ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: রবিবার রামনবী উদ্যাপনে এক নতুন রূপে হাজির (Kunal Ghosh) হলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। গোলাপি শার্ট, গোলাপি প্যান্ট, গলায় চেলি কাপড় এবং মাথায় গোলাপি পাগড়ি পরে তিনি সম্প্রীতির বার্তা নিয়ে শোভাযাত্রায় অংশ নিলেন। শোভাযাত্রার মধ্যে কুণাল ঘোষ এবং তার দলীয় সদস্যরা একের পর এক জমায়েত করতে শুরু করেন, যেখানে দেখা যায় একাধিক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষও। তাদের মুখেও শোনা যায় “হিন্দু-মুসলিম ভাই-ভাই” স্লোগান।
শোভাযাত্রার শুরু (Kunal Ghosh)
এই শোভাযাত্রাটি শুরু হয়েছিল ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি থেকে, যেখানে কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) নেতৃত্বে শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে রাম, সীতা এবং হনুমানের ছবিসহ একাধিক মানুষ অংশ নেন এবং মিছিলের সঙ্গে বাজানো হচ্ছিল ঢাক, চলছিল রামের গানের সুর। শুরুতেই কুণাল ঘোষ ধর্মীয় সম্প্রীতির কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “এটা একটি সম্প্রীতির শোভাযাত্রা, যেখানে মুসলমানদের পবিত্র ইদে আমরা তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি। রামনবমীর শোভাযাত্রায় মুসলমানরাও অংশ নিচ্ছেন, কারণ ধর্মীয় উৎসব আলাদা হলেও, সেটা সবার। এটা বাংলার সংস্কৃতি এবং বেঙ্গল মডেলের পরিচয়।”
শ্রদ্ধা এবং সম্প্রীতির মেলবন্ধন (Kunal Ghosh)
কুণাল ঘোষের কথায় পরিষ্কার ছিল, তিনি একটি বৃহত্তর বার্তা দিতে চাইছেন, যেখানে সব ধর্মের মানুষের সম্মেলন, একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা এবং সম্প্রীতির মেলবন্ধন (Kunal Ghosh) রয়েছে। বাংলার সংস্কৃতিতে এই ধরনের শোভাযাত্রা শুধু ধর্মীয় একতা নয়, বরং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধির প্রতীক বলেই মনে করেন কুণাল।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: পশ্চিমবঙ্গে জিএসটি আদায়ে নতুন মাইলফলক, মুখ্যমন্ত্রীর মুখে চওড়া হাসি!

একত্রে উদ্যাপন
শোভাযাত্রার মধ্যে বিভিন্ন সংখ্যালঘু মানুষও অংশ নেন এবং তাদের মুখে শোনা যায় “হিন্দু-মুসলিম ভাই-ভাই” স্লোগান। এক সংখ্যালঘু ব্যক্তি বলেন, “রামনবমীর শুভেচ্ছা সবাইকে। হিন্দু-মুসলিম ভাই-ভাই। এটাই তো বাংলা।” এর মাধ্যমে একটি শক্তিশালী বার্তা দেওয়া হয়েছে, যেখানে ধর্মের পার্থক্য সত্ত্বেও সকলেই একে অপরকে সম্মান দিয়ে চলেন এবং একত্রে উদ্যাপন করেন।