ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: এক বিধায়ক পান মশলা খেয়ে থুতু ফেলেন বিধানসভার (Uttar Pradesh Assembly) ভিতরেই! বিষয়টি নজর এড়ায়নি খোদ অধ্যক্ষের। রাস্তাঘাটে, ট্রেনে-বাসে পান, পানমশলা, গুটখার পিক ফেলার দৃশ্য ভারতে হামেশাই দেখা যায়। কিন্তু বিধানসভায় এমন ঘটনার কথা ভাবাও যায় না। এমনই এক কাজ করে বসলেন এক বিধায়ক। এই বিষয়টি নজর এড়ায়নি খোদ অধ্যক্ষের। লাল হয়ে যাওয়া দেওয়ালের নোংরা অংশ সাফ করিয়েছেন তিনি। তারপরই কড়া ধমক দিলেন বিধায়কদের। ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য সতর্ক করে দিলেন।
কার্পেটে ছড়িয়ে ছিল পানের পিক (Uttar Pradesh Assembly)
ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশ বিধানসভার (Uttar Pradesh Assembly)। মঙ্গলবার সকালেই অধ্যক্ষের কাছে খবর আসে যে, এক বিধায়ক বিধানসভা কক্ষের ভিতর পান মশলা খেয়ে থুতু ফেলেছেন। বিধানসভায় ঢোকার মুখে নিজের চোখে সেই প্রমাণও পান অধ্যক্ষ সতীশ মাহানা। উত্তর প্রদেশ বিধানসভার মূল ভবনে ঢোকার মুখে কার্পেটে ছড়িয়ে ছিল পানের পিক। তা দেখে সভা শুরুর আগে লোকজন ডেকে ওই জায়গা পরিষ্কার করান উত্তরপ্রদেশ বিধানসভার স্পিকার সতীশ মাহানা।
‘ওটা পরিষ্কার করে দিলাম’ (Uttar Pradesh Assembly)
এই বিষয়ে বিধানসভার (Uttar Pradesh Assembly) স্পিকার অত্যন্ত গম্ভীর সুরে বলেন, ‘আজ সকালে আমায় জানানো হল যে আমাদের বিধানসভার একজন সম্মানিত সদস্য পানমশলা খেয়ে থুতু ফেলেছেন। আমি এসে ওটা পরিষ্কার করে দিলাম। কে এটা করেছে, তার ভিডিয়ো আমি দেখেছি, কিন্তু আমি কাউকে অপমান করতে চাই না। কারণ বিধানসভা কোনও এক ব্যক্তির নয়। বরং ৪০৩ জন বিধায়ক এবং উত্তরপ্রদেশের ২৫ কোটি মানুষের। এটি পরিষ্কার এবং মর্যাদাপূর্ণ রাখা সকল সদস্যের দায়িত্ব।’
আরও পড়ুন: WBBPE: শিক্ষক নিয়োগ মামলায় অবস্থান পরিবর্তন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের, প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের
‘বিধানসভা সাফ করা আমাদের দায়িত্ব’
তিনি বলেন, ‘বিধানসভায় হলের মধ্যে কার্পেটে এক বিধায়ক পানের পিক ফেলেছেন। সেই কারণেই আমায় গিয়ে সাফ করাতে হয়েছে। আমি দেখেছি কোন বিধায়ক এই কাণ্ড করেছে। কাউকে অসম্মান করতে চাই না বলে এখানে নাম বলছি না। সবাইকে বলব, যদি কাউকে এমন করতে দেখেন তাহলে দয়া করে আটকাবেন।’ বিধানসভায় অধিবেশন শুরুর আগে নিজে দাঁড়িয়ে থেকে সাফাইয়ের কাজ করান তিনি। সেই কথা মনে করিয়ে অধিবেশনের মধ্যে তিনি বলেন, ‘এই বিধানসভা সাফ করা আমাদের দায়িত্ব। যদি সেই বিধায়ক নিজে থেকে এসে কৃতকর্ম স্বীকার করেন তাহলে ভালো। নয়তো আমি ডেকে পাঠাবো।’
নিজেই সরব বিধানসভার স্পিকার
সুতরাং বিধায়কের কাণ্ডে নিজেই সরব হয়েছেন বিধানসভার স্পিকার। কিন্তু নাম প্রকাশ না করে বিষয়টি কি ধামাচাপা দিতে চাইলেন সতীশ মোহন। বিধায়কের ভাব মূর্তি যাতে নষ্ট না হয় জনগণের কাছে তাই তিনি নাম প্রকাশ করেন নি বলে জানা যাচ্ছে। ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যাতে না ঘটে তার জন্য কড়া নির্দেশ দিয়েছেন স্পিকার।