ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বাগুইহাটি দেশবন্ধু নগর অভিজাত আবাসনের তৃতীয় তলার ফ্ল্যাট থেকে বার নর্তকীর দেহ উদ্ধার (Dead body Recovered) ঘিরে তৈরি হয়েছে রহস্য। মঙ্গলবার সকালে খাটের ওপর থেকে দেহ উদ্ধার হয়েছে, গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে, শ্বাস রোধ করে খুন? নাকি আত্মহত্যা! তদন্তে নেমে পুরুষ বন্ধুকে আটক করেছে বাগুইহাটি থানা।
সোমবার জন্মদিন ছিল তাঁর। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই তরুণীর নাম মণীষা রায়। জানা গিয়েছে, তরুণীর বন্ধু অন্তর্যামী সোরেন ওড়িশা থেকে জন্মদিন পালনের জন্য এসেছিলেন বান্ধবীর ফ্ল্য়াটে। শুধুমাত্র এরা দুজনই উপস্থিত ছিল। রাতে পার্টিও হয় বলে খবর।
আরও পড়ুন: Indian Museum: ইমেল মারফত এল হুমকি! বোমায় উড়িয়ে দেওয়া হবে যাদুঘর
শ্বাস রোধ করে খুন? নাকি আত্মহত্যা! (Dead body Recovered)
গতকাল জন্মদিনের পার্টি শেষে দুজনই ঘরের মধ্যে ছিল। কলাপসেবল গেট তালাবন্ধ ছিল, ভেতরেই ছিল তার পুরুষ বন্ধু এবং নর্তকী তরুণী। তবে ঘরের ভেতরে ঠিক কী ঘটেছিল সেই ঘটনা একমাত্র সাক্ষী তার পুরুষ সঙ্গী অন্তর্যামী সোয়েন। আবাসনের চাবি তরুণীর কাছে থাকায় ঘর থেকে বেরোতে পারেননি ২২ বছরের যুবক। এদিন সকালে পুলিশের কাছে খবর গেলে গেটের তালা ভেঙে তারাই তরুণীর নিথর দেহ উদ্ধার (Dead body Recovered) করে।
সকালে গেটের তিনটি তালা ভেঙে তরুণীর দেহ উদ্ধার (Dead body Recovered) করে বাগুইহাটি থানার পুলিশ। আপাতত পুলিশের কাছে মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট নয়। দেহ ময়না তদন্তের জন্য আরজি কর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরই বোঝা যাবে, তরুণীর মৃত্যু কীভাবে। ওড়িশার যুবক অন্তর্যামীকে আটক করে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
আরও পড়ুন: Patharpratima Bomb Blast: প্যাকেটজাত করার সময় ভয়াবহ বিস্ফোরণ! শেষ প্রায় গোটা পরিবারই
জানা গিয়েছে, মণীষা হলেন বাগুইআটির আক্রান্ত প্রোমোটার কিশোর হালদারের প্রথম পক্ষের মেয়ে। মণীষার মায়ের সঙ্গে কিশোরের ১৫ বছর আগে পারস্পরিক সম্মতিতে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এরপর মেয়ে মণীষাকে নিয়ে একাই থাকতেন তাঁর মা। কয়েক বছর আগে মণীষার মায়ের মৃত্যু হয়। বারে নাচ করতেন মণীষা। কিশোর হালদার তাঁদের দেখভালের দায়িত্ব নেননি বলে অভিযোগ।
উল্লেখ্য, এই কিশোর হালদারকেই মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কাউন্সিলর সমরেশ চক্রবর্তী ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। যদিও এ বিষয়ে কিশোর হালদারকে প্রশ্ন করা হলে, প্রথমে তিনি কিছুক্ষণ চুপ থাকেন, তারপর বলেন, “নো কমেন্টস, আমি স্বীকারই করব না।”