ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: সাইবার অপরাধের একটি বড় চক্রকে ধরতে সক্ষম হল (Digital Arrest Scam Case) কলকাতার সাইবার থানার পুলিশ। ‘ডিজিটাল গ্রেফতারি’ নামক ভুয়ো প্রতারণা চক্রের এক প্রধান সদস্য, যোগেশ দুয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে দিল্লি থেকে। তার বিরুদ্ধে দেশব্যাপী ২০০টিরও বেশি সাইবার অপরাধ এবং ৯৩০টিরও বেশি প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। তবে, যোগেশের ভাই আদিত্য দুয়া এখনও পলাতক এবং তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।
বিদেশে পলাতক আদিত্য (Digital Arrest Scam Case)
পুলিশের মতে, আদিত্য দুয়া বিদেশে (Digital Arrest Scam Case) পালিয়ে গিয়েছে এবং সেখান থেকেই ভাইয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়ে এই চক্রের অপারেশন চালাচ্ছিল। তদন্তকারীরা যোগেশের বাড়ি থেকে আদিত্যর সঙ্গে সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র উদ্ধার করেছেন। শুক্রবার পর্যন্ত এই চক্রের সঙ্গে জড়িত ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, এবং পুলিশের মতে, চক্রটি বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
উদ্ধার বিপুল সামগ্রী (Digital Arrest Scam Case)
যোগেশের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে দুটি মোবাইল ফোন, দুটি হার্ড ডিস্ক, একটি ল্যাপটপ, আটটি এটিএম কার্ড, দুটি প্যান কার্ড, এবং এক লক্ষ ৮৯ হাজার টাকা। এছাড়াও, উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু বিদেশি মুদ্রা, যেমন দিরহাম, ইয়েন ও ডলার। তদন্তে স্যাম্পল হিসেবে পাওয়া কিছু আধার কার্ডের সত্যতা যাচাই করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: Fire Brigade: বন্ধ দমকলের কেন্দ্রীয় কারখানা, রক্ষণাবেক্ষণ ও কর্মীদের অভাব!
গোয়েন্দাদের তদন্ত
কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, চলতি সপ্তাহেই দিল্লির বিবেক বিহার থেকে যোগেশকে গ্রেফতার করা হয়। আদালতে প্রেরণের পর বিচারক তাকে ১১ মার্চ পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ জানায়, যোগেশের গ্রেফতারির পর চক্রটির আরও বাকি সদস্যদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেছে।
ভুয়ো সংস্থার সন্ধান
এছাড়া, একটি বিশেষ ঘটনা উল্লেখযোগ্য, যেখানে গত বছর গলফ গ্রিনের এক মহিলাকে ‘ডিজিটাল গ্রেফতারি’ হওয়ার ভয় দেখিয়ে ৪৭ লক্ষ টাকা আদায় করা হয়েছিল। তদন্তে নেমে পুলিশ একাধিক ভুয়ো সংস্থা খুঁজে পায় এবং সেখান থেকে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সন্ধান পায়, যা এই অপরাধ চক্রের সঙ্গে সংযুক্ত ছিল।
আরও ব্যক্তি জড়িয়ে
পুলিশের দাবি, এই সাইবার অপরাধ চক্রের সঙ্গে আরও অনেক বড় প্ল্যানিং জড়িত ছিল। গত জানুয়ারিতে বেঙ্গালুরু থেকে চিরাগ কপূর নামে এক সদস্যকে গ্রেফতার করার পর, গোয়েন্দারা চক্রটির আসল মূল চেহারা এবং দুয়া ভাইদের নাম সামনে আনতে সক্ষম হন। জানা গেছে, মোট ২০০টিরও বেশি মামলা চলছে তাদের বিরুদ্ধে এবং আরও অনেকেই এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে।