ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: আজকাল অনেকেই ট্যাটু (Tattoo) করেন। ট্যাটু করে নজর কাড়া ব্যক্তিগত ইচ্ছের ব্যাপার। কিন্তু খুব সাবধানে ট্যাটু না করালে খুব সহজেই চামড়ার সংক্রমণ হতে পারে, এমনকি ট্যাটু করানোর সুচের মাধ্যমে এড্স, টিবির মতো সংক্রামক ব্যাধি অচিরেই বাসা বাঁধতে পারে শরীরে। দেখা দিতে পারে অ্যালার্জি, ত্বকের ক্যানসারও। নয়া প্রজন্মের এই আকর্ষণ ঘিরেই ভয় পাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। উদ্বেগের ব্যাপার হল, শরীর জুড়ে ট্যাটু করাচ্ছেন ছেলেমেয়েরা। নজর কাড়তে শরীরের এমন সব জায়গায় ট্যাটু করানো হচ্ছে, যার ফল মারাত্মক হতে পারে। আপনি কি জানেন শরীরের কোন ৫ অঙ্গে ট্যাটু করানো বিপজ্জনক? না জানলে জেনে নিন।
হাতের তালু (Tattoo)
হাতের তালুর ত্বক নরম ও স্পর্শকাতর। এই জায়গায় ট্যাটু করালে বার বার তেল, ময়েশ্চারাইজার লেগে ট্যাটু (Tattoo) যেমন ফ্যাকাশে হয়ে যাবে, তেমনই ত্বকের ভিতরে ট্যাটুর রাসায়নিক মেশানো কালি ঢুকে জটিল চর্মরোগের কারণও হয়ে উঠবে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, সস্তার রং ও জীবাণুমুক্ত না করা সুচ দিয়ে ট্যাটু করানোর ফলে হাতের চামড়া খসখসে হয়ে সোরিয়াসিস বা এগজিমার মতো রোগ হয়।
বাহুমূল (Tattoo)
বাহুমূলে ট্যাটু (Tattoo) করালে সেখানে ঘাম জমে ব্যাক্টেরিয়ার জন্ম হয়। বেশির ভাগ সস্তা পার্লারে অনেক সময়ই এক জনকে ট্যাটু করানোর পর সুচ ভাল করে জীবাণুমুক্ত করা হয় না। ফলে সেই সুচ দিয়ে ট্যাটু করলে এমনিতেও জীবাণু সংক্রমণ হতে পারে। তার উপর বাহুমূলে ট্যাটু করালে ত্বকের প্রদাহ বেশি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। শখ পূরণ করতে গিয়ে শরীরে বাসা বাঁধতে পারে মারণ রোগ।
আরও পড়ুন: Yolk Benefits: কীসের কুসুম খেলে উপকার বেশি? জেনে নিন কোন কুসুমে কী আছে
কনুই
কনুইয়ে ট্যাটু করানো বিপজ্জনক। ওই অংশের চামড়া স্পর্শকাতর। তা ছাড়া শরীরের বেশ কিছু স্নায়ু রয়েছে ওই জায়গায়। সেখানে সুচ ফোটালে রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকি বাড়বে। পাশাপাশি, ক্ষতি হবে স্নায়ু ও কনুইয়ের অস্থিসন্ধির। এর থেকে যন্ত্রণা বাড়বে, নানা রকম রোগের ঝুঁকিও বৃদ্ধি পাবে।
আরও পড়ুন: Fast Food Cravings: অফিসে হঠাৎ ফাস্টফুড খেতে ইচ্ছে করছে? ফাস্টফুড না খেয়েও মেটান খিদে, রইল ৫ বিকল্প
পায়ের পাতা
পায়ের পাতা থেকে সংক্রমণ দ্রুত ঘটতে পারে। নিম্নমানের সস্তা রঙের ট্যাটু করালে তা থেকে ট্যাটু গ্র্যানুলোমা, ট্যাটু টিউবারকুলোসিস, ট্যাটু সারকয়ডোসিস, ট্যাটু আলসার, কিংবা ডিপ ফাঙ্গাল ইনফেকশন হতে পারে। পায়ের পাতার স্নায়ু থেকে রোগ সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
ঘাড়ে
ঘাড়ে ট্যাটু করানোও ক্ষতিকর। সূর্যের অতিবেগনি রশ্মির কারণে ট্যাটু যেমন দ্রুত ফ্যাকাশে হবে, তেমনই চর্মরোগও হতে পারে। বিশেষ করে, ঘাড় থেকে পিঠ অবধি চামড়ায় মেলানিন রঞ্জকের তারতম্য হতে পারে। ফলে কনট্যাক্ট ডার্মাটাইটিস, সোরিয়াসিসের মতো চর্মরোগ দেখা দিতে পারে।