ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ১৪ মার্চ, ২০২৫ শুক্রবার সারা দেশজুড়ে উদযাপিত হবে রঙের উৎসব অর্থাৎ (Holi 2025) দোলযাত্রা। লাল, নীল, সবুজ রঙের মেলা বসবে চারিদিকে। বসন্তের নতুন পাতার সবুজ রঙের সঙ্গে মিশবে আগুন রঙা পলাশের রঙ। কোকিলের মিষ্টি ডাকের মতোই মনেও লাগবে ফাগুন হাওয়া। কিন্তু জানেন কি এই দোলযাত্রার উৎপত্তি কোথা থেকে?
কৃষ্ণ এবং রাধার প্রেমের প্রতীক (Holi 2025)
দোলযাত্রা, বা হোলি, ভারতের একটি (Holi 2025) প্রাচীন উৎসব। এই উৎসব মূলত হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে পালিত হয়। এই উৎসবের উৎপত্তি সংক্রান্ত বিভিন্ন মতামত ও কাহিনী রয়েছে, তবে প্রধানত এটি কৃষ্ণ এবং রাধার প্রেমের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়।
বৈষ্ণব ধর্মের অনুসারী (Holi 2025)
বৈষ্ণব ধর্মের অনুসারীরা বিশ্বাস করেন যে, দোলযাত্রার সঙ্গে কৃষ্ণের জীবন কাহিনী (Holi 2025) জড়িত। বিশেষ করে, কৃষ্ণ যখন কৈশোরে ছিলেন, তখন তিনি রাধা ও অন্যান্য গোপীদের সঙ্গে দোল খেলতেন। এই সময় রং, ফুল এবং জল দিয়ে খেলাধুলা করা হত। দোলযাত্রা মূলত প্রেম, ভ্রাতৃত্ব এবং আনন্দের উৎসব হিসেবে উদযাপিত হয়।
আরও পড়ুন: Kolkata Metro Rail: দোলের দিন এই লাইনে চলবে না মেট্রো, সময়সূচিতেও বদল!
আজ আমাদের ন্যাড়াপোড়া
এই উৎসবের আরেকটি দিক হল “হোলিকা দহন,” যা দোলের আগের দিন পালিত হয়। এই দিনে, হোলিকা, এক দুষ্ট রাক্ষসী, এর ভস্মীভূত হওয়ার কাহিনী উদযাপিত হয়। এটি অশুভের বিরুদ্ধে সত্যের জয়ের প্রতীক।
বৃন্দাবনের হোলি
দোল উৎসবের জন্য মথুরা এবং বৃন্দাবন বিশেষভাবে পরিচিত। ভগবান কৃষ্ণের জন্মস্থান হিসেবে মথুরা ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় গুরুত্ব বহন করে, এবং তার পাশের বৃন্দাবন দোল খেলার জন্য জনপ্রিয়। এখানে দোলের দিন আড়ম্বরপূর্ণ উদযাপন হয়, যেখানে সুর, সংগীত এবং ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠান পালন করা হয়। বাঁকে বিহারী মন্দিরের গুরুত্ব অনেক, যেখানে ভক্তরা বেলুন নিয়ে দোল খেলে। বৃন্দাবনে লাঠমার হোলি খেলা বিশেষ আকর্ষণ, যেখানে মহিলারা পুরুষদের লাঠি দিয়ে মারেন। এই দৃশ্য দেখার জন্য দর্শকরা দূরদূরান্ত থেকে আসেন।
রাজস্থানের দোল উৎসব
রাজস্থানেও দোল উৎসবের আয়োজন লক্ষণীয়, বিশেষ করে জয়পুরের সিটি প্যালেসে। এখানে রাজস্থানী ঐতিহ্যের ছোঁয়া এবং গুজিয়ার মতো মিষ্টির স্বাদ নিতে মানুষ ভিড় করেন। দিল্লিতে দোলের সময়ে পার্ক এবং রাস্তাঘাট সাজানো হয়, যেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয় এবং ইন্ডিয়া গেটের মতো জায়গায় মানুষের ভিড় জমে।
বৃজ হোলি
বৃজ অঞ্চলে হোলি পালনের বিশেষ রীতি রয়েছে, যেখানে বিভিন্ন মন্দিরে উৎসবের আয়োজন হয়। উদয়পুরের শান্ত পরিবেশ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দোল উদযাপনও অনবদ্য।