ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে নতুন করে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে (Operation Sindoor)। বৃহস্পতিবার রাতে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে জম্মু, রাজস্থান ও পাঞ্জাবের একাধিক এলাকায় ড্রোন ও মিসাইল হামলার ঘটনা ঘটেছে। ভারতের প্রতিরক্ষা বাহিনী সফলভাবে এই হামলাগুলো প্রতিহত করে পাল্টা জবাব দিয়েছে। ভারতের পাল্টা অভিযানে পাকিস্তানের একটি F-16 ও দুটি JF-17 যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এই ঘটনার ফলে দুই দেশের মধ্যে নিরাপত্তাজনিত পরিস্থিতি গভীরভাবে উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে।
হামলার বিবরণ (Operation Sindoor)
ডিফেন্স মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়, পাকিস্তানের পক্ষ থেকে জম্মু, পাঠানকোট এবং উদমপুরে বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় ড্রোন ও মিসাইল দিয়ে হামলার চেষ্টা করা হয়(Operation Sindoor)। তবে ভারত তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এই হুমকিগুলোকে প্রতিহত করে। ভারতীয় বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় ব্যবহৃত S-400, আকাশ, MRSAM এবং Zu-23 এর মাধ্যমে আটটি মিসাইল সফলভাবে ধ্বংস করা হয়।
জম্মু সিভিল এয়ারপোর্টে একটি ড্রোন আঘাত হানে, তবে কোনো প্রাণহানি বা উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। জম্মু বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছাকাছি দুটি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়। রাজস্থানের জয়সলমের এবং পাঞ্জাবের পাঠানকোটেও ড্রোন হানার খবর মিলেছে। চণ্ডীগড়েও হামলার আশঙ্কায় সাইরেন বাজানো হয় এবং সতর্কতা জারি করা হয়।
ভারতের প্রতিক্রিয়া(Operation Sindoor)
ভারত দ্রুত প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে এবং পাল্টা হামলা চালায়(Operation Sindoor)। ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং বিমান বাহিনী একযোগে ড্রোন ও মিসাইল দ্বারা পাকিস্তানের অভ্যন্তরে একাধিক টার্গেটে হামলা চালায়। সূত্র জানায়, ভারতের পাল্টা হামলায় পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরসহ বেশ কয়েকটি স্থাপনায় বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, হামলার সময় পাকিস্তানের F-16 এবং JF-17 যুদ্ধবিমান ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করলে সেগুলো গুলি করে নামানো হয়।

নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও ব্ল্যাকআউট(Operation Sindoor)
ঘটনার পর জম্মু, পাঞ্জাব ও রাজস্থানের বিভিন্ন এলাকায় পূর্ণাঙ্গ ব্ল্যাকআউট জারি করা হয়, যাতে শত্রু ড্রোন বা মিসাইল নিশানা নির্ধারণ করতে না পারে(Operation Sindoor)। একই সঙ্গে শহরগুলোতে সাইরেন বাজিয়ে সতর্কতা জারি করা হয়। রাতের আকাশে লাল আলো এবং বিস্ফোরণের শব্দে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক প্রতিক্রিয়া(Operation Sindoor)
প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ এবং তিন বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেন(Operation Sindoor)। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) সঙ্গে বৈঠক করে পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) সীমান্তরক্ষী বাহিনী, সিআরপিএফ ও সিআইএসএফ-এর মহাপরিচালকদের সঙ্গে আলাদা বৈঠক করেন।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (Dr. S. Jaishankar) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্ক রুবিওর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন এবং জানান যে, ভারত এই উত্তেজনার সূত্রপাত করেনি, বরং পাকিস্তানের আগ্রাসনের জবাবে সুনির্দিষ্ট ও পরিমিত পদক্ষেপ নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ভারত যুদ্ধ চায় না, তবে দেশের ভুখণ্ডে যেকোনও আগ্রাসনের জবাব কঠোর ও চূড়ান্ত হবে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গেও জয়শঙ্কর সাক্ষাৎ করেন এবং পাকিস্তানের মাটিতে সন্ত্রাসবাদের উত্থান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

আরও পড়ুন : Delhi Airport: বন্ধ ২৪ বিমানবন্দর, তালিকায় নেই দিল্লি
পাঞ্জাব, চণ্ডীগড়সহ একাধিক জায়গায় স্কুল-কলেজ বন্ধ(Operation Sindoor)
উত্তেজনার ফলে পাঞ্জাব, চণ্ডীগড়সহ একাধিক জায়গায় স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে(Operation Sindoor)। আগামী তিনদিন পাঞ্জাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে এবং চণ্ডীগড়ে আগামী দুইদিন ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া, অমৃতসর এবং অজনালা অঞ্চলে আদালতের কার্যক্রম সীমিত করা হয়েছে ৯ মে থেকে ১৪ মে পর্যন্ত।এছাড়া, ধর্মশালায় অনুষ্ঠিতব্য আইপিএল ম্যাচ– পাঞ্জাব কিংস বনাম দিল্লি ক্যাপিটালস খেলা মাঝপথে বন্ধ হয়ে যায়। ১০.১ ওভার পর ম্যাচ বন্ধ করে খেলোয়াড়দের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়।

পাকিস্তানের ভূমিকাকে তুলনা হামাসের সঙ্গে(Operation Sindoor)
ভারতীয় প্রতিরক্ষা সূত্র দাবি করেছে, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী সম্প্রতি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হামাসের মতো আচরণ করছে(Operation Sindoor)। তাদের দাবি, এপ্রিল মাসে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে আইএসআই ও হামাসের মধ্যে এক গোপন বৈঠকও হয়েছে, যেখানে ভারতবিরোধী পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়।ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের এই সাম্প্রতিক সংঘাত দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলেছে। যদিও ভারত দাবি করছে যে তারা কেবল প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে, তবে পরিস্থিতির অবনতি হলে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। আন্তর্জাতিক মহলও এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং উভয়পক্ষকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে।