ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ফের মেট্রো লাইনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা! সপ্তাহের শুরুতেই সকাল থেকেই একের পর এক মেট্রো বিভ্রাট। এবার বেলগাছিয়া স্টেশনে মেট্রো লাইনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা (Kolkata Metro)। সঙ্গে সঙ্গে ট্র্যাকের বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে শুরু হয় উদ্ধার কাজ।
টানা রাতভর বৃষ্টির পর জল জমে আংশিক বন্ধ হয়ে গিয়েছিল মেট্রো পরিষেবা। সেই জল সরিয়ে সকালবেলা যখন পরিষেবা আংশিক স্বাভাবিক করা গেল, তখনই বেলগাছিয়া স্টেশনে প্রথম মেট্রোয় আত্মহত্যা। ফলে ফের ব্যাহত হয় মেট্রো চলাচল। দীর্ঘক্ষণ মেট্রো চলাচল বন্ধ থাকার পর অবশেষে স্বাভাবিকের পথে পরিষেবা।
জল জমে সঙ্কট, তারপর আত্মহত্যা (Kolkata Metro)
রাতভর বৃষ্টির জেরে চাঁদনি চক ও সেন্ট্রাল স্টেশনের মাঝের টানেলে জল জমে যায়। ময়দান থেকে কবি সুভাষ এবং গিরিশ পার্ক থেকে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত সীমিত পরিষেবা চালু থাকলেও পার্ক স্ট্রীট থেকে সেন্ট্রাল পর্যন্ত পুরোপুরি বন্ধ ছিল পরিষেবা। দীর্ঘ জল নিষ্কাশনের পর যখন ধীরে ধীরে পরিষেবা স্বাভাবিক হচ্ছিল, তখনই মেট্রো লাইনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা (Kolkata Metro)।

সকাল ১০.৫৮-এর মেট্রো বেলগাছিয়া স্টেশনে ঢুকতেই জোরে ব্রেক কষেন মেট্রোচালক। ১১.২৫ মিনিট নাগাদ মেট্রো লাইনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন এক বয়স ৪০-এর ব্যক্তি। তৎক্ষণাৎ বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেন মেট্রো কর্মীরা। জরুরি ভিত্তিতে উদ্ধারকাজ শুরু হয়। দীর্ঘক্ষণ পর উদ্ধার হয় ওই ব্যক্তির দেহ। মেট্রো রাইড অ্যাপেও দেওয়া হল নোটিফিকেশন।

আরও পড়ুন: Dengue: বর্ষার শুরুতেই ডেঙ্গু কেড়ে নিল ১৩ বছরের তরতাজা প্রাণ, দমদমে কিশোরীর মৃত্যুতে আতঙ্ক
ফের থেমে যায় পরিষেবা, দুর্ভোগে যাত্রীরা (Kolkata Metro)
এই ঘটনার পর ফের বন্ধ হয়ে যায় ওই লাইনের ট্রেন চলাচল। দমদম থেকে কবি সুভাষগামী লাইনে স্বাভাবিক ভাবেই স্তব্ধ মেট্রো পরিষেবা। যদিও দীর্ঘক্ষণ মেট্রো চলাচল বন্ধ থাকার পর অবশেষে স্বাভাবিকের পথে পরিষেবা।
যাত্রীদের মধ্যে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কেউ কেউ স্টেশন ছেড়ে বেরিয়ে যান, কেউ আবার বিকল্প পরিবহনের জন্য বাইরে ছোটেন (Kolkata Metro)। কলকাতার অফিস টাইমে এই ঘটনায় শহরের অন্যান্য রাস্তাতেও চাপ বাড়ে।
অভিযোগ, স্টেশনে ভিড় সামাল দেওয়ার জন্য কোনও রক্ষী সেখানে ছিলেন না। যে কোনও সময়ে বিপদ ঘটতে পারত। স্টেশন থেকে বেরিয়ে নতুন সমস্যায় পড়েন নিত্যযাত্রীরা। তাঁদের অভিযোগ, পর্যাপ্ত যানবাহন নেই। বাসগুলিতে বাদুড়ঝোলা অবস্থা। সুযোগ বুঝে ইচ্ছামতো ভাড়া হাঁকান হলুদ ট্যাক্সির চালক। অ্যাপ ক্যাবগুলি অতিরিক্ত ভাড়া (সার্জ চার্জ) দাবি করতে শুরু করে দেয়।

তার মাঝেই স্টেশনে পাওয়া গেছে এমন একটি ব্যাগ যেটি কার সেটি এই মুহূর্তেই বোঝা যাচ্ছেনা। ব্যাগটি খুলে চেক করার পর সঙ্গে করে নিয়ে গেলেন এক পুলিশ অধিকারিক।

যাত্রীদের অভিযোগ, একের পর এক সমস্যা। মেট্রোর ওপর থেকে ভরসা উঠে যাচ্ছে। আত্মহত্যার ঘটনাটি কেন ঘটল, কী কারণে ওই ব্যক্তি এই সিদ্ধান্ত নিলেন? তা তদন্ত চলছে। তাঁর পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।