ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: আনন্দী ধারাবাহিকের নায়ক (Writwik Mukherjee) এবার হিন্দিতে। তাহলে আনন্দী ধারাবাহিকের কী হবে? তবে কি নায়ক বদলে যাবে? নাকি আনন্দী ধারাবাহিক আর দেখাই যাবে না? এমনই প্রশ্ন উঠছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কারণটা একটাই, হিন্দি ধারাবাহিকে শোনা গিয়েছে ঋত্বিক মুখার্জির কন্ঠ। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি মাঝপথেই আনন্দী ধারাবাহিক ছাড়ছেন তিনি?
সত্যি কি আনন্দী ছাড়ছেন অভিনেতা? (Writwik Mukherjee)
জি বাংলার জনপ্রিয় (Writwik Mukherjee) ধারাবাহিক আনন্দী (Anondi)। যেখানে জুটি বেঁধেছেন অন্বেষা হাজরা (Annwesha Hazra) এবং ঋত্বিক মুখার্জি। টিআরপিতে ভালো ফল করতে না পারলেও, জনপ্রিয়তা কম নয়। ইতিমধ্যেই ঋত্বিক এবং অন্বেষার জুটি দর্শক মনে একটা পোক্ত জায়গা করে নিয়েছে। আদি এবং আনন্দীর কেমিস্ট্রি পছন্দ করছে দর্শকরা। গল্পে আসছে নিত্য নতুন টুইস্ট। আনন্দী সবসময় চেষ্টা করে আদিকে সমস্ত বিপদ থেকে রক্ষা করতে। পরিবারের মঙ্গল চায় সে। আদির পরিবারের বিরুদ্ধে হওয়া একের পর এক ষড়যন্ত্রের জাল ফাঁস করে দিতে সিদ্ধ হস্ত আনন্দী । এসবের মাঝেই শোনা গেল নায়ক নাকি এই ধারাবাহিক ছেড়ে দিচ্ছেন। চিন্তা করবেন না। পুরোটাই গুঞ্জন মাত্র। তবে হ্যাঁ, অন্য আরেকটি ধারাবাহিকে শোনা গিয়েছে অভিনেতার কন্ঠ।
প্রকাশ্যে নতুন প্রোমো (Writwik Mukherjee)
সম্প্রতি জি বাংলায় একটি নতুন প্রোমো (Writwik Mukherjee) সামনে এসেছে। এটি নতুন ধারাবাহিক ‘ইশক সুবহান আল্লাহ’ । তবে এই ধারাবাহিকে ঋত্বিককে অভিনয়ে নয়, বরং নায়কের চরিত্রে কন্ঠ দেবেন তিনি। এই ধারাবাহিকটি হিন্দি ডাবিং। হিন্দিতে শুরু হয়েছিল সেই ২০১৮ সালে। ঋত্বিক আনন্দী ধারাবাহিক ছাড়ছেন না। তবে এটা ঠিক যে, অনুরাগীরা অভিনেতার এই কাজে ভীষণ খুশি।
ঋত্বিকের কেরিয়ার
প্রসঙ্গত, ছোট পর্দায় বেশ জনপ্রিয় মুখ ঋত্বিক মুখার্জি। এর আগেও অন্বেষা হাজরার সঙ্গে তার জুটি রীতিমত সুপারহিট হয়েছিল। টেলিভিশনে সফর শুরু করেছিলেন ‘পথ যদি না শেষ হয়’ ধারাবাহিকের মাধ্যমে। তারপর তাকে দেখা যায় ‘মন দিতে চাই’ ধারাবাহিকে সোমরাজের চরিত্রে। আর এখন তিনি ‘আনন্দী’ ধারাবাহিকের আদিদেব লাহিড়ী ওরফে আদি।
আরও পড়ুন: Lopamudra Mitra: লোপামুদ্রার বড় প্রাপ্তি, বাংলা ভাষার জন্য কী পেলেন তিনি?
ঋত্বিকের স্ট্রাগল
গত বছরের নভেম্বরে রেজিস্ট্রি বিয়ে সেরেছেন প্রেমিকা দিশা দাসের সঙ্গে। দু’জনের সম্পর্ক বহুদিনের। অনেক স্ট্রাগল করে আজ ঋত্বিক টলিউডে একটা পোক্ত জায়গা করেছেন। খুব ছোটবেলায় দেখেছেন বাবা মায়ের বিচ্ছেদ। একটা সময় ছিল, যখন এক বছর চাকরি করতেন, সেই টাকা জমিয়ে শেষ না হওয়া পর্যন্ত থিয়েটারে অভিনয় করতেন। এমনকি লকডাউনে সবজি বিক্রি করেছেন পাড়ার মোড়ে। অভিনয়ের মাধ্যমে আজ তিনি বাংলার ঘরের প্রিয় ছেলে।