ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া প্রবল বৃষ্টির জেরে উত্তর সিকিমের বিস্তীর্ণ এলাকা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে(Sikkim Landslide)। ধারাবাহিক বৃষ্টির কারণে সিকিমের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় ধস নেমে পরিস্থিতি সংকটজনক হয়ে উঠেছে। ধসের ফলে অনেক রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে এবং হাজার হাজার পর্যটক আটকে পড়েছেন। এর ফলে প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে তৎপরতা বৃদ্ধি করেছে এবং পরিস্থিতি আরও খারাপ না হওয়ার জন্য পর্যটকদের এই সময়ে উত্তর সিকিমে ভ্রমণ না করার পরামর্শ দিয়েছে।
ধসের কারণে আটকে পর্যটকরা (Sikkim Landslide)
প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, লাচেন ও লাচুঙে এক হাজারেরও বেশি পর্যটক আটকা পড়েছেন(Sikkim Landslide)। আর মঙ্গনের পুলিশ সুপার সোনম দেতচু ভুটিয়া জানান, ধসের কারণে দেড় হাজারেরও বেশি পর্যটকের গাড়ি আটকে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে স্থানীয় প্রশাসন তাদের নিরাপত্তার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। পুলিশ, আইটিবিপি এবং অন্যান্য শিবিরে পর্যটকদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
স্থায়ী ব্যবস্থা ও পরিকল্পনা (Sikkim Landslide)
অতিবৃষ্টি এবং ধসের কারণে রাস্তাঘাট বন্ধ হয়ে যাওয়ায়, আটকে পড়া পর্যটকদের জন্য প্রশাসন বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে(Sikkim Landslide)। থানা, গুরুদ্বার, আইটিবিপি শিবির এবং নিকটবর্তী গ্রামে তাদের নিরাপদে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুলিশ সুপার সোনম দেতচু জানিয়েছেন, শুক্রবার সকালে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে পর্যটকদের গ্যাংটকের দিকে রওনা করার ব্যবস্থা করা হবে।

ধসের প্রভাব (Sikkim Landslide)
চুংথাং থেকে লাচেন যাওয়ার পথে মুন্সিথাঙ এবং চুংথাম থেকে লাচুং যাওয়ার পথে লিমাতে ধস নামায় বেশ কিছু পর্যটক রাস্তার মাঝেই আটকা পড়েন। এর ফলে, পর্যটকদের উত্তর সিকিমে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত পর্যটকদের উত্তর সিকিমের (Sikkim Tourism) উদ্দেশে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।

পরিস্থিতির উন্নতি হলে তবেই পুনরায় ভ্রমণ (Sikkim Landslide)
উত্তর সিকিমের এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকার কারণে পর্যটন সংস্থাগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এই সময় কোনও পর্যটককে ভ্রমণ করতে উৎসাহিত না করতে এবং কোনও পর্যটককে হোটেল ছাড়তে না দেওয়ার জন্য। পরিস্থিতির উন্নতি হলে তবেই পর্যটকদের পুনরায় ভ্রমণ করার অনুমতি দেওয়া হবে।এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে আক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও, স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ বাহিনী পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করে চলেছে এবং আশা করা যাচ্ছে যে পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসবে।