ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: চাকরিতে অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে প্যানেল তৈরি না হওয়ায় কলকাতা জেলার প্রাথমিকে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের পুরো প্যানেলের উপর স্থগিতাদেশ জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। শুক্রবার এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। আগামী ২১ জানুয়ারির মধ্যে এই নিয়ে রাজ্যের থেকে রিপোর্টও তলব করল আদালত।
নিয়ম অনুযায়ী, চাকরিতে অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে প্রাথমিকে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ করা হয়। সেই প্যানেল তৈরি করে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। কিন্তু অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে কলকাতা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ প্রধান শিক্ষক নিয়োগের প্যানেল তৈরি করেনি, এই অভিযোগ তুলে আদালতের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন বনশ্রী মাইতি নামে এক শিক্ষিকা। শুক্রবার এই মামলার শুনানিতে বনশ্রী মাইতির আইনজীবী ফিরদৌস শামীম আদালতে জানান, তাঁর মক্কেল অর্থাৎ বনশ্রী মাইতি বর্তমানে কলকাতার একটি স্কুলে শিক্ষকতা করেন। মামলাকারী শিক্ষিকার অভিযোগ, ২০০৩ সালে তিনি মেদিনীপুরের একটি স্কুলে শিক্ষকতার চাকরি পান। এরপর ২০০৭ সালে তিনি কলকাতার একটি স্কুলে বদলি হয়ে আসেন।
আরও পড়ুন: https://tribetv.in/rg-kar-case-verdict-will-be-declare-on-18-january/
বর্তমানে সেই স্কুলেই তিনি সহশিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত রয়েছন। তাঁর অভিযোগ, বর্তমানে তিনি যে স্কুলে কর্মরত রয়েছেন সেই স্কুলে সঙ্ঘমিত্রা সিনহা নামে এক শিক্ষিকার নাম প্রধান শিক্ষিক নিয়োগের প্যানেলে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু সঙ্ঘমিত্রা সিনহার চাকুরি জীবনের অভিজ্ঞতা তাঁর থেকেও কম। তার থেকে অনেক পরে চাকরিতে নিযুক্ত হয়েছেন সংঘমিত্রা। কারণ সঙ্ঘমিত্রা সিনহা ২০০৬ সালে চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন।
নিয়ম অনুযায়ী যেখানে অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে প্রধান শিক্ষক বা শিক্ষিকা নিয়োগ হয় (Calcutta High Court), সেখানে কলকাতা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ২১ জনের যে প্রধান শিক্ষকের প্যানেল তৈরি করেছে তাতে কি করে কম অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও সঙ্ঘমিত্রা সিনহার নাম প্যানেলে তাঁর নামের আগে এলো, সেই প্রশ্ন তুলেই আদালতের দ্বারস্থ হন বনশ্রী মাইতি। যদিও রাজ্যের আইনজীবী ভাস্কর প্রসাদ বৈশ্য আদালতে যুক্তি দেন, বনশ্রী মাইতির ২০০৭ সালের বদলিটাকে নতুন নিয়োগ হিসেবেই ধরা হয়েছে।
আরও পড়ুন: https://tribetv.in/calcutta-high-court-directs-to-check-of-primary-teacher/
আরও পড়ুন: https://tribetv.in/sourav-ganguly-can-not-take-land-on-lease-for-rupees-on/
দুই পক্ষের বক্তব্য শোনার পর কলকাতা জেলার প্রাথমিকে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের সম্পূর্ণ প্যানেলের উপরই স্থগিতাদেশ জারি করেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। ২১ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানিতে রাজ্যকে এই নিয়ে একটি রিপোর্ট জমা নির্দেশ দিয়েছেন তিনি (Calcutta High Court)।