ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: সোমবার কমিশনের বিবৃতিতে নতুন কিছু পাওয়া যায়নি বলে দাবি (SSC Teachers Protest) আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। সারা রাত ধরে তাঁরা এসএসসি ভবনের বাইরে অবস্থান-বিক্ষোভ চালিয়ে গিয়েছেন। মঙ্গলবার সকালেও এসএসসি অফিস ‘ঘেরাও’ করে রেখে দিয়েছেন তাঁরা। এসএসসি ভবনের ভিতরে সোমবার থেকে আটকে রয়েছেন কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার-সহ অন্য আধিকারিকেরা। এবার আন্দোলনকারীদের সতর্ক করলেন বিধাননগর পুলিশের ডিসি।
শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে আপত্তি নেই (SSC Teachers Protest)
বিধাননগর পুলিশের ডিসি অনীশ সরকার মঙ্গলবার জানান, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে কোনও আপত্তি নেই পুলিশের। কিন্তু পুলিশকর্মীদের কর্তব্যপালনে যাতে বাধা না-দেওয়া হয়, সে বিষয়েও আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষকদের সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি (SSC Teachers Protest)। বিধাননগর পুলিশের ডিসি বলেন, “পুলিশ অফিসারেরা নিজেদের ডিউটি করছেন। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু পুলিশ যখন নিজের কাজ করতে গিয়েছে, (সোমবার) সন্ধ্যা থেকে তাঁদের ধাক্কাধাক্কি করা হয়েছে এবং আটকানো হয়েছে। ভিতর থেকে তাঁরা বেরোনোর সময় আটকানোর চেষ্টা হয়েছে। পুলিশকে ডিউটি করতে আটকানো হলে তা আইনসম্মত হবে না। এই ভাবে পুলিশকে ডিউটিতে বাধা দেওয়া উচিত হবে না।”
পুলিশ ও অন্য সরকারি কর্মীদের জন্য খাবার (SSC Teachers Protest)
মঙ্গলবার বিধাননগরের ডিসি অনীশ কুমার আন্দোলনরত শিক্ষকদের উদ্দেশে অনুরোধ করেন যাতে এসএসসি ভবনের ভিতরে জল এবং খাবার নিয়ে ঢুকতে বাধা দেওয়া না হয় (SSC Teachers Protest)। এর কিছু ক্ষণ কিছু বিস্কুট, কলা, তরমুজ এবং জলের ব্যবস্থা করেন চাকরিহারা শিক্ষকরা। তাঁদের দাবি, সেগুলি পুলিশ ও অন্য সরকারি কর্মীদের জন্য নিয়ে এসেছেন।
আরও পড়ুন: SSC Teachers Protest: মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অফিসে অনশনে ৮ চাকরিহারা শিক্ষাকর্মী
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক সমিতি
আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক সমিতি (জুটা)-ও। অধ্যাপক সংগঠনের তরফে এক সদস্য মঙ্গলবার এসএসসি দফতরের সামনে এসেছেন। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “এটি একটি প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি। যোগ্য-অযোগ্যদের গুলিয়ে ফেলার চেষ্টা করছে সরকার। আমরা চাই অবিলম্বে ওদের দাবি মেনে যোগ্য-অযোগ্য তালিকা ঘোষণা করুক।”
বায়ো টয়লেটের ব্যবস্থা হয়নি
আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, অনেক শিক্ষিকাও রয়েছেন অবস্থানে। তাঁদের জন্য অবস্থানস্থলে কিছু বায়ো টয়লেটের প্রয়োজন। তবে এখনও পর্যন্ত বায়ো টয়লেটের কোনও ব্যবস্থা হয়নি বলে দাবি আন্দোলনকারীদের। স্থানীয় তিনটি বাড়ির একতলা খুলে দেওয়া হয়েছে। আন্দোলনরত মহিলা যাতে সেখানে শৌচালয় ব্যবহার করতে পারেন।