ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: গত বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোরে (Voter List Scam) অনুষ্ঠিত তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসমাবেশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোটার তালিকার ‘ভূত’ তাড়ানোর জন্য একটি বড় কমিটি গঠন করেন। এই কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিতে নতুন একটি আলোচনা শুরু হয়েছে। এই প্রথম বৈঠকে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপস্থিতি শাসকদলের অন্দর মহলে নতুন জল্পনার সৃষ্টি করেছে।
বৈঠকে নেই অভিষেক! (Voter List Scam)
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গঠিত কমিটিতে প্রথম নাম রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর এবং দ্বিতীয় নাম (Voter List Scam) অভিষেকের। কিন্তু, বৈঠকে অভিষেকের গরহাজির থাকায় অনেকেই মনে করছেন যে, দলের অন্দরে সম্পর্কের টানাপোড়েন এখনো পুরোপুরি মিটেনি। নেতাজি ইন্ডোরের মহাসমাবেশে অভিষেকের বক্তৃতার বেশ কিছু অংশে মমতা স্বয়ং ‘সিলমোহর’ দিয়েছিলেন, যা শাসক দলের সমর্থকদের মধ্যে আশাবাদী ভাবমূর্তি তৈরি করেছিল। তবে, বৈঠকে অভিষেকের অনুপস্থিতি নতুন প্রশ্ন উত্থাপন করেছে।
না এলেই পিছিয়ে পড়বেন? (Voter List Scam)
বৈঠকে উপস্থিত এক প্রবীণ নেতা মন্তব্য করেছেন, “কে এলেন, কে এলেন না, জানি না (Voter List Scam)। তবে যিনি আসবেন না, তাঁকে পিছিয়ে পড়তে হবে।” যদিও অনেক তৃণমূল নেতা এই বিষয়টিকে বড় করে দেখতে চাইছেন না। তারা জানান, আগামী ১৫ মার্চ বিকাল ৪টের সময়ে একটি ‘ভার্চুয়াল’ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে যেখানে অভিষেক দলের সর্ব স্তরের নেতৃত্বের সঙ্গে যুক্ত হবেন। এটি নির্দেশ করে যে, অভিষেকের নেতৃত্বকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, যদিও অনুপস্থিতি নিয়ে আলোচনা চলছে।
আরও পড়ুন: CV Ananda-Mamata: মুখ্যমন্ত্রী-রাজ্যপালের দ্বন্দ্ব মেটাতে ‘চায়ে পে চর্চা’-র আদেশ দিল আদালত
কেন আসেননি অভিষেক?
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারের বৈঠকে অভিষেকের অনুপস্থিতি নিয়ে আলোচনা চলছে। তাঁর ঘনিষ্ঠ নেতাদের মতে, সেবাশ্রয়ের কাজ নিয়ে সাংসদ ব্যস্ত থাকায় তিনি বৈঠকে আসতে পারেননি। তবে, এই ব্যাখ্যা নিয়ে আবারও বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। তৃণমূলের কিছু নেতাদের মতে, অভিষেক চাইলে তৃণমূল ভবনে যেতে পারতেন। অতীতে তিনি একাধিকবার সেখানে গেছেন এবং গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।
দলের কাজ সংগঠন
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গঠিত কমিটির বৈঠকে, ভোটার তালিকার কাজ সাংগঠনিক জেলায় ভাগ করে নেতাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী দক্ষিণ কলকাতার কাজ দেখবেন এবং অভিষেককে দক্ষিণ ২৪ পরগনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এই উদ্যোগটি থেকে বোঝা যাচ্ছে, মমতা দলের কাজকে আরও সংগঠিত করতে চান।
দলীয় দফতর থেকেই কাজ
এই অবস্থায়, রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, তৃণমূলের ভেতরে একটি কেন্দ্রিক শক্তির পরিবর্তে বিকেন্দ্রীকরণের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, দলের কাজ দলীয় দফতর থেকেই পরিচালিত হবে। এর ফলে, দলের গঠন ও কার্যক্রমে পরিবর্তন আসতে পারে।
অবশেষে, ভোটার তালিকার ‘ভূত’ তাড়াতে যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, তা তৃণমূলের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে। তবে, অভিষেকের অনুপস্থিতি ও দলের অন্দরের দ্বন্দ্বে অস্থিতিশীলতা বজায় থাকলে এর প্রভাব আগামী নির্বাচনে স্পষ্টভাবে পড়বে। তাই, রাজনৈতিক মহলে এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা অব্যাহত থাকবে।