ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বহরমপুর জেলে (Berhampore Jail) কয়েদিদের থেকে উদ্ধার দুটি মোবাইল। দুই বন্দিদের থেকে ফোন দুটি উদ্ধার করেছে সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ। বন্দিরা সংশোধনাগার থেকেই কোনও চক্র চালাচ্ছিল কি না, সেই প্রশ্ন উঠছে। দুই বন্দিদের থেকে ফোন দুটি উদ্ধার করেছে সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ। এরপরই প্রশ্ন উঠছে কী করে ফোন নিরাপত্তার ফাঁক গলে বন্দিদের কাছে গেল? বহরমপুর সেন্ট্রাল জেলে মাদক মামলায় অভিযুক্ত দুই বন্দির কাছ থেকে দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করল সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ। ওই দুই বন্দির বিরুদ্ধে বহরমপুর থানায় FIR দায়ের করা হয়েছে।
নির্দিষ্ট ঘরে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে ফোন (Berhampore Jail)
সংশোধনাগারের (Berhampore Jail) বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, একটি নির্দিষ্ট ঘরে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে বন্দিরা ফোনে, ভিডিও কলে কথা বলতে পারে। পুরো কথাবার্তা জেল কর্তৃপক্ষের নজরদারিতেই হয়। সেই প্রক্রিয়ার নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। সেই জায়গায় সংশোধনাগারে কী করে ফোন এল তা ভাবাচ্ছে জেল কর্তৃপক্ষকে। ফোন উদ্ধারের পর পুলিশকে ডেকে তা তুলে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
রুটিন তল্লাশির সময় মোবাইল ফোন (Berhampore Jail)
জেল (Berhampore Jail) সূত্রে খবর, বুধবার রুটিন তল্লাশির সময় অভিযুক্তদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন দুটি পাওয়া যায়। পুলিশ মোবাইল ফোন দুটি বাজেয়াপ্ত করে তদন্ত শুরু করেছে। বহরমপুর সেন্ট্রাল জেলেই বন্দি রয়েছেন খাগড়াগড় বিস্ফোরণ মামলায় সাজাপাত্র জঙ্গি তারিকুল ইসলাম। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় জেলের ভিতরে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বন্দিদের হাতে কীভাবে মোবাইল ফোন পৌঁছল? তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি জেল কর্তৃপক্ষ।
আনসারুল্লা বাংলা টিমের জঙ্গি
সম্প্রতি মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থেকে আনসারুল্লা বাংলা টিমের জঙ্গি আব্বাস আলিকে গ্রেফতার করে অসম পুলিশের STF। গোয়েন্দা সূত্রে দাবি, এর আগে অন্য একটি মামলায় বহরমপুর জেলে বন্দি ছিল আব্বাস আলি। অসম পুলিশ সূত্রে দাবি, আব্বাসকে জেরা করে জানা যায়, বহরমপুর জেলে থাকার সময় আব্বাসের সঙ্গে পরিচয় হয় খাগড়গড়কাণ্ডে সাজাপ্রাপ্ত জঙ্গি সাদিক ওরফে তারিকুল ইসলামের। অসম পুলিশ সূত্রে দাবি, বহরমপুর জেলে থাকার সময় এই কুখ্যাত জঙ্গির সঙ্গে, নিয়মিত কথাবার্তা হত ধৃত ABT জঙ্গি আব্বাস আলির। গোয়েন্দাদের অনুমান, পশ্চিমবঙ্গ-সহ গোটা ভারতে আনসারুল্লা টিমের সক্রিয়তা কীভাবে বাড়ানো যায়, কীভাবে আরও স্লিপার সেল তৈরি করা যায়, জেলে আব্বাসকে সেইসব টিপস দিত খাগড়াগড়কাণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত জঙ্গি সাদিক।
মাদক চক্র চালাচ্ছিল তারা?
জেল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই কয়েদি গাঁজা, মদ পাচারের অভিযোগে জেলবন্দি রয়েছে। তাদের থেকেই দুটি কিপ্যাড মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। কী করে বন্দিদের কাছে ফোন এল? তারা বাইরে কাদের সঙ্গে যোগাযোগ করত? সংশোধনাগারে বসেই কী কোনও মাদক চক্র চালাচ্ছিল তারা। না কি কোনও নাশকতার ছক ছিল? এই সমস্ত প্রশ্ন নিয়ে চিন্তিত পুলিশ।