ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া জ্যোতি মালহোত্রার একাধিক ভিডিও ওয়েগো (Jyoti Travel Sponsor) সংস্থা দ্বারা স্পনসর করা হয়েছে, যার পাকিস্তানে কাজ করার লাইসেন্সও রয়েছে।
একটি দুবাই ভিত্তিক ট্র্যাভেল কোম্পানির সঙ্গে সংযোগ ঘিরে প্রশ্ন (Jyoti Travel Sponsor)
ভ্রমণবিষয়ক ইউটিউব ভিডিও বানানোর জন্য বিভিন্ন স্পনসর পেতেন ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রা (Jyoti Travel Sponsor)। কিন্তু তাঁর পাওয়া একটি বিশেষ স্পনসর নিয়ে এখন বিশেষভাবে আগ্রহ দেখাচ্ছে তদন্তকারী সংস্থাগুলি। পুলিশ সূত্রে খবর, সংযুক্ত আরব আমিরশাহির একটি ভ্রমণ সংস্থা ‘Wego’ একাধিক ভিডিও স্পনসর করেছিল, যে সংস্থার পাকিস্তানে কাজ করার বৈধ লাইসেন্সও আছে।
জ্যোতি মালহোত্রা বর্তমানে হরিয়ানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন। তিনি ‘Travel with Jo’ নামের ইউটিউব চ্যানেল চালান, যেখানে তাঁর প্রায় ৪ লক্ষ সাবস্ক্রাইবার রয়েছে। ইনস্টাগ্রামে তাঁর অনুসারীর সংখ্যা ১,৩২,০০০।
Wego-এর পাকিস্তান কানেকশন (Jyoti Travel Sponsor)
Wego-এর সদর দফতর সিঙ্গাপুর ও দুবাইয়ে। সংস্থাটি পাকিস্তানে একটি বৈধ ট্র্যাভেল এজেন্সি লাইসেন্স নিয়ে কাজ করে এবং আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহন সংস্থা (IATA) দ্বারা স্বীকৃত। যদিও এখনও পর্যন্ত এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি যে Wego সরাসরি পাকিস্তানকে কোনওভাবে আর্থিক সহায়তা করেছে, তবে সংস্থাটির পাকিস্তানে কাজ করার বিষয়টি এই তদন্তে সন্দেহের কারণ হয়ে উঠেছে।
‘সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর সঙ্গে সরাসরি যোগ নেই’
এদিকে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ‘অপারেশন সিঁদুর’ চলাকালীন জ্যোতি মালহোত্রা পাকিস্তানি গোয়েন্দা এজেন্টদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। উল্লেখ্য, কাশ্মীরের পাহেলগামে একটি সন্ত্রাসবাদী হামলায় ২৬ জন নিরীহ নাগরিক নিহত হওয়ার পরেই ভারত এই পাল্টা অভিযান চালায়।
আরও পড়ুন: Youtuber Jyoti Malhotra : জ্যোতি তদন্তে নতুন মোড়, কুটনীতির আড়ালে গুপ্তচর বৃত্তি করতেন দানিশই!
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর সঙ্গে যুক্ত এক প্রাক্তন হাই কমিশন আধিকারিক দানিশের মাধ্যমে জ্যোতির সঙ্গে পাকিস্তানি গোয়েন্দাদের যোগাযোগ তৈরি হয়। ভারত সরকার এই মাসেই দানিশকে দেশ থেকে বহিষ্কার করেছে।
সফট টার্গেট
যদিও জ্যোতি তাঁর দোষ স্বীকার করেছেন, তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, তাঁর কোনও সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ পাওয়া যায়নি। তদন্তকারীদের ধারণা, জ্যোতি ছিলেন ‘সফট টার্গেট’। সহজে টাকা এবং বিলাসবহুল জীবনের লোভেই তিনি এই ফাঁদে পা দিয়েছিলেন। তিনি ভাবতেন, পাকিস্তান সফরের ভিডিও করলে ইউটিউবে বেশি ভিউ আসবে এবং জনপ্রিয়তা বাড়বে। এই গোটা ঘটনার গভীরে তদন্ত চলছে। সমস্ত স্পনসর, আর্থিক লেনদেন এবং বিদেশ সংযোগ খতিয়ে দেখছে গোয়েন্দা সংস্থা।