ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদন অনুসারে, সাম্প্রতিক ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষে ভারতীয় বিমান বাহিনী কমপক্ষে ছয়টি পাকিস্তানি বিমান ঘাঁটির ক্ষতি করেছে (Indo-Pak Issue)। পাকিস্তান শুরু থেকেই তাদের ক্ষতি গোপন করে আসছিল, কিন্তু স্যাটেলাইট চিত্রগুলি তা প্রকাশ করে দিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে এটি দক্ষিণ এশিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিমান হামলা।
ভারতের পাল্টা আক্রমণে পাকিস্তানের বিমানঘাঁটিতে ধ্বংসযজ্ঞ (Indo-Pak Issue)
মে মাসের ৮ থেকে ১০ তারিখ পর্যন্ত, ভারতীয় বিমান বাহিনী পাকিস্তানের ১১টি সামরিক বিমানঘাঁটিতে পরিকল্পিত ও নিখুঁত হামলা চালায় (Indo-Pak Issue)। এই হামলায় পাকিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ বিমানঘাঁটি, যেমন নূর খান এয়ার বেস, মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা গেছে, এই ঘাঁটিগুলির রানওয়ে, হ্যাঙ্গার এবং অন্যান্য কাঠামো ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে।
স্যাটেলাইট চিত্রে পাকিস্তানের ক্ষতির প্রমাণ (Indo-Pak Issue)
হামলার আগে ও পরে তোলা স্যাটেলাইট চিত্র বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, পাকিস্তানের বিমানঘাঁটিগুলিতে তিনটি হ্যাঙ্গার, দুটি রানওয়ে এবং দুটি মোবাইল বিল্ডিং ধ্বংস হয়েছে (Indo-Pak Issue)। এই ক্ষয়ক্ষতি পাকিস্তানের দাবি অনুযায়ী নয়, বরং বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দক্ষিণ এশিয়ার এই দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের সংঘর্ষে এটি সবচেয়ে বড় আক্রমণ।

পাকিস্তানের মিথ্যা প্রচার ভেঙে পড়েছে
যদিও পাকিস্তান সরকার যুদ্ধবিরতির পর নিজেদের বিজয় দাবি করে, স্যাটেলাইট চিত্র এবং আন্তর্জাতিক মিডিয়ার রিপোর্টে তাদের এই দাবি মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। ভারতীয় এবং মার্কিন মিডিয়া পাকিস্তানের এই মিথ্যা প্রচার উন্মোচন করেছে।
আরও পড়ুন: Bhargavastra: পাকিস্তান নাস্তানাবুদ করবে ‘ভার্গবাস্ত্র’! কাউন্টার ড্রোন সিস্টেমের সফল পরীক্ষা ভারতের
অপারেশন সিঁদুর: ভারতের কৌশলগত প্রতিক্রিয়া
এই সংঘর্ষের সূচনা হয়েছিল ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ এর মাধ্যমে, যা পহেলগাম হামলার প্রতিক্রিয়ায় চালানো হয়। এই অভিযানে ভারত ৯টি সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটি ধ্বংস করে এবং প্রায় ১০০ জন সন্ত্রাসবাদীকে হত্যা করে। এই অভিযানের মাধ্যমে ভারত পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা প্রদান করে।
আরও পড়ুন: Operation Sindoor: মহিলা সেনা অফিসারদের বিরুদ্ধে আপত্তিকর পোস্ট ! বিপাকে হরিয়ানার অধ্যাপক
পাক দুর্বলতা
ভারতের এই কৌশলগত ও প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত হামলা পাকিস্তানের সামরিক কাঠামোর দুর্বলতা প্রকাশ করেছে। স্যাটেলাইট চিত্র এবং আন্তর্জাতিক মিডিয়ার রিপোর্টে পাকিস্তানের মিথ্যা প্রচার ভেঙে পড়েছে। এই ঘটনা দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতে ভারতের শক্তিশালী অবস্থানকে পুনরায় প্রতিষ্ঠিত করেছে।