ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান শুল্ক-বাণিজ্য আলোচনায় সুবিধা পেতে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে খুশি করার কৌশল নিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার (US Bangladesh Trade)। এ জন্য অন্তত দুটি পণ্য—গম ও বিমান—সাধারণ বাজারদরের তুলনায় উচ্চ মূল্যে আমদানি করতে পারে ঢাকা। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের খাদ্যসচিব মাসুদুল হাসান-এর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের শীর্ষ সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো।
শুল্কছাড়ের রাজনৈতিক কৌশল (US Bangladesh Trade)
বর্তমানে বাংলাদেশ (Muhammad Yunus) থেকে আমেরিকায় রফতানি হওয়া পণ্যে ১৫ শতাংশ শুল্ক বসানো হয়(US Bangladesh Trade)। কিন্তু গত এপ্রিল থেকে ট্রাম্প প্রশাসন অতিরিক্ত ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করায় মোট শুল্ক দাঁড়িয়েছে ৫২ শতাংশে। যদিও এই বাড়তি শুল্ক ত্রৈমাসিকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যেই আমেরিকা বিভিন্ন দেশের সঙ্গে শুল্ক কমানো নিয়ে বাণিজ্য-দর কষাকষি চালাচ্ছে।
কী সিদ্ধান্ত হল বৈঠকে? (US Bangladesh Trade)
- তিন লক্ষ টন গম আমেরিকা থেকে সরকারি পর্যায়ে (G2G) আমদানি করার পরিকল্পনা হয়েছে।
- এই গম সাধারণত রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে কম দামে কেনা হয়, কিন্তু এবার প্রতি টনে ২০-২৫ ডলার বেশি খরচ করতেও রাজি বাংলাদেশ।
- বোয়িং সংস্থার কাছ থেকে নতুন বিমান কেনার কথাও ভাবা হচ্ছে।
- একই সঙ্গে তুলো আমদানির প্রক্রিয়া সহজ করার পরিকল্পনাও আলোচনায় এসেছে।
এই পরিকল্পনার মাধ্যমে বাংলাদেশ চায় ট্রাম্প প্রশাসনের নজর কাড়তে, যাতে শুল্ক ছাড় বা হ্রাসের সুবিধা আদায় করা যায়।
যুক্তি কী বাংলাদেশের? (US Bangladesh Trade)
- গুণমানে উন্নত আমেরিকার গম, যদিও দাম বেশি।
- রাজনৈতিকভাবে এই ‘বন্ধুত্বপূর্ণ’ আমদানি সুবিধাজনক বাণিজ্য চুক্তির পথ খুলে দিতে পারে।
- আমেরিকার দিক থেকে এটি দেখাবে, বাংলাদেশ ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতিই সংবেদনশীল।

পরবর্তী পদক্ষেপ (US Bangladesh Trade)
বাংলাদেশ ও আমেরিকার মধ্যে ২৯ জুন আনুষ্ঠানিক আলোচনার দিন ধার্য হয়েছে (US Bangladesh Trade)। সেখানেই চূড়ান্ত হবে শুল্ক ও আমদানির বিষয়গুলি। এই আলোচনার ফলাফলের উপর নির্ভর করছে বাংলাদেশের বাজারে আমেরিকার গম ও বোয়িং বিমানের উপস্থিতি।
ট্রাম্প প্রশাসনের বাণিজ্যনীতিকে ঠেকাতে না পেরে, অনেক দেশই “রাজনৈতিক আমদানি” কৌশল নিচ্ছে। বাংলাদেশ তার অনুকরণেই হাঁটছে। তবে এতে লাভ-ক্ষতির বিষয়টি বিতর্কের।যদিও খাদ্যমান উন্নত, তবুও সাধারণ ক্রেতার পকেট থেকে অতিরিক্ত টাকা খরচের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা ও সমালোচনা দুই-ই হতে পারে।এই কূটনৈতিক বাণিজ্য-চাল একদিকে যেমন ঝুঁকিপূর্ণ, অন্যদিকে সুচতুরভাবে ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে তা নতুন বাজার সুবিধার দোর খুলতে পারে(US Bangladesh Trade)।