ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: দু’দিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর গত ৩ জানুয়ারি ছত্তিসগড়ের বস্তারে এক ঠিকাদারের বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার হয়েছিল সাংবাদিক মুকেশের দেহ(Chhattisgarh Journalist Murder Case)। এবারে সেই নিহত সাংবাদিক মুকেশ চন্দ্রকরের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করল রাজ্যের সরকার।
কোথা থেকে পাওয়া যায় মুকেশের দেহ? (Chhattisgarh Journalist Murder Case)
দু’দিন নিখোঁজ ছিলেন মুকেশ। গত ৩ জানুয়ারি ছত্তিসগড়ের বস্তারে এক ঠিকাদারের বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার হয়েছিল সাংবাদিক মুকেশের দেহ(Chhattisgarh Journalist Murder Case)। মুকেশের বয়স ছিল ৩৩ বছর। যে ঠিকাদারের বাড়ি থেকে মুকেশের দেহ উদ্ধার হয়েছিল, সেই সুরেশ চন্দ্রকরকে গত ৫ জানুয়ারি হায়দ্রাবাদ থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতার হন আরও তিন জন। তাঁদের মধ্যে একজন তাঁর খুড়তুতো ভাই রীতেশ চন্দ্রকর। এবং বাকি দুজন হলেন দীনেশ এবং ঠিকাদারের এক কর্মী মহেন্দ্র রামটেক।
আরও পড়ুন:Nag Mk2 তৃতীয় প্রজন্মের অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল ‘নাগ এমকে ২’ , সফল ফিল্ড ট্রায়াল
কে কে জরিত এই খুনে? (Chhattisgarh Journalist Murder Case)
তবে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মুকেশকে খুনের ঘটনায় ‘মূল অভিযুক্ত’ ঠিকেদার সুরেশই(Chhattisgarh Journalist Murder Case)। ঘটনার পর থেকেই গোপনে ওই ঠিকাদার। প্রায় ২০০টি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে এবং ৩০০টি মোবাইল নম্বর ট্র্যাক করে তাঁর খোঁজ পায় পুলিশ। গত ১ জানুয়ারি রাতে ঠিকাদার সুরেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে মুকেশের একটি বৈঠকের আয়োজন করেন মুকেশের ভাই রীতেশ। বৈঠকের পর থেকেই ফোন বন্ধ হয়ে যায় মুকেশের। আর বাড়িও ফেরেননি ওই সাংবাদিক।
মুকেশের ইউটিউব চ্যানেল ‘বস্তার জংশন’
সংবাদমাধ্যমে কাজ করার জন্য বস্তার এলাকায় বেশ পরিচিত ছিলেন মুকেশ(Chhattisgarh Journalist Murder Case)। নিজের ইউটিউব চ্যানেল ‘বস্তার জংশন’-এর মাধ্যমে জেলার নানা রকম খবর তুলে ধরতেন তিনি। জনপ্রিয় ওই চ্যানেলের গ্রাহকের সংখ্যা ছিল দেড় লক্ষেরও বেশি। মুকেশের দাদা যুকেশও পেশায় সাংবাদিক।
কেন খুন হতে হয় মুকেশকে?
যুকেশ অভিযোগ করেন, কিছুদিন আগে ঠিকাদার সুরেশের ১২০ কোটি টাকার দুর্নীতি প্রকাশ্যে এনেছিলেন তাঁর ভাই। এ জন্যই খুন হতে হয়েছে তাঁকে। এদিকে সুরেশের দুর্নীতি সামনে আনার পরেই ভাই রীতেশের সাথে তাঁর সম্পর্ক খারাপ হতে থাকে বলে জানা যায়। মুকেশের পরিবারের দাবি, দুর্নীতি নিয়ে মুখ খোলার পর থেকে তাঁকে নিয়মিত হুমকির মুখে পড়তে হত। কিন্তু সে সবকে উপেক্ষা করেই এত দিন সত্যকে প্রকাশ্যে আনার কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন মুকেশ।
কী বললেন ছত্তিসগড় মুখ্যমন্ত্রী?
মঙ্গলবার ছত্তিসগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই জানিয়েছেন, নিহত সাংবাদিকের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। এ ছাড়া, সাংবাদিকদের জন্য সরকারি উদ্যোগে একটি ভবনও নির্মাণ করা হবে। মুকেশের স্মৃতিতে সেই ভবনের নামকরণ করা হবে তাঁরই নামে।