ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: মাটি তোলাকে কেন্দ্র করে রাজারহাটের (TMC Inner Clash) শিখরপুরে তৃণমূলের দুটি স্থানীয় গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। মঙ্গলবার রাতে ঘটে যাওয়া এই ঘটনায় আহত হন তৃণমূলের একটি পঞ্চায়েতের উপপ্রধান আক্রামুল আলি মোল্লা। উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠি চালায় এবং তিন জনকে গ্রেফতার করে।
কেন হামলা? (TMC Inner Clash)
আক্রামুলের অভিযোগ, অঞ্চল সভাপতি জব্বার মোল্লার অনুগামীরা তাঁকে মারধর (TMC Inner Clash) করেছেন। তিনি জানান, “গত এক মাস ধরে চাঁদপুর এলাকায় মাটির গাড়ি চলছে। আমি বলেছিলাম, এভাবে মাটির গাড়ি চালিয়ে এলাকার রাস্তাঘাট খারাপ করা যাবে না এবং জলাভূমি ভরাট করা চলবে না। এই কারণে তারা আমার উপরে হামলা করেছে।”
রাস্তা অবরোধ! (TMC Inner Clash)
ঘটনার পর তাঁর অনুগামীরা বুধবার সকালে চাঁদপুরে রাস্তা (TMC Inner Clash) অবরোধ করেন। পুলিশ শাহবুদ্দিন মোল্লা ও শাইনুর মোল্লা নামে দু’জনকে গ্রেফতার করে। তবে জব্বার মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: নাম না করেই শুভেন্দুকে নিশানা মমতার, সভাপতির পদ নিয়েই বিতর্ক?
ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের ফল?
রাজারহাট-নিউ টাউনের তৃণমূল সভাপতি প্রবীর কর বলেন, “মারামারির এই ঘটনা রাজনৈতিক নয়। এটি সম্পূর্ণরূপে ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের ফল।” সূত্রের খবর, মঙ্গলবার নিউ টাউনের বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায় একটি বৈঠক ডাকেন, যেখানে তিনি ইফতার আয়োজন করেন। সেখানে জব্বার ও তাঁর অনুগামীরা উপস্থিত ছিলেন। সমাজমাধ্যমে সেই বৈঠকের ছবি প্রকাশের পর আক্রামুলের অনুগামীরা কুমন্তব্য করেন, যা পরিস্থিতিকে আরও উত্তেজিত করে তোলে।
থানার ভিতরেও মারামারি!
সংঘর্ষের পরিস্থিতি এমন হয়ে দাঁড়ায় যে, রাজারহাট থানার ভিতরেও মারামারি শুরু হয়। পুলিশ এসে তিনজনকে আটক করে। তাপস চট্টোপাধ্যায় এই ঘটনার সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেন এবং বলেন, “এটি একেবারে ব্যক্তিগত বিষয়। তবে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দলের বৈঠকের ভিডিও যাতে সমাজমাধ্যমে ইচ্ছামতো প্রকাশিত না হয়, সে ব্যাপারেও নজর রাখা হবে।”
উত্তপ্ত পরিবেশ
এই ঘটনার প্রেক্ষাপটে স্থানীয় রাজনৈতিক পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। অনেকেই মনে করছেন, দলীয় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে এলাকাবাসীর মধ্যে অশান্তি সৃষ্টি হচ্ছে, যা সমাজের শান্তি বিঘ্নিত করছে। এরই মধ্যে দলীয় হাইকমান্ডের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা চলছে, যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা আগেই এড়ানো যায়।