Bollywood Film Industry: ফ্লপ বলিউড, শেষের পথে খানদের সাম্রাজ্য? বাঁচাতে শাহরুখ আমিরের টিপস

ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ছে একের পর এক বলিউড ছবি (Bollywood Film Industry)। এই মুহূর্তে বলিউডকে বাঁচাতে গেলে কী করতে হবে ? সমাধানের একই সুর শোনা গেলে শাহরুখ খান (Shah Rukh Khan) থেকে শুরু করে আমির খানের (Aamir Khan) গলায়। কী পরামর্শ দিলেন তাঁরা? হঠাৎ কেন বললেন, টিকিটের দাম কমাতে হবে? বক্স অফিসে ফ্লপ বলিউডকে বাঁচানোর মন্ত্র দিলেন বলিউডের তারকারা।

বক্স অফিসে বলিউড ছবির হাল (Bollywood Film Industry)

বর্তমানে একটু খেয়াল করলে বুঝতে পারবেন, বক্স অফিসে বলিউড ছবির হাল খুব একটা ভালো নয় (Bollywood Film Industry)। যে বাজেট নিয়ে ছবি তৈরি হচ্ছে, কিংবা যে লাভের দিকে টার্গেট করে ছবি বানানো হচ্ছে, সেই টার্গেট পূরণ করতে পারছে না। তার সবথেকে বড় উদাহরণ সিকন্দর ছবি। ছবিটি মুক্তি পাওয়ার আগে পর্যন্ত দর্শকমহলে কিংবা অনুরাগীদের কাছে কম উচ্ছ্বাস আকাঙ্ক্ষা ছিল না। কিন্তু মুক্তি পাওয়ার পরেও লাভ করতে পারেনি।

একের পর এক ফ্লপ ছবি (Bollywood Film Industry)

একটা সময় একের পর এক ফ্লপ ছবির মুখে পড়তে হয়েছিল শাহরুখকে (Bollywood Film Industry)। একই পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে আমির খানকে। বিগত বেশ কয়েক বছর ধরেই দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির কাছে রীতিমত মার খাচ্ছে বলিউড। বলা যেতে পারে, বলিউডের খান সাম্রাজ্যের বাজার এখন বেশ খারাপ। শাহরুখ আবার নতুন করে কামব্যাক করেছেন ঠিকই, কিন্তু বাকি খানেরা এখনও পর্যন্ত সেভাবে ফিরতে পারেননি। স্বাভাবিক ভাবেই এই জায়গায় উঠছে বড় প্রশ্ন। বলিউড কি তবে এভাবেই ধীরে ধীরে শেষের পথে?

বলিউড বাঁচাতে শাহরুখের দাবি

সম্প্রতি মুম্বাইয়ের ওয়েভস সামিটে সামিল হয়েছিলেন শাহরুখ খান থেকে শুরু করে আমির খান। সেখানেই তাঁরা কিছু সমস্যার সমাধানের কথা বললেন। এই যে বলিউড ধীরে ধীরে বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ছে, এ প্রসঙ্গে শাহরুখ বলেন, “আমার একটাই দাবি, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছোট শহরগুলোতে প্রেক্ষাগৃহ আরও বাড়ানো হোক। মানুষের কাছে সহজলভ্য হোক। সিনেমা হলের দিকে যেন নজর যায়। টিকিটের দাম আরও সস্তা করতে হবে। যাতে সব ধরনের মানুষ সিনেমা হলে গিয়ে সিনেমা দেখতে পান। সেটা যে কোনও ভাষায় হতে পারে। হলের সংখ্যা বাড়ালে ভারতের একটা বৃহত্তর সংখ্যক দর্শকের কাছে সিনেমা গুলো সহজেই পৌঁছাবে।”

আরও পড়ুন: Sohail-Tiyasha: ছুটি পেতেই একসাথে সোহেল-তিয়াশা, বলিউডের কাকে দেখতে গেলেন?

তিনি আরও বলেন, “তাছাড়া বর্তমানে প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে সিনেমা দেখা খুব ব্যয়বহুল হয়ে পড়েছে। বেশিরভাগ ভালো সিনেমা হল গুলো রয়েছে দেশের বড় বড় শহরে। এক্ষেত্রে অনুসরণ করা যেতে পারে চীনের মডেল। সেই মডেল ফলো করে, আমাদের দেশের হলের সংখ্যা বাড়ানো যেতে পারে। এর ফলে দর্শকও বাড়বে। পাশাপাশি সুবিধা হবে, দেশের প্রতিটি কোনায় কম খরচে সিনেমা দেখাতে পারব আমরা।”

আরও পড়ুন: Rannaghor: রান্নাঘরে চাঁদের হাট, সাথে জিভে জল আনা রেসিপি! কারা থাকছেন?

কী বললেন আমির খান?

এ প্রসঙ্গে আমির খানের বক্তব্য, “সিনেমা হলের সংখ্যার দিক থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের থেকে ভারত বেশ কিছুটা পিছিয়ে। বহু জায়গা আছে যেখানে নাগরিকদের সংখ্যার অনুপাতে সিনেমা হলের সংখ্যা কম। ভারতে সিনে শিল্পের ভালো ভবিষ্যৎ রয়েছে। তবে সেই স্বপ্ন তখনই বাস্তবায়ন হবে,যখন দেশে সিনেমা হলের সংখ্যা বাড়বে। না হলে সব স্তরের দর্শকদের কাছে সিনেমাগুলি পৌঁছে দেওয়া যাবে না।”