ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে(Chittagong University) ছাত্রদের নবনির্মিত হলের নাম রাখা হল ফজলুল কাদের চৌধুরীর নামে। যাকে চট্টগ্রামের সবচেয়ে কুখ্যাত গণহত্যাকারী রাজাকার হিসাবেই চেনে সকলে। ইসলামি বাংলাদেশ গড়ার পথেই কি এগোচ্ছে মহম্মদ ইউনুসের প্রশাসন। যাঁরা রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা এনেছেন, তাঁদের নাম মুছে স্থান পাচ্ছে ফজলুলের মতো রাজাকাররা। এই নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ ছাত্র ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা।
মুক্তিযুদ্ধের কট্টর বিরোধী (Chittagong University)
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে(Chittagong University) নতুন গড়ে ওঠা ছাত্রাবাসটির নাম দেওয়া হয়েছে ফজলুল কাদের চৌধুরীর নামে, পাকিস্তান আমলে যিনি জাতীয় পরিষদের স্পিকার, এমনকি ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্বও পালন করেছিলেন। ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক হিসাবে পরিচিত ফকা চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধের কট্টর বিরোধী ছিলেন। চট্টগ্রামে পাকিস্তানি সেনাদের সহযোগী সশস্ত্র রাজাকার, আল বদর ও আল শামস বাহিনী গঠনে তিনি প্রধান ভূমিকা পালন করেন।
দেড় মন সোনা উদ্ধার (Chittagong University)
১৯৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করার পরে ১৮ ডিসেম্বর একটি জলযানে চড়ে দেশ ছাড়ার সময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে ধরা পড়েন ফজলুল কাদের। তাঁর কাছ থেকে দেড় মন সোনা উদ্ধার করা হয়। ১৯৭৩-এর ১৭ জুলাই ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে মারা যান এই ফকা চৌধুরী।
আরও পড়ুন: China-Taiwan Conflict: তাইওয়ানে যুদ্ধের আদলে সামরিক মহড়া চীনের, জবাবে সেনা পাঠাল তাইওয়ান
জামাল নজরুল ইসলামের নাম রাখার দাবি
আগামী এক মাসের মধ্যে তাঁরা এই নাম পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়(Chittagong University সংসদ ছাত্র ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা। হলটির নাম পরিবর্তন করে বিজ্ঞানী জামাল নজরুল ইসলামের নাম রাখার দাবিও জানানো হয়েছে। এনিয়ে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক ইফাজউদ্দিন আহমদ বলেন, “ফজলুল কাদের চৌধুরী ও তার ছেলে রাজাকার সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে চট্টগ্রাম অঞ্চলে পাকিস্তানি বাহিনীর প্রধানতম দালাল হয়ে কাজ করেছিলেন।”
পাকিস্তানের ফৌজকে সহযোগিতা
তিনি আরও বলেন, “চট্টগ্রামে শান্তি কমিটি, রাজাকার বাহিনী, আল বদর ও আল শামস বাহিনী গঠনে সে ভূমিকা পালন করে। একাত্তরের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী গণহত্যা শুরু করার পর মুসলিম লিগের শীর্ষনেতা মানিক মহম্মদ কাসিমকে সঙ্গে নিয়ে ফজলুল তৎকালীন গভর্নর টিক্কা খানের সঙ্গে দেখা করে। কীভাবে পাকিস্তানের ফৌজকে সহযোগিতা করা যায় এবং তৎকালীন পূর্ব বাংলার স্বাধীনতার সংগ্রাম ধূলিসাৎ করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা করে।”