ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: পাকিস্তানের মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদ এবং বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে ভারতের অবস্থান আরও একবার কঠোর ভাবে তুলে ধরল কেন্দ্র (Randhir Jaiswal)। মঙ্গলবার নিয়মিত সাংবাদিক সম্মেলনে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল একাধিক স্পষ্ট বার্তা দেন দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের উদ্দেশে। কাশ্মীর থেকে সিন্ধু জলবণ্টন, জঙ্গিদমন অভিযান থেকে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ — সমস্ত কিছু নিয়েই ভারতের নীতিগত অবস্থান স্পষ্ট করেন তিনি।
কী বললেন রণধীর জয়সওয়াল? (Randhir Jaiswal)
জয়সওয়াল বলেন, “পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদকে এমন একটি পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে, যাকে এখন কার্যত শিল্প বলা যায় (Randhir Jaiswal)। বছরের পর বছর ধরে আন্তর্জাতিক স্তরে সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষকতা চালিয়ে যাচ্ছে ইসলামাবাদ। ভারত এ বিষয়ে কোনও ধরনের মধ্যস্থতা গ্রহণ করবে না — আমেরিকাকেও আমরা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছি।”
তিনি জানান, কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ, আর সেই বিষয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা হবে শুধু পাক-অধিকৃত কাশ্মীর (PoK) নিয়েই। পাশাপাশি, তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “যদি হামলা হয়, ভারত চুপ করে বসে থাকবে না। পাকিস্তান যদি ঘোড়া চালায়, আমরা ট্যাঙ্ক চালাব। এটাই ভারতের নিউ নর্ম্যাল। পাকিস্তানের এখন এটা বোঝা দরকার।”
সংঘর্ষবিরতি ও ড্রোন হামলা (Randhir Jaiswal)
সম্প্রতি সীমান্তে সংঘর্ষবিরতি ও ড্রোন হামলা সংক্রান্ত উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, সংঘর্ষবিরতি ও বাণিজ্য একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত নয়। ভারতের প্রতিরক্ষা নীতিতে এখন জঙ্গিহানার বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স বজায় রাখা হচ্ছে।
বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, “আওয়ামী লিগকে নিষিদ্ধ করার প্রক্রিয়ায় আইনি ও সংবিধানিক রীতিনীতি মানা হয়নি। একটি গণতান্ত্রিক দেশের ক্ষেত্রে এটি গভীর উদ্বেগের বিষয়। বাংলাদেশের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড দিন দিন কমছে, যা অত্যন্ত চিন্তার।”

আরও পড়ুন: Balochistan Liberation Army : পাকিস্তানকে “সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র” ঘোষণার দাবি বালোচ বিদ্রোহীদের!
রাজনৈতিক পরিস্থিতি (Randhir Jaiswal)
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশে দ্রুত অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং স্বচ্ছ নির্বাচনের প্রয়োজন রয়েছে, যাতে দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামো বজায় থাকে। ভারতের তরফে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির উপর নজরদারি চালানো হচ্ছে বলেও জানান জয়সওয়াল।এই মন্তব্যগুলোর মাধ্যমে ভারত স্পষ্ট করেছে যে, প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং সন্ত্রাসবাদ বিরোধী লড়াইয়ে তারা আর নরম মনোভাব দেখাবে না। বিদেশ মন্ত্রকের কণ্ঠে যে সুর প্রতিফলিত হয়েছে, তা মূলত বর্তমান সরকারের আক্রমণাত্মক কূটনীতির প্রতিচ্ছবি।সাম্প্রতিক সময়ে কাশ্মীর, পিওকে, বালোচিস্তান এবং বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে যেভাবে আন্তর্জাতিক মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে, তাতে ভারতের এই অবস্থান শুধু প্রতিবেশী রাজনীতিতেই নয়, বিশ্ব রাজনীতির মঞ্চেও তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠছে।