ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: টানা দাবদাহে নাজেহাল রাজ্যবাসীর জন্য কিছুটা স্বস্তি নিয়ে (WB Rain Forecast) এলো মে মাসের প্রথম দিক। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস মতোই সোমবার রাতেই দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলায় তুমুল ঝড়-বৃষ্টিতে জারি হয় প্রাকৃতিক ‘বিরতি’। কলকাতায় রাতের বৃষ্টিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে আসে ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা এই মরসুমে যথেষ্ট উল্লেখযোগ্য।
আবহাওয়া পরিস্থিতির সম্ভাবনা (WB Rain Forecast)
আবহাওয়া দফতরের সর্বশেষ বুলেটিন অনুযায়ী, মঙ্গলবার দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বিক্ষিপ্ত ঝড়-বৃষ্টির (WB Rain Forecast) সম্ভাবনা রয়েছে। কোথাও কোথাও ঝড়ের গতিবেগ পৌঁছতে পারে ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, নদীয়া-সহ প্রায় প্রতিটি জেলাতেই এই আবহাওয়া পরিস্থিতির সম্ভাবনা রয়েছে।
শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না (WB Rain Forecast)
আলিপুর আবহাওয়া অফিস জানাচ্ছে, এই ঝড়বৃষ্টি মূলত কালবৈশাখীর রূপে দেখা দিতে (WB Rain Forecast) পারে। কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। বুধবার ও শুক্রবার ঝড়-বৃষ্টির তীব্রতা আরও বাড়তে পারে বলেই পূর্বাভাস। সেদিন বজ্রবিদ্যুৎ-সহ দমকা হাওয়ার দাপট সবচেয়ে বেশি হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শুক্রবার ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা
অন্যদিকে, উত্তরের জেলাগুলিতেও একই ছবি। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, মালদা, আলিপুরদুয়ার ও উত্তর দিনাজপুরের কিছু অংশে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সঙ্গে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিমি গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে। তবে উত্তরবঙ্গে মঙ্গলবার তুলনায় বৃষ্টি কম হতে পারে। আবার শুক্রবার সেখানে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়বে।

উত্তর-পূর্ব বাংলাদেশ ও সংলগ্ন অঞ্চলে ঘূর্ণাবর্ত সক্রিয় রয়েছে
আবহাওয়াবিদেরা জানিয়েছেন, এই আবহাওয়া পরিস্থিতির মূল কারণ একাধিক ঘূর্ণাবর্ত। দক্ষিণ-পশ্চিম রাজস্থান, উত্তর-পূর্ব অসম, কোমোরিন এলাকা এবং উত্তর-পূর্ব বাংলাদেশ ও সংলগ্ন অঞ্চলে ঘূর্ণাবর্ত সক্রিয় রয়েছে। পাশাপাশি ২ মে থেকে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ঢুকবে উত্তর-পশ্চিম ভারতের পার্বত্য অঞ্চলে, যার প্রভাব পড়বে রাজ্যেও।
সমুদ্র উপকূলবর্তী জেলাগুলির জন্য রয়েছে অতিরিক্ত সতর্কবার্তা। দিঘা, মন্দারমণি, বকখালি সহ উপকূলবর্তী অঞ্চলে জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা থাকায় মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সব মিলিয়ে মে মাসের শুরুতেই রাজ্য জুড়ে ফের সক্রিয় হয়েছে প্রাকৃতিক অস্বস্তি ও স্বস্তির টানাপোড়েন। তবে সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে প্রশাসন। বজ্রপাতের সময় খোলা জায়গা বা গাছের নিচে দাঁড়ানো এড়িয়ে চলার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।