ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: রাজা রঘুবংশী হত্যাকাণ্ডে এবার জমি-বাড়ির এক ব্যবসায়ীকে ইন্দোর থেকে গ্রেফতার করল পুলিশ(Meghalaya Case)। ধৃতের নাম সিলম জেমস। শনিবার রাতে শহরের মহালক্ষ্মীনগর থেকে এই ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয় বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তাঁর বিরুদ্ধে রাজ এবং সোনমদের তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ উঠেছে।
প্রপার্টি ডিলার গ্রেফতার (Meghalaya Case)
স্বামী রাজার খুনের পর মেঘালয় থেকে পালিয়ে এসে সিলমের থেকে ভাড়া নেওয়া একটি বাড়িতেই গা ঢাকা দিয়ে থাকছিল সোনম(Meghalaya Case)। সেখানে এসে কিছুদিন থাকতে হবে বুঝতে পেরে প্রায় ৫ হাজার টাকার গ্রসারি (মুদিখানার জিনিস) অনলাইনে অর্ডারও করেছিলেন সোনম।পুলিশ জানায়, সিলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সে একটি কালো ব্যাগ নষ্ট করে ফেলেছিল, যেখানে ছিল প্রায় ৫ লাখ টাকা নগদ, সোনার গয়না, একটি দেশি পিস্তল এবং সোনমের কিছু জামাকাপড়। পুলিশ সূত্রে খবর, শুধু সিলমই নন, এই ঘটনায় আরও এক অভিযুক্তকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি পেশায় একজন নিরাপত্তারক্ষী। ঘটনাচক্রে, খুনের পর ইন্দোরে যে ফ্ল্যাটে উঠেছিলেন সোনম, সেই আবাসনের নিরাপত্তারক্ষী হিসাবে কাজ করেন ধৃত।ফ্ল্যাট থেকে সমস্ত তথ্যপ্রমাণ লোপাটে ব্যবসায়ী সিলমের সহযোগী হিসাবে কাজ করেছিলেন ওই নিরাপত্তারক্ষী।

ইন্দোরে অভিযান পুলিশের (Meghalaya Case)
ইন্দোরের অতিরিক্ত ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (এডিসিপি) রাজেশ দন্দোটিয়া বলেন, ‘শনিবার রাতে মহালক্ষ্মীনগর থেকে সিলম জেমসকে গ্রেফতার করেছে শিলং পুলিশ। তাঁর এক সহযোগীকেও ধরা হয়েছে(Meghalaya Case)। দু’জনকেই রাজা হত্যাকাণ্ডের অভিযুক্ত হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাঁদের ট্রানজ়িট রিমান্ডে শিলঙে নিয়ে যাওয়া হবে।’গত পাঁচ দিন ধরে ইনদওরে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। ইনদওরের ফ্ল্যাটেও তল্লাশি চালায় তারা। তখনই তারা এই ব্যবসায়ী এবং তাঁর সহযোগীর হদিস পায়। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ওই আবাসনে সোনমের কালো ব্যাগের খোঁজে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেই ব্যাগ পাননি তাঁরা। সেই তদন্তের মধ্যেই সিলমের খোঁজ পান তাঁরা।
আরও পড়ুন-PM Modi: ইরানকে সংঘাত প্রশমের বার্তা প্রধানমন্ত্রী মোদীর; আমেরিকায় হাই অ্যালার্ট
প্রপার্টি ডিলারের দাবি (Meghalaya Case)
ঘটনাচক্রে, গত ১৩ জুন এই ব্যবসায়ীই সংবাদংমাধ্যমে দাবি করেছিলেন, এই ঘটনার এক অভিযুক্ত বিশালকে তিনি চিনতে পেরেছেন(Meghalaya Case)। কিন্তু এই ব্যবসায়ীও যে তথ্যপ্রমাণ লোপাটে জড়িত ছিলেন, তখনও সেটা প্রকাশ্যে আসেনি। তদন্তে নেমে ইন্দোরের আবাসনের সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করেন তদন্তকারীরা। সেখানেই সিলমকে দেখা যায় একটি ব্যাগ আবাসনের ওই ফ্ল্যাট থেকে বার করে নিয়ে যাচ্ছেন। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, খুনে অভিযুক্ত বিশালকে ১৭ হাজার টাকায় ফ্ল্যাটটি ভাড়া দিয়েছিলেন সিলম। সেই ফ্ল্যাটেই উঠেছিলেন সোনম।এদিকে, শনিবার মেঘালয়ের শিলংয়ে জেলা ও দায়রা আদালত সোনম রঘুবংশী ও অপর অভিযুক্ত রাজ কুশওয়াহাকে ১৩ দিনের বিচারিক হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে।পুলিশ সেদিন রিমান্ডের আবেদন না জানালেও তদন্তকারী কর্মকর্তা বিচারিক হেফাজতের জন্য আবেদন করেন, যা আদালত মঞ্জুর করেছে।

আরও পড়ুন-Air India: এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে বোমাতঙ্ক! রিয়াধে জরুরি অবতরণ
ঘটনার বিবরণ (Meghalaya Case)
গত ২০ মে মধুচন্দ্রিমায় মেঘালয়ে ঘুরতে যান নবদম্পতি রাজা রঘুবংশী ও সোনম রঘুবংশী(Meghalaya Case)। ২৩ মে চেরাপুঞ্জিতে পৌঁছনোর পর নিখোঁজ হয়ে যান তাঁরা। এই ঘটনার ১১ দিন পর খাদ থেকে উদ্ধার হয় রাজার দেহ। তবে খোঁজ মেলেনি সোনমের। এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে খোঁজাখুঁজির পর, সোনমকে মেঘালয় থেকে ১,২০০ কিলোমিটার দূরে উত্তরপ্রদেশের গাজিপুরের একটি ‘ধাবা’ থেকে পাওয়া যায়। সেখান থেকে বাড়িতে ফোন করেন সোনম। সেই ফোনের সূত্র ধরে তাঁকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। তদন্তে জানা গেছে, সোনমের প্রেমিক রাজ কুশওয়াহা এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল। এছাড়া এই হত্যায় সাহায্য করার জন্য আকাশ রাজপুত, বিশাল সিং চৌহান এবং আনন্দ কুর্মি নামে আরও ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
