ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: আজ, বৃহস্পতিবার (২৬ জুন), আন্তর্জাতিক (Shubhanshu Shuklas Message) মহাকাশ স্টেশনের পথে থাকা ভারতীয় বংশোদ্ভূত নভশ্চর শুভাংশু শুক্ল-সহ চার নভশ্চর মহাকাশে কাটালেন একটি পূর্ণ দিন। ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে স্পেসএক্সের ‘ফ্যালকন ৯’ রকেটে করে বুধবার দুপুর ১২টা ১ মিনিটে যাত্রা শুরু করেন তাঁরা। গন্তব্য় পৃথিবী থেকে প্রায় ৪১৩ কিলোমিটার ওপরে অবস্থিত আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (ISS)। অভিযানটির নাম ‘অ্যাক্সিয়ম-৪’, যা পরিচালনা করছে অ্যাক্সিয়ম স্পেস।
সঙ্গে কারা রয়েছেন? (Shubhanshu Shuklas Message)
এই অভিযানে রয়েছেন নাসার প্রাক্তন নভশ্চর (Shubhanshu Shuklas Message) পেগি হুইটসন, ইউরোপীয় নভশ্চর স্লায়োস উজ়নানস্কি-উইসনিউস্কি, হাঙ্গেরির টিবর কাপু এবং শুভাংশু শুক্ল। বর্তমানে তাঁদের যান ‘ড্রাগন’ প্রতি ঘণ্টায় ২৬,৫০০ কিমি বেগে পৃথিবীর কক্ষপথে ঘুরছে। আজ বিকেল সাড়ে ৪টের মধ্যেই তাঁদের আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছনোর কথা।
পৃথিবীর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ (Shubhanshu Shuklas Message)
এই সময়েই বৃহস্পতিবার সকালে মহাকাশ থেকে পৃথিবীর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ (Shubhanshu Shuklas Message) করেন চার নভশ্চর। অ্যাক্সিয়ম স্পেসের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল থেকে সম্প্রচারিত সেই কথোপকথনে দেখা যায়, শুভাংশু কেমন করে নতুন জীবনের সঙ্গে খাপ খাওয়াচ্ছেন। তাঁর কথায়, “যাত্রার শুরুটা ছিল চমকপ্রদ। যদিও মহাকাশে পৌঁছেই শরীরে একটা অস্বস্তি শুরু হয়। শুনলাম, গতকাল আমি ঘুরে ঘুরেই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম!”
নতুন শেখার অভিজ্ঞতা
তিনি আরও বলেন, “এখানে প্রতিটি মুহূর্ত যেন নতুন শেখার অভিজ্ঞতা। কীভাবে হাঁটতে হয়, কীভাবে খেতে হয়, সবকিছুই নতুন করে শিখতে হচ্ছে। একেবারে শিশুর মতো করে শেখা শুরু করেছি।” মাধ্যাকর্ষণহীন পরিবেশে শরীরের প্রতিক্রিয়া এবং দৈনন্দিন কাজকর্মে অভিযোজনই এখন তাঁদের মূল চ্যালেঞ্জ।

মিশনের মেয়াদ ১৪ দিন
‘অ্যাক্সিয়ম-৪’ মিশনের মেয়াদ ১৪ দিন। এই সময় চার নভশ্চর আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে থেকেই অন্তত ৬০টি বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবেন বলে জানানো হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে চিকিৎসা, উপগ্রহ প্রযুক্তি, জীববিদ্যা, ও জীবনধারাভিত্তিক বিভিন্ন গবেষণা।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: ব্যক্তিগত অর্থ দিয়েই সোনার ঝাড়ু দান, আজ ‘নেত্র উৎসবে’ যোগ দেবেন মুখ্যমন্ত্রী
ঐতিহাসিক যাত্রা নিয়ে উৎসাহ
ভারতীয় বংশোদ্ভূত শুভাংশুর এই ঐতিহাসিক যাত্রা নিয়ে উৎসাহ ছড়িয়েছে গোটা দেশেই। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে তাঁকে নতুন প্রজন্মের অনুপ্রেরণা হিসেবে তুলে ধরছেন। ‘স্বদেশি নভশ্চর’-এর স্বপ্ন যে খুব দূরের নয়, শুভাংশুর যাত্রা যেন তারই ইঙ্গিত দিয়ে গেল। মহাকাশের সেই সীমাহীন নীরবতা থেকে শুভাংশুর এই আন্তরিক বার্তাই বলে দেয় বিজ্ঞানের পথ ধরে আকাশ নয়, এবার লক্ষ লক্ষ কিলোমিটার দূরত্বও মানুষের পায়ের নিচে।