ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ওড়িশা সিনে জগতে (Odia Cine Industry) শোকের ছায়া। প্রয়াত অভিনেতা উত্তম মোহান্তি (Uttam Mohanty)। যাঁকে বলা হয়, ওড়িশার প্রথম সুপারস্টার (first Superstar)। ওড়িশার পাশাপাশি একাধিক বাংলা ছবিতেও তাঁকে দেখা গিয়েছ। সম্মানিত হয়েছেন একাধিক পুরস্কারে। সামনেই ছিল, নতুন ছবির মুক্তি। কিন্তু তা তিনি দেখে যেতে পারলেন না।
ওড়িয়ার পাশাপাশি নজর কেড়েছেন বাংলা ছবিতে (Uttam Mohanty)
সময়টা ১৯৭৭ সাল, ওড়িয়া সিনে দুনিয়ায় শুরু হয় উত্তম মোহান্তির (Uttam Mohanty) পথ চলা। তারপর একের পর এক কাজের মাধ্যমে ওড়িয়া সিনেমা জগতে রীতিমত স্টার হয়ে ওঠেন। তাঁর কয়েক দশকের কেরিয়ারে শুধুমাত্র ওড়িয়া ছবি নয় , বাংলা ছবিতেও তিনি নজর কেড়েছেন। প্রায় ৩০ টি বাংলা ছবিতে তাঁকে দেখা গিয়েছে। অসাধারণ কাজের জন্য ওড়িশার রাজ্য সরকারের তরফের বহু সম্মানে সম্মানিত হয়েছেন। দুঃখের বিষয়, আগামী ১২ই জুন মুক্তি পেতে চলেছিল তাঁর ‘বউ বুট্টু ভুটা’ ছবি। কিন্তু তাঁর আগেই পাড়ি দিলেন না ফেরার দেশে। ওড়িশার প্রথম সুপারস্টার বলা হয় তাঁকে। ৬৬ বছর বয়সে তাঁর চলে যাওয়া মেনে নিতে পারছে না সিনে ইন্ডাস্ট্রি থেকে শুরু করে অনুরাগীরা।
দীর্ঘদিন ভুগছিলেন লিভার সিরোসিসে (Uttam Mohanty)
বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর । দীর্ঘদিন ধরেই লিভার সিরোসিসে ভুগছিলেন। ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রথমে তাঁকে ভর্তি করা হয় ভুবনেশ্বরের এক হাসপাতালে। পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক হলে, এয়ারলিফটে নিয়ে যাওয়া হয় দিল্লিতে। তখন বাবার অসুস্থতা সম্পর্কে অভিনেতা পুত্র জানিয়েছিলেন, উত্তম মোহান্তিকে (Uttam Mohanty) ভুবনেশ্বরের প্রথম সারির হাসপাতালের আইসিইউ’তে ভর্তি করা হয়েছিল। পরে স্থানান্তরিত করা হয় ভেন্টিলেশনে। কিন্তু অবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি। তাই বর্ষীয়ান অভিনেতাকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। অভিনেতাকে অরগ্যান সাপোর্টার মাধ্যমে সচল রাখা হয়েছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। ২৭ ফেব্রুয়ারি দিল্লির হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
আরও পড়ুন: Tui Amar Hero: একেই বলে ভাগ্য! ধারাবাহিক শেষ হতেই হিরো হচ্ছেন রুবেল
পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য
ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি ঘোষণা করেছেন, পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় উত্তম মোহান্তির শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। শোকবার্তায় জানিয়েছেন, উত্তম মোহান্তির চলে যাওয়া ওড়িশা সিনে ইন্ডাস্ট্রির জন্য একটা অপূরণীয় ক্ষতি। তিনি ছিলেন ওড়িয়া সিনে শিল্পের এক পথপ্রদর্শক নক্ষত্র। প্রায় দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে ওড়িয়া বিনোদন দুনিয়ায় হিরোর ভূমিকায় তিনি রাজত্ব করেছেন। তিনি ছিলেন কিংবদন্তি। বাংলা এমনকি হিন্দি ছবিতেও, নিজস্ব অভিনয় গুণে ওড়িশার চলচ্চিত্র জগতকে উচ্চস্তরে পৌঁছে দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: Priyamani: ধর্ম নিয়ে আক্রমণের শিকার প্রিয়ামণি ও তাঁর স্বামী
রচনা ব্যানার্জীর সাথে জুটি
১৯৫৮ সালে জন্ম। ১৯৭৭ এ ‘অভিমান’ ছবি দিয়ে ওড়িয়া বিনোদন দুনিয়ায় আত্মপ্রকাশ করেন। প্রথম ছবিতেই রীতিমত বাজিমাত করেছিলেন তিনি। তাঁকে টলি অভিনেত্রী রচনা ব্যানার্জীর সঙ্গে এক সময় জুটি বেঁধে একাধিক জনপ্রিয় ছবি করতে দেখা গিয়েছে। অভিনেতার ঝুলিতে রয়েছে ‘রামায়ণ’, ‘তপস্যা’, ‘রাম বলরাম’, ‘পূজা ফুল’, ‘নিঝুম রাতিরা সাথী’র মতো একাধিক জনপ্রিয় ছবি।