিছানায় শুয়ে পড়া একেবারেই উচিত নয়। এতে মেটাবলিজম দুর্বল হয়ে পড়ে এবং শরীরে নানা সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডিনার শেষে অন্তত ১৫-৩০ মিনিট হাঁটাহাঁটি করুন। এতে শরীরে হতে পারে অনেক উপকার। জানুন রোজ রাতে খাওয়ার পর কিছুক্ষণ খাওয়ার পর হাঁটাহাঁটি করলে মিলতে পারে কী উপকার।
মানসিক চাপ কমে (Walking Tips)
সারাদিনের কাজের পর মানসিক চাপ কমানো ভীষণ জরুরি(Walking Tips)। অবসাদ, উদ্বেগ কমাতে শরীরচর্চা জরুরি। রাতে শরীরচর্চা করা সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে হাঁটুন। হাঁটলেও মানসিক চাপ কমে। পাশাপাশি মেলাটোনিন হরমোনের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে থাকে। এতে রাতের ঘুম ভালো হয়। অনিদ্রার সমস্যায় ভুগলে অবশ্যই রাতে ৩০ মিনিট হাঁটুন।
মেটাবলিজম উন্নত হয় (Walking Tips)
ডিনার শেষে হাঁটাহাঁটি করলে মেটাবলিজম উন্নত হয়(Walking Tips)। বদহজমের সমস্যা সহজেই এড়ানো যায়। গ্যাস-অম্বলের ধাত থাকলে ভরপেট খাবার খাওয়ার পর হাঁটুন। এতে অন্ত্রের স্বাস্থ্যও উন্নত হয়। এ ছাড়া ডিনার শেষে হাঁটলে ক্যালোরি পোড়ানো সহজ হয়। ওজন কমাতে চাইলে ভরপেট খেয়ে একটু হাঁটুন। এই টোটকা ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।

আরও পড়ুন: Chicken Pox : ‘বসন্ত’ থাকুক শুধুই মনে…. বসন্তে চিকেন পক্স থেকে বাঁচতে কী করবেন?
ফুসফুসের স্বাস্থ্য ভালো থাকে
ভোরবেলা হাঁটার থেকে রাতে হাঁটা ভালো। এতে ফুসফুসের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। ভোরবেলা বাতাসে দূষণ কণার মাত্রা বেশি থাকে। এর জেরে শ্বাসজনিত সমস্যা বা ভাইরাল জ্বর হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। রাতে বাড়ির বাইরে, বাগানে বা মাঠে হাঁটতে পারেন। এতে ফুসফুসের কার্যকারিতা উন্নত হয় এবং শ্বাস-প্রশ্বাস জনিত সমস্যা কমে। এ ছাড়া হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। জয়েন্টে ব্যথা-যন্ত্রণা কমে।

সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে থাকে
ডিনারের সেরে হাঁটলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে(Walking Tips)। ডায়াবিটিসের রোগীদের এ বিষয়ে বিশেষ ভাবে সচেতন থাকতে হবে। ভরপেটে খাবার খাওয়া পর হাঁটাহাঁটি করলে রক্তে গ্লুকোজ লেভেল বাড়ে না এবং ইনসুলিন হরমোনের নিঃসরণও সচল থাকে।