ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: গ্রীষ্মের তাপমাত্রা বাড়তেই দমদম পুরসভা (Dumdum Water Crisis) এলাকায় ফের দেখা দিচ্ছে পানীয় জলের সমস্যা। বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে জল সরবরাহে ঘাটতির অভিযোগ তুলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গঙ্গা থেকে জল সরবরাহের পরিমাণ কমে যাওয়ায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুর কর্তৃপক্ষ। তবে তাতেও সমাধান না হলে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে ভূগর্ভস্থ জল ব্যবহার করে সাময়িক সমাধানের চেষ্টা চলছে।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে… (Dumdum Water Crisis)
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, দমদমের মোট (Dumdum Water Crisis) ২২টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১০, ১১ এবং ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে সবচেয়ে বেশি জলের অভাব দেখা দিচ্ছে। ১৫ ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ডেও একই সমস্যা রয়েছে, তবে তুলনায় কিছুটা কম। দমদম পুরসভায় প্রতিদিন গড়ে ৬০ লক্ষ গ্যালন পানীয় জলের চাহিদা থাকে। কিন্তু প্রাপ্ত জলের পরিমাণ সেই চাহিদা পূরণ করতে পারছে না। গ্রীষ্মের শুরুতেই এই ঘাটতি আরও প্রকট হয়ে উঠছে।
ট্যাঙ্ক পূরণ হতে লাগছে দীর্ঘ সময় (Dumdum Water Crisis)
বাসিন্দাদের অনেকেই অভিযোগ করছেন, সকাল-বিকেল নির্দিষ্ট সময়ে জল এলেও (Dumdum Water Crisis) প্রেশার এতটাই কম থাকে যে ট্যাঙ্ক পূরণ হতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। কেউ কেউ বাধ্য হয়ে বাজার থেকে জলের বোতল কিনে এনে দৈনন্দিন চাহিদা মেটাচ্ছেন। সমস্যায় পড়ছেন বৃদ্ধ এবং অসুস্থ সদস্যরা, যাঁদের জন্য জলের প্রয়োজন আরও বেশি।
সচেষ্ট পুরসভা
পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান বরুণ নট্ট জানিয়েছেন, গরমের সময়ে গঙ্গার জলস্তর নেমে যায়, যার প্রভাব পড়ে জল সরবরাহে। সেই কারণে বাধ্য হয়ে কিছু ক্ষেত্রে ভূগর্ভস্থ জল মিশিয়ে সরবরাহ করতে হচ্ছে। তবে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, এই সমস্যা যেন দীর্ঘস্থায়ী না হয়, তার জন্য পুরসভা সচেষ্ট।
স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে পাঠানো হয়েছে বিস্তারিত প্রকল্প
পুরসভার চেয়ারম্যান হরিন্দর সিংহ জানিয়েছেন, পরিস্রুত পানীয় জলের সমস্যার স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে একটি বিস্তারিত প্রকল্প তৈরি করে রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে। ওই প্রকল্প অনুমোদন পেলেই জলের মান এবং সরবরাহ—দুই দিক থেকেই উন্নতি ঘটবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
প্রতি বছর একই সমস্যার পুনরাবৃত্তি
স্থানীয় বাসিন্দারা চাইছেন, সমস্যা নিয়ে কর্তৃপক্ষ শুধু ব্যাখ্যা না দিয়ে দ্রুত সমাধানের দিকেই এগিয়ে যাক। তাঁদের মতে, গ্রীষ্ম আসবে—এটা জানাই। সেই অনুযায়ী আগেভাগেই জলের ব্যবস্থা না করলে প্রতি বছর একই সমস্যার পুনরাবৃত্তি হবে। প্রশাসনের কাছে তাই তাঁদের আবেদন, পরিকল্পনা হোক স্থায়ী এবং কার্যকর, যাতে ভবিষ্যতে আর পানীয় জল নিয়ে উদ্বেগ না থাকে।