ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ভুয়ো পাসপোর্ট কাণ্ডের পর, পাসপোর্টের আবেদন ও পুনর্নবীকরণের প্রক্রিয়া কিছুটা জটিল হয়ে পড়েছে। এর আগে, পাসপোর্টের নথি যাচাইয়ের প্রক্রিয়া অনেকটা সরল ছিল (Passport Verification), কিন্তু এখন জমা দেওয়া নথির প্রতিলিপি যাচাই করতে তা সংশ্লিষ্ট নথি প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাতে হচ্ছে। তাদের কাছ থেকে যাচাইয়ের রিপোর্ট পাওয়ার পরই পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষের কাছে তা পৌঁছানো হচ্ছে। এই দীর্ঘ প্রক্রিয়ায় অনেক সময় লাগছে, ফলে পাসপোর্টের আবেদন এবং পুনর্নবীকরণের সময়সীমা অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে আবেদনকারীদের জন্য সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।
কাজ ত্বরান্বিত করার প্রক্রিয়া (Passport Verification)
বর্তমানে পাসপোর্ট যাচাইয়ের কাজ ত্বরান্বিত করতে কলকাতা পুলিশের থানা স্তরে আরও কিছু পদক্ষেপ নেওয়া (Passport Verification) হয়েছে। থানায় থাকা স্পেশ্যাল ব্রাঞ্চের অফিসারদের কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে লালবাজার। ইতিমধ্যে, মার্চ মাসে পাসপোর্ট যাচাইয়ের কাজ শুরু করতে গিয়ে, পাসপোর্ট অফিসারদের সঙ্গে কাজ করবেন থানায় থাকা অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিভিশনাল অফিসার (এডিও)রা।
পাসপোর্টের আবেদন জমা (Passport Verification)
জানা গেছে, বর্তমানে কলকাতা পুলিশের তিনটি ডিভিশনে সবচেয়ে বেশি পাসপোর্টের আবেদন (Passport Verification) জমা পড়েছে, সেগুলি হল যাদবপুর, বেহালা এবং দক্ষিণ-পূর্ব। এই তিনটি ডিভিশনে ২৮ জন এডিও পাসপোর্ট যাচাইয়ের কাজে নিয়োজিত থাকবেন। এছাড়াও, আগামী মাসেও এই কাজ অব্যাহত থাকবে।

তিন দিনের প্রশিক্ষণ
এই কাজের জন্য এডিওদের তিন দিনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, যাতে তাঁরা পাসপোর্ট যাচাইয়ের পদ্ধতি সম্পর্কে যথাযথ জ্ঞান অর্জন করতে পারেন। যদিও সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে প্রশিক্ষণ নেওয়া অফিসাররা কতটা দক্ষ হয়ে উঠেছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এখন প্রতিটি থানায় এক জন করে পুলিশ অফিসার এবং তাঁর সহকারী পাসপোর্ট যাচাইয়ের কাজ করছেন, যার ফলে কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: Kolkata Police: সাইবার ক্রাইম রুখতে তৎপর কলকাতা পুলিশ, লালবাজারের সাইবার থানাকে নিয়ে ৬ শাখা গঠন
কড়া নজর
গত ডিসেম্বরে ভুয়ো পাসপোর্ট কাণ্ডের পর, পুলিশ বিভাগ এই কাজের উপর আরও কড়া নজর রেখেছে। তদন্তে জানা গিয়েছিল যে, একটি চক্র বাংলাদেশি নাগরিকদের ভুয়ো পাসপোর্ট বানিয়ে বিদেশে পালাতে সাহায্য করছিল। এই ঘটনায় পুলিশের কিছু কর্মকর্তার গাফিলতি সামনে এসেছে, যার কারণে এক অবসরপ্রাপ্ত পাসপোর্ট যাচাই অফিসারও গ্রেফতার হন। এরপর থেকেই পাসপোর্ট যাচাইয়ের প্রক্রিয়া আরও কঠোরভাবে চালানো হচ্ছে।
এই সকল পদক্ষেপের ফলে বিভিন্ন থানায় প্রায় ২০০-৩০০টি পাসপোর্টের আবেদন জমে গেছে। আগের চেয়ে পাসপোর্ট যাচাইয়ের আবেদন প্রায় তিন গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে, যার কারণে এই কাজ আরও দ্রুত শেষ করতে আরও বেশি সংখ্যক কর্মকর্তাকে কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।