ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বুধবার সকালে পাকিস্তানের বালোচিস্তানে স্কুলবাসে বোমা বিস্ফোরণ! খুজদার জেলার একটি স্কুলবাসে শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণ (School Bus Bombing) ঘটেছে, মৃত্যু হয়েছে পাঁচ জনের। নিহতদের মধ্যে রয়েছে তিন শিশু। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ‘ডন’ এই তথ্য অনুযায়ী পাকিস্তান সেনাবাহিনীর উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, এই ঘটনায় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।
আত্মঘাতী হামলা বলে সন্দেহ, তদন্ত শুরু (School Bus Bombing)
প্রাথমিক তদন্ত অনুযায়ী, বোমা বিস্ফোরণটি আত্মঘাতী হামলা বলে ধারণা। এই হামলার লক্ষ্য ছিল একটি স্কুলবাস, যেটি খুজদারের জিরো পয়েন্ট এলাকার কাছে দাঁড়িয়ে ছিল। বিস্ফোরণের পর, আহতদের চিকিৎসার জন্য দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়। গুরুতর আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য কোয়েটা এবং করাচি পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন: Pakistan Army Vs TTP and BLA : ভারত-পাক সংঘর্ষ বিরতির পর বিদ্রোহী দমনে পাক সেনা!নিহত ১২
পাকিস্তান পুলিশের ডেপুটি কমিশনার ইয়াসির ইকবাল দাস্তি সংবাদমাধ্যম ‘ডন’-কে জানিয়েছেন, ‘‘এটি এক আত্মঘাতী বিস্ফোরণ বলে মনে হচ্ছে, তবে তদন্ত চলছে।’’
নিরীহ শিশুদের হত্যা, শত্রুদের ষড়যন্ত্র: পাক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (School Bus Bombing)
পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নকভি ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘যারা নিরীহ শিশুদের হত্যা করে, তারা ক্ষমার অযোগ্য। স্কুলবাসে থাকা শিশুদের উপর আক্রমণ করে অপরাধীরা বর্বরতার প্রমাণ দিয়েছে। এটি পাকিস্তানে অস্থিতিশীলতা তৈরির জন্য শত্রুদের একটি জঘন্য ষড়যন্ত্র।’’ তিনি নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতার প্রার্থনা করেন।
বালোচিস্তানে চলমান অশান্তি, বিএলএ-র হামলার শঙ্কা (School Bus Bombing)
উল্লেখযোগ্য যে, গত কয়েক মাসে পাকিস্তানের পুলিশ এবং সেনাবাহিনী বিদ্রোহী গোষ্ঠী বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ)-র আক্রমণের শিকার। সম্প্রতি কাচ্চি বোলান ট্রেন ছিনতাই, কোয়েটা-তে আইইডি বিস্ফোরণ এবং নোশকি-তে সেনা কনভয়ে হামলা চালানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: Iran’s Supreme Leader: ‘আমেরিকার দাবি আপত্তিকর!’ পরমাণু ইস্যুতে ট্রাম্পকে পাল্টা বার্তা খামেনেই-র
রবিবার, বালোচিস্তানের কিল্লা আবদুল্লা জেলার জব্বর মার্কেট-এ একটি বিস্ফোরণ ঘটলে, চারজন নিহত এবং বেশ কয়েকটি দোকান পুড়ে যায়। বিস্ফোরণটির কাছাকাছি ছিল পাক সেনার ফ্রন্টিয়ার কোর-এর ঘাঁটি। বিস্ফোরণের পর, পাক সেনা ও অজ্ঞাতপরিচয় হামলাকারীদের মধ্যে গুলির লড়াইও চলেছিল।