ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: অহমেদাবাদের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার তদন্তে রাষ্ট্রপুঞ্জ সহযোগিতার প্রস্তাব দিলেও তা গ্রহণ করেনি ভারত(Plane Crash In Ahmedabad)। এই তথ্য সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের একটি বিশেষ প্রতিবেদনে প্রকাশ পেয়েছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, রাষ্ট্রপুঞ্জের (United Nations) আওতায় থাকা আন্তর্জাতিক অসামরিক বিমান পরিবহণ সংস্থা (ICAO) সরাসরি ভারতকে সাহায্য করার প্রস্তাব দেয়, কিন্তু তা নাকচ করে দেওয়া হয়।
ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার হলেও ধীর তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন (Plane Crash In Ahmedabad)
১২ জুন অহমদাবাদ বিমানবন্দর থেকে লন্ডনের গ্যাটউইকের উদ্দেশে যাত্রা করা এয়ার ইন্ডিয়ার এআই-১৭১ বিমানটি টেকঅফের ঠিক পরেই একটি বিল্ডিংয়ে ধাক্কা মেরে ভেঙে পড়ে(Plane Crash In Ahmedabad)। সঙ্গে সঙ্গেই আগুন ধরে যায়। মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ২৭৪ জনের। যাত্রীদের মধ্যে ভারত ছাড়াও ছিলেন ব্রিটেন, কানাডা এবং পর্তুগালের নাগরিক।
দুর্ঘটনার চার দিন পর দ্বিতীয় ব্ল্যাক বক্সটি উদ্ধার করা হলেও, তথ্য বিশ্লেষণ করতে প্রায় দুই সপ্তাহ লেগে যায়। সেই সময়কালে ICAO নিজে থেকেই ভারতকে সাহায্য করার প্রস্তাব দেয়। কিন্তু ভারতের অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক ও এয়ারক্র্যাফ্ট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (AAIB) সেই প্রস্তাব খারিজ করে দেয়।
কেন সাহায্য প্রত্যাখ্যান? (Plane Crash In Ahmedabad)
রয়টার্সের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ICAO-র এক তদন্তকারী ভারতেই অবস্থান করছিলেন এবং তাঁকে তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে সরেজমিনে খোঁজ নিতে বলা হয়েছিল(Plane Crash In Ahmedabad)। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ সে প্রস্তাব মানেনি। এ বিষয়ে সরকারি তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। তবে এই সিদ্ধান্তে প্রশ্ন উঠছে তদন্তের স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিয়ে।

আরও পড়ুন: Army Search Operation : বসন্তগড়ে জইশ জঙ্গির তল্লাশি অভিযান জারি! নিহত ১, নিখোঁজ ৩
ICAO-এর অতীত ভূমিকা (Plane Crash In Ahmedabad)
উল্লেখযোগ্য, এর আগে ২০১৪ সালের মালয়েশিয়ান বিমান নিখোঁজ কাণ্ড (MH370) বা ২০২০ সালের ইউক্রেন আন্তর্জাতিক বিমান দুর্ঘটনার সময় ICAO সক্রিয়ভাবে তদন্তে সাহায্য করেছে। তবে ওই সব ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দেশের পক্ষ থেকেই সাহায্যের আবেদন জানানো হয়েছিল। এইবার ব্যতিক্রম ঘটিয়ে ICAO নিজে থেকেই আগ্রহ দেখালেও ভারত তাতে সায় দেয়নি।
আরও পড়ুন: US India Trade Deal : চিনের পর এবার ভারতের পালা? বাণিজ্যচুক্তির ইঙ্গিত দিলেন ট্রাম্প!
কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা? (Plane Crash In Ahmedabad)
বিমান নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা মনে করছেন, তদন্তে আন্তর্জাতিক সংস্থার সাহায্য গ্রহণ না করার পেছনে কারণ হতে পারে স্বায়ত্তশাসন বজায় রাখা অথবা ‘অভ্যন্তরীণ তদন্তেই যথেষ্ট বিশ্বাস’— তবে এত বড় মাপের একটি আন্তর্জাতিক দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে সাহায্যের হাত প্রত্যাখ্যান তদন্তের বিশ্বাসযোগ্যতা ও গতি দুটোতেই প্রভাব ফেলতে পারে(Plane Crash In Ahmedabad)।
এখনও পর্যন্ত দুর্ঘটনার মূল কারণ নিয়ে সরকারি ভাবে কোনও রিপোর্ট প্রকাশ হয়নি। তবে ব্ল্যাক বক্সের তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে, বিমানটি টেকঅফের সময়ে যথাযথ উড্ডয়ন উচ্চতায় পৌঁছতে পারেনি এবং নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। আন্তর্জাতিক নজর এখন ভারতের তদন্তের দিকে। এই অবস্থায় ICAO-র প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের সিদ্ধান্ত কতটা যুক্তিযুক্ত ছিল— তা নিয়েও জোর আলোচনা শুরু হয়েছে বিমান নিরাপত্তা মহলে।